বাংলাদেশের সফল পররাষ্ট্রনীতির অনন্য দিকপাল শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম

আপডেট: জুন ৩, ২০২৩
0

ড. সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইঞা

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম ২১ এপ্রিল ১৯৭৭ তারিখে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর দুরদর্শী নেতৃত্বের ফলে মাত্র কয়েক বছরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতিতে অভূত সাফল্য অর্জিত হয়। তিনি পৃথিবীর সকল পরাশক্তি সহ বিভিন্ন দেশের সংগে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করেন।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হাভানায় অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ জোট নিরপেক্ষ সামিটে বাংলাদেশের জোট নিরপেক্ষ অবস্থানকে তুলে ধরেন। তিনি জাতিসংঘ চার্টার্ড ও জোট নিরপেক্ষ আন্দেলনের নীতমালা মেনে চলতেন। বাংলাদেশ সংবিধানে আর্টিক্যাল-২৫ অনুযায়ী “সকলের প্রতি বন্ধুত্ব, কারোর প্রতি শত্রুতা নয়” এই নীতিতে বাংলাদেশকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে সম্মানের আসনে প্রতিষ্ঠিত করেন। ইউএন চাটার্ড এর আর্টিক্যাল-১(২), ২(৪) ও ২(৭) মোতাবেক সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে সমান অধিকারের, সকলের প্রতি বন্ধুত্বের ও কারো প্রতি শত্রুতা নয় এই নীতিতে পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনা করেছেন। তিনি প্রতিবেশি রাষ্ট্রসমূহের সম অধিকারের ভিত্তিতে শান্তিপূর্ণ সহ অবস্থান এর নীতিতে পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনা করেছেন। বাংলাদেশের তিনদিকে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের অবস্থান রয়েছে, তা স্বত্ত্বেও বঙ্গপোসাগরের কারণে ভূ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই সকল ভূ-রাজনৈতিক বিষয় বিবেচনায় রেখে পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনা করতেন। তিনি প্রেসিডেনসিয়াল আদেশের মাধ্যমে ১৯৭৭ সালের এপ্রিলে সেকুলারিজম এর পরিবর্তে “মহান আল্লাহ্ উপর আস্থা ও বিশ্বাস” বাক্যটি সংযোজন করেন, যার ফলে মুসলিম বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পায়। ১৯৭৭ সালের ডিসেম্বরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ভ্রমন করেন এবং এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৯ সালের এপ্রিল মাসে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মুরারজী দেসাই বাংলাদেশে তার রাষ্ট্রীয় সফরের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ককে উচ্চ মাত্রায় পৌছে। ১৯৭৭ সালের নভেম্বরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান গ্যারাণ্টি ক্লজযুক্ত ৫ বছর মেয়াদি ফারাক্কা চুক্তি সম্পন্ন করে গঙ্গা নদীর পানির সু-সম বন্টনের মাধ্যেমে বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নে বৈপ্লবিক পরিবর্তন তথা ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেন। ভারতের সাথে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির এটিই ছিলো শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বড় সাফল্য।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান আঞ্চলিক ক্ষেত্রে তার পররাষ্ট্রনীতির প্রভাব ছড়িয়ে দিয়ে ৭টি দেশের সমস্বয়ে সার্ক প্রতিষ্ঠা করার সকল আয়োজন সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ঝঅঅজঈ কার্যক্রম শুরু করে।

ভারতের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিকে ইন্দো-সোভিয়েত ব্লক হতে পশ্চিমা, চায়না ও ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোর অনুকুলে পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন আনেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বার্থরক্ষায় ইন্দো-সোভিয়েত ঘেষা পররাষ্ট্রনীতির পরিবর্তে প্রো-আমেরিকান, প্রো-ওয়েষ্ট, প্রো-চাইনিজ ও প্রো-মুসলিম পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করেন । শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর লিবারেল অর্থনৈতিক নীতি, ফ্রি মার্কেট ইকোনমি ও বি-রাষ্ট্রীয়করণ নীতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করেন। ১৯৭৯ সালে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের হোষ্টেজ ক্রাইসিস সমাধানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে জিমি কার্টার প্রশাসন কর্তৃক ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। প্রেসিডেন্ট কার্টার রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে এই ভূমিকা রাখার জন্য “গ্রেট লিডার” হিসাবে অভিহিত করেন। প্রেডিডেন্ট কার্টার বাংলাদেশের দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানো জন্য রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে প্রতিশ্রুতি দেন। ১৯৮১ সালের মার্চ মাসে ৯০৪ মিলিয়ন ডলার, পি.এল ৪৮০ প্রোগ্রামে ১০৭ মিলিয়ন ডলার ও আই.এম.ই.টি প্রোগ্রামের .২২৫ মিলিয়ন ডলার ঋণ ও অনুদানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায়।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর বৈদেশিক অর্থনৈতিক নীতির কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আরও ১৯০.৩৬ মিলিয়ন ডলার অনুদান প্রদান করেন যা পূর্ববর্তী সকারের তুলনায় অনেক বেশী। তাছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র পি.এল-৪৮০, ইউএসএইড, কেয়ার, কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির আওতায় ব্যাপক অর্থ সহযোগিতা প্রদান করেন। কৃষি গবেষনা ইনিষ্টিটিউটকে যুক্তরাষ্ট্র ৬.৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান হিসাবে অর্থ সাহায্য প্রদান করেন। ১৯৮০ সাল নাগাদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বড় সাহায্যদাতা হিসাবে দেশ আর্বিভূত হয়। বাংলাদেশ সেকুলারিজম ও স্যোসালিজম এর পরিবর্তে ফ্রি-মার্কেট ইকোনমি চালু করায় সোভিয়েত ইউনিয়ন কিছুটা নাখোশ হলেও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে পশ্চিমা, চায়না ও মুসলিম দেশ ঘেষা নীতির কারণে বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশে হতে অর্থনৈতিক সহযোগীতা পেতে থাকেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালের জানুয়ারী মাসে প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরে চীন ভ্রমন করেন। ফারাক্কা ব্যারাজ ইস্যুতে ন্যায্য পানি বন্টনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর নীতিকে আন্তর্জাতিক মহলে চীন সমর্থন প্রদান করেন। ১৯৭৮ সালের মার্চ মাসে ততঃকালীন চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ ভিজিট করেন এবং বাংলাদেশকে মিলিটারী সরঞ্জাম ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে মিগ-২১ যুদ্ধবিমান সরবারাহ করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। বাংলাদেশ লাহোর সামিটে “ওআইসি” এর সদস্য পদ লাভ করেন। বাংলাদেশের সংবিধানে সর্বশক্তিমান “আল্লাহ্ উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস” স্থাপন করায় মুসলিম দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পায়। এর ফলশ্রুতিতে সৌদিআরব বাংলাদেশের একটি বড় দাতা দেশ হিসাবে আর্বিভূত হয়। বাংলাদেশ সংবিধানের আর্টিক্যাল-২৫ এ প্রো-ইসলামিক পলিসি গ্রহণ করায় তেল সমৃদ্ধ আরব দেশগুলো হতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সাহায্য পেতে শুরু করে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে সৌদিআরব ও ১৯৭৮ কুয়েত ইরাক, ইরান ও মিশর ভ্রমন করেন। ইরাক-ইরান যুদ্ধ বন্ধে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর ভূমিকা সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছিলো। মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সাথে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর পররাষ্ট্রনীতি সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যপদ প্রাপ্তির নির্বাচনে সেনেগালের ডাকারে অনুষ্ঠিত নবম ইসলামিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনে বাংলাদেশ সকল মুসলিম রাষ্ট্রের সমর্থন পায় এবং জাপানকে হারিয়ে বাংলাদেশ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যপদ লাভ করে। সমভাবে সপ্তম ইসলামিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনে ১৯৭৬ সালে ফারাক্কা ইস্যুতে বাংলাদেশ সকল ইসলামিক দেশেগুলোর সমর্থন পান।

মুসলিম বিশ্বের সাথে সু-সম্পর্ক সৃষ্টি করায় এবং ওআইসিতে জোড়ালো ভূমিকা রাখার কারণে বাংলাদেশ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক কমিটির সদস্যপদ লাভ করেন। (ক) ১৫ সদস্য বিশিষ্ট আল-কুদস্ কমিটি (খ) ৩ সদস্য বিশিষ্ট আল-কুদস্ সামিট কমিটি (গ) ৯ সদস্য বিশিষ্ট ওআইসি ইসলামিক পিস কমিটি। এই সকল কমিটিতে বাংলাদেশের জোড়ালে ভুমিকা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর পররাষ্ট্রনীতি বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় পৌছে দেয়। এর ফলে বাংলাদেশ তেল সমৃদ্ধ আরব দেশসমূহ হতে বিপুল পরিমাণ অর্থ সাহায্য পেতে থাকে ; যার সুফল বাংলাদেশে পেয়েছে। ইসলামিক সেন্ট্রার ফর টেকটিক্যাল, ভোকেশনাল ট্রেনিং ও গবেষনা প্রতিষ্ঠান (আই.সি.টি.ভি.টি.আর) ঢাকায় স্থাপনের জন্য নবম ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনে সিদ্ধান্ত গ্রহীত হয়।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর শাসন আমলে বাংলাদেশ ইসলামিক চেম্বার অব কমার্স, ইন্ডাষ্ট্রি ও কমোডিটি একচেঞ্জ (আই.সি.সি. আই.সি.ই) এর সদস্যপদ ভাল করেন। এর ফলে মুসলিম বিশ্বের সাথে বাণিজ্য ও শিল্প সহযোগিতা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়। তাঁর পররাষ্ট্রনীবিাংলাদেশের সফল পররাষ্ট্রনীতির অনন্য দিকপাল
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম ২১ এপ্রিল ১৯৭৭ তারিখে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর দুরদর্শী নেতৃত্বের ফলে মাত্র কয়েক বছরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতিতে অভূত সাফল্য অর্জিত হয়। তিনি পৃথিবীর সকল পরাশক্তি সহ বিভিন্ন দেশের সংগে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করেন।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হাভানায় অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ জোট নিরপেক্ষ সামিটে বাংলাদেশের জোট নিরপেক্ষ অবস্থানকে তুলে ধরেন। তিনি জাতিসংঘ চার্টার্ড ও জোট নিরপেক্ষ আন্দেলনের নীতমালা মেনে চলতেন। বাংলাদেশ সংবিধানে আর্টিক্যাল-২৫ অনুযায়ী “সকলের প্রতি বন্ধুত্ব, কারোর প্রতি শত্রুতা নয়” এই নীতিতে বাংলাদেশকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে সম্মানের আসনে প্রতিষ্ঠিত করেন। ইউএন চাটার্ড এর আর্টিক্যাল-১(২), ২(৪) ও ২(৭) মোতাবেক সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে সমান অধিকারের, সকলের প্রতি বন্ধুত্বের ও কারো প্রতি শত্রুতা নয় এই নীতিতে পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনা করেছেন। তিনি প্রতিবেশি রাষ্ট্রসমূহের সম অধিকারের ভিত্তিতে শান্তিপূর্ণ সহ অবস্থান এর নীতিতে পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনা করেছেন। বাংলাদেশের তিনদিকে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের অবস্থান রয়েছে, তা স্বত্ত্বেও বঙ্গপোসাগরের কারণে ভূ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই সকল ভূ-রাজনৈতিক বিষয় বিবেচনায় রেখে পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনা করতেন। তিনি প্রেসিডেনসিয়াল আদেশের মাধ্যমে ১৯৭৭ সালের এপ্রিলে সেকুলারিজম এর পরিবর্তে “মহান আল্লাহ্ উপর আস্থা ও বিশ্বাস” বাক্যটি সংযোজন করেন, যার ফলে মুসলিম বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পায়। ১৯৭৭ সালের ডিসেম্বরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ভ্রমন করেন এবং এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৯ সালের এপ্রিল মাসে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মুরারজী দেসাই বাংলাদেশে তার রাষ্ট্রীয় সফরের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ককে উচ্চ মাত্রায় পৌছে। ১৯৭৭ সালের নভেম্বরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান গ্যারাণ্টি ক্লজযুক্ত ৫ বছর মেয়াদি ফারাক্কা চুক্তি সম্পন্ন করে গঙ্গা নদীর পানির সু-সম বন্টনের মাধ্যেমে বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নে বৈপ্লবিক পরিবর্তন তথা ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেন। ভারতের সাথে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির এটিই ছিলো শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বড় সাফল্য।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান আঞ্চলিক ক্ষেত্রে তার পররাষ্ট্রনীতির প্রভাব ছড়িয়ে দিয়ে ৭টি দেশের সমস্বয়ে সার্ক প্রতিষ্ঠা করার সকল আয়োজন সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ঝঅঅজঈ কার্যক্রম শুরু করে।

ভারতের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিকে ইন্দো-সোভিয়েত ব্লক হতে পশ্চিমা, চায়না ও ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোর অনুকুলে পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন আনেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বার্থরক্ষায় ইন্দো-সোভিয়েত ঘেষা পররাষ্ট্রনীতির পরিবর্তে প্রো-আমেরিকান, প্রো-ওয়েষ্ট, প্রো-চাইনিজ ও প্রো-মুসলিম পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করেন । শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর লিবারেল অর্থনৈতিক নীতি, ফ্রি মার্কেট ইকোনমি ও বি-রাষ্ট্রীয়করণ নীতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করেন। ১৯৭৯ সালে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের হোষ্টেজ ক্রাইসিস সমাধানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে জিমি কার্টার প্রশাসন কর্তৃক ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। প্রেসিডেন্ট কার্টার রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে এই ভূমিকা রাখার জন্য “গ্রেট লিডার” হিসাবে অভিহিত করেন। প্রেডিডেন্ট কার্টার বাংলাদেশের দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানো জন্য রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে প্রতিশ্রুতি দেন। ১৯৮১ সালের মার্চ মাসে ৯০৪ মিলিয়ন ডলার, পি.এল ৪৮০ প্রোগ্রামে ১০৭ মিলিয়ন ডলার ও আই.এম.ই.টি প্রোগ্রামের .২২৫ মিলিয়ন ডলার ঋণ ও অনুদানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায়।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর বৈদেশিক অর্থনৈতিক নীতির কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আরও ১৯০.৩৬ মিলিয়ন ডলার অনুদান প্রদান করেন যা পূর্ববর্তী সকারের তুলনায় অনেক বেশী। তাছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র পি.এল-৪৮০, ইউএসএইড, কেয়ার, কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির আওতায় ব্যাপক অর্থ সহযোগিতা প্রদান করেন। কৃষি গবেষনা ইনিষ্টিটিউটকে যুক্তরাষ্ট্র ৬.৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান হিসাবে অর্থ সাহায্য প্রদান করেন। ১৯৮০ সাল নাগাদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বড় সাহায্যদাতা হিসাবে দেশ আর্বিভূত হয়। বাংলাদেশ সেকুলারিজম ও স্যোসালিজম এর পরিবর্তে ফ্রি-মার্কেট ইকোনমি চালু করায় সোভিয়েত ইউনিয়ন কিছুটা নাখোশ হলেও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে পশ্চিমা, চায়না ও মুসলিম দেশ ঘেষা নীতির কারণে বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশে হতে অর্থনৈতিক সহযোগীতা পেতে থাকেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালের জানুয়ারী মাসে প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরে চীন ভ্রমন করেন। ফারাক্কা ব্যারাজ ইস্যুতে ন্যায্য পানি বন্টনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর নীতিকে আন্তর্জাতিক মহলে চীন সমর্থন প্রদান করেন। ১৯৭৮ সালের মার্চ মাসে ততঃকালীন চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ ভিজিট করেন এবং বাংলাদেশকে মিলিটারী সরঞ্জাম ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে মিগ-২১ যুদ্ধবিমান সরবারাহ করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। বাংলাদেশ লাহোর সামিটে “ওআইসি” এর সদস্য পদ লাভ করেন। বাংলাদেশের সংবিধানে সর্বশক্তিমান “আল্লাহ্ উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস” স্থাপন করায় মুসলিম দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পায়। এর ফলশ্রুতিতে সৌদিআরব বাংলাদেশের একটি বড় দাতা দেশ হিসাবে আর্বিভূত হয়। বাংলাদেশ সংবিধানের আর্টিক্যাল-২৫ এ প্রো-ইসলামিক পলিসি গ্রহণ করায় তেল সমৃদ্ধ আরব দেশগুলো হতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সাহায্য পেতে শুরু করে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে সৌদিআরব ও ১৯৭৮ কুয়েত ইরাক, ইরান ও মিশর ভ্রমন করেন। ইরাক-ইরান যুদ্ধ বন্ধে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর ভূমিকা সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছিলো। মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সাথে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর পররাষ্ট্রনীতি সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যপদ প্রাপ্তির নির্বাচনে সেনেগালের ডাকারে অনুষ্ঠিত নবম ইসলামিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনে বাংলাদেশ সকল মুসলিম রাষ্ট্রের সমর্থন পায় এবং জাপানকে হারিয়ে বাংলাদেশ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যপদ লাভ করে। সমভাবে সপ্তম ইসলামিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনে ১৯৭৬ সালে ফারাক্কা ইস্যুতে বাংলাদেশ সকল ইসলামিক দেশেগুলোর সমর্থন পান।

মুসলিম বিশ্বের সাথে সু-সম্পর্ক সৃষ্টি করায় এবং ওআইসিতে জোড়ালো ভূমিকা রাখার কারণে বাংলাদেশ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক কমিটির সদস্যপদ লাভ করেন। (ক) ১৫ সদস্য বিশিষ্ট আল-কুদস্ কমিটি (খ) ৩ সদস্য বিশিষ্ট আল-কুদস্ সামিট কমিটি (গ) ৯ সদস্য বিশিষ্ট ওআইসি ইসলামিক পিস কমিটি। এই সকল কমিটিতে বাংলাদেশের জোড়ালে ভুমিকা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর পররাষ্ট্রনীতি বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় পৌছে দেয়। এর ফলে বাংলাদেশ তেল সমৃদ্ধ আরব দেশসমূহ হতে বিপুল পরিমাণ অর্থ সাহায্য পেতে থাকে ; যার সুফল বাংলাদেশে পেয়েছে। ইসলামিক সেন্ট্রার ফর টেকটিক্যাল, ভোকেশনাল ট্রেনিং ও গবেষনা প্রতিষ্ঠান (আই.সি.টি.ভি.টি.আর) ঢাকায় স্থাপনের জন্য নবম ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনে সিদ্ধান্ত গ্রহীত হয়।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর শাসন আমলে বাংলাদেশ ইসলামিক চেম্বার অব কমার্স, ইন্ডাষ্ট্রি ও কমোডিটি একচেঞ্জ (আই.সি.সি. আই.সি.ই) এর সদস্যপদ ভাল করেন। এর ফলে মুসলিম বিশ্বের সাথে বাণিজ্য ও শিল্প সহযোগিতা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়। তাঁর পররাষ্ট্রনীতির কারণে ‘ওপেক’ ও ‘আইডিবি’ বাংলাদেশের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। ১৯৭৬ সালে সৌদি ডেভেলপমেন্ট ফান্ড বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নয়নে ব্যাপক ভুমিক রাখেন। ১৯৭৯ সালের দশম ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনে বাংলাদেশ চারটি প্রস্তাব উপস্থাপন করেন, (ক) মানব সম্পদ বিনিময় (খ) মানব সম্পদের প্রডাক্টিভ ব্যবহার (গ) জীবনের মৌলিক প্রয়োজন মিটানো জন্য সম্পদের সু-সম বন্টন (ঘ) ইসলামিক কমন মার্কেট সৃষ্টি। এই সকল প্রস্তাব উপস্থাপন করে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোরণ সৃষ্টি করে। ১৯৭৬ সালে মধ্যপ্রাচ্চের দেশসমূহে প্রথম বারের মতো বাংলাদেশী ৫৫৯১ জন শ্রমিক রপ্তানী হয় ; যা ঐ সকল দেশে মোট জনসংখ্যা রপ্তানীর ৯১%। ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ হতে জনশক্তি রপ্তানী বৃদ্ধি পেয়ে দাড়ায় ৫৫,৭৮৭ জন যা ঐ সকল দেশে মোট জনশক্তি রপ্তানীর ৯৬%। ১৭৭৬ সালে মধ্যপ্রাচ্চে প্রথম জনশক্তি রপ্তানী হলেও ১৯৮১ তা ২০গুণ বৃদ্ধি পায়। তৎকালীন সময়ে মধ্যপ্রাচ্যে জনশক্তি রপ্তানী হতে বাংলাদেশ ১৭১.০৬ মিলিয়ন ডলার আয় করে।

পরিশেষে বলা যায় যে, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর পরবর্তিতে আধুনিক পররাষ্ট্রনীতির ফলে বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করে। আঞ্চলিক সহযোগীতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ কল্পে সার্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্যারান্টি ক্লজযুক্ত ৫ বছর মেয়াদী ফারাক্কা চুক্তি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর একটি অনন্য সাফল্য। ইরান-ইরাক যুদ্ধ বন্ধে এবং ইরান যুক্তরাষ্ট্রের হোস্টেজ ক্রাইসিস সমাধানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর ভূমিকা আজও সারা বিশ্ব প্রশংসার সাথে স্বরণ করে। ভারতের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিকে ইন্দো-সোভিয়েত ব্লক হতে পশ্চিমা, চায়না ও ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোর অনুকুলে পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন আনয়ন করে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে বিনিয়োগের উপযুক্ত স্থান হিসাবে চিহ্নিত করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব ও চায়না বাংলাদেশকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক সহযোগীতা প্রদান করে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর প্রশংসিনীয় ভূমিকার কারণে ‘ওপেক’, ‘আই.ডি.বি’ সহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে তাদের নিজস্ব একান্ত নেতা হিসাবে মেনে নিয়ে বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সম্পৃক্ত করে। জনশক্তি আমদানীতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর বাংলাদেশেকে একচেটিয়া প্রাধান্য দিয়ে থাকে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সমুন্নত রেখে পররাষ্ট্র নীতিতে সফলতা অর্জনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এ অন্যন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।

তর কারণে ‘ওপেক’ ও ‘আইডিবি’ বাংলাদেশের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। ১৯৭৬ সালে সৌদি ডেভেলপমেন্ট ফান্ড বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নয়নে ব্যাপক ভুমিক রাখেন। ১৯৭৯ সালের দশম ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনে বাংলাদেশ চারটি প্রস্তাব উপস্থাপন করেন, (ক) মানব সম্পদ বিনিময় (খ) মানব সম্পদের প্রডাক্টিভ ব্যবহার (গ) জীবনের মৌলিক প্রয়োজন মিটানো জন্য সম্পদের সু-সম বন্টন (ঘ) ইসলামিক কমন মার্কেট সৃষ্টি। এই সকল প্রস্তাব উপস্থাপন করে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোরণ সৃষ্টি করে। ১৯৭৬ সালে মধ্যপ্রাচ্চের দেশসমূহে প্রথম বারের মতো বাংলাদেশী ৫৫৯১ জন শ্রমিক রপ্তানী হয় ; যা ঐ সকল দেশে মোট জনসংখ্যা রপ্তানীর ৯১%। ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ হতে জনশক্তি রপ্তানী বৃদ্ধি পেয়ে দাড়ায় ৫৫,৭৮৭ জন যা ঐ সকল দেশে মোট জনশক্তি রপ্তানীর ৯৬%। ১৭৭৬ সালে মধ্যপ্রাচ্চে প্রথম জনশক্তি রপ্তানী হলেও ১৯৮১ তা ২০গুণ বৃদ্ধি পায়। তৎকালীন সময়ে মধ্যপ্রাচ্যে জনশক্তি রপ্তানী হতে বাংলাদেশ ১৭১.০৬ মিলিয়ন ডলার আয় করে।

পরিশেষে বলা যায় যে, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর পরবর্তিতে আধুনিক পররাষ্ট্রনীতির ফলে বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করে। আঞ্চলিক সহযোগীতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ কল্পে সার্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্যারান্টি ক্লজযুক্ত ৫ বছর মেয়াদী ফারাক্কা চুক্তি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর একটি অনন্য সাফল্য। ইরান-ইরাক যুদ্ধ বন্ধে এবং ইরান যুক্তরাষ্ট্রের হোস্টেজ ক্রাইসিস সমাধানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর ভূমিকা আজও সারা বিশ্ব প্রশংসার সাথে স্বরণ করে। ভারতের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিকে ইন্দো-সোভিয়েত ব্লক হতে পশ্চিমা, চায়না ও ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোর অনুকুলে পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন আনয়ন করে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে বিনিয়োগের উপযুক্ত স্থান হিসাবে চিহ্নিত করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব ও চায়না বাংলাদেশকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক সহযোগীতা প্রদান করে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর প্রশংসিনীয় ভূমিকার কারণে ‘ওপেক’, ‘আই.ডি.বি’ সহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে তাদের নিজস্ব একান্ত নেতা হিসাবে মেনে নিয়ে বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সম্পৃক্ত করে। জনশক্তি আমদানীতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর বাংলাদেশেকে একচেটিয়া প্রাধান্য দিয়ে থাকে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সমুন্নত রেখে পররাষ্ট্র নীতিতে সফলতা অর্জনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এ অন্যন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।


ড. সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইঞা
অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা