তামাকের ব্যবহার রোধে এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত

আপডেট: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪
0

ঢাকা, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪: রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে “তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সমাজের সচেতন নাগরিক, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী এবং শিক্ষকবৃন্দের সমন্বয়ে এ্যাডভোকেসি মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। মিটিংয়ের মূল স্লোগান ছিল তামাকের ব্যবহার রোধ করি, তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ি

ড. মো. শিব্বির আহমেদ ওসমানী, যুগ্ম সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়: তামাকের ক্ষতি থেকে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তরুণদের নেতৃত্বে গণসচেতনতা এবং গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তামাকপণ্যে আসক্ত প্রীতিটি মানুষকে তামাক সম্পর্কে সচেতন করতে হবে এবং তাদের অংশগ্রহণে তামাক বিরোধী প্রচারণাকে আরো জোরদার করতে হবে এবং নিজেদেরকে দক্ষ এবং যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

জনাব আতাউর রহমান, জন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রী কিডস : আজকে তরুণদের হাতে বাংলাদেশ। দেশের ৪৮ শতাংশ জনগোষ্ঠীই তরুণ এবং এসব তরুণের  ৩৫ শতাংশ তামাকজাতপণ্যে আসক্ত যা জাতিগত ভাবে আমাদের জন্য হুমকিস্বরূপ। তিনি আরও বলেন তামাক ব্যাবহারকারি ব্যাক্তির আশেপাশে থাকা সাধারণ মানুষটি ও শতকরা ৯ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তাই জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাকের ব্যবহার রোধ করা জরুরী।

অধ্যাপক ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম, পিএইচডি : সুস্থ-সমৃদ্ধ দেশের জন্য ধূমপানমুক্ত সমাজ দরকার। পরিবর্তিত এই সময়ে আমাদের এখনি সচেতন হতে হবে। তরুণ প্রজন্ম এবং সমাজের সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের সকলের অন্যতম কাজ হবে শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, পরিবার পরিজন এবং সমাজের সকল স্তরের মানুষের মাঝে তামাকের ক্ষতিকর দিক গুলো ফুটিয়ে তোলা, পাশাপাশি তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে কাজ করে যাওয়া।

ডাঃ নিজাম উদ্দিন আহমেদ, নির্বাহী পরিচালক, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন, চেয়ার, গাভি সিএসও স্টিয়ারিং কমিটি : তরুণরাই আগামী দিনের বাংলাদেশ এবং সমাজের সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব সামাজিক ভাবে তামাকের বিরুদ্ধে তরুণ এবং সাধারণ মানুষকে সোচ্চার করা। একটা সুস্থ সবল প্রজন্মই পারে এই নতুন বাংলাদেশকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে। পাশাপাশি তামাকের বিপক্ষে শিক্ষার্থী এবং তাদের বাবা মায়ের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং এটি একটি শক্তিশালী জনমত গঠন করতে সাহায্য করবে।

মাসুম বিল্লাহ, প্রেসিডেন্ট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এন্টি-টোব্যাকো ক্লাব: তামাক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে তামাক বিরোধী ক্লাবের সৃষ্টি হয়েছে। এই ক্লাবের নানান কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষকে তামাকের ব্যবহার রোধ করতে উৎসাহিত করছি।

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী এবং শিক্ষকবৃন্দ তাদের নিজেদের দৃষ্টিকোন থেকে তামাকের ক্ষতিকর দিক এবং তার প্রতিকার নিয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এই সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বৃন্দ এবং বিভিন্ন এনজিও’র প্রতিনিধি ব্যাক্তি বর্গ।

এই এ্যাডভোকেসি মিটিং এর মাধ্যমে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সমাজের সচেতন নাগরিকদের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।