রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর নয়াগাঁও এলাকার একটি বাসা থেকে মা ও মেয়ের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের বিবৃতি দিয়েছে।
আজ ২৪জুলাই বিভিন্ন দৈনিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায় যে- শনিবার ভোরে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর নয়াগাঁও এলাকার ৩ নম্বর গলির ভাড়া বাসা থেকে ফুলবাসী চন্দ্র দাস (৩৪) ও তার মেয়ে সুমি চন্দ্র দাস (১২) তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ফুলবাসীর স্বামী মুকুন্দ চন্দ্র ওরফে কালু কখনো মাছ বিক্রি করেন, আবার কখনো দিনমজুরের কাজ করেন। তাঁরা কামরাঙ্গীরচর নয়াগাঁও এলাকার একটি কক্ষেই পরিবারের সবাই ভাড়া থাকেন। শনিবার ভোরে ঝুমা দাস ঘুম থেকে উঠে দেখেন, তাঁর বাবা মেঝেতে বসে আছেন। বিছানায় মা এবং বোনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে দেখে চিৎকার করলে স্থানীয়রা জানার পর পুলিশকে খবর দিলে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশ নয়াগাঁও এলাকার ৩ নম্বর গলির ভাড়া বাসায় থেকে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ মা ও মেয়ের রহস্যজনক মৃত্যুতে ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। প্রতিনিয়ত নারীরা যৌন নিপীড়ন, ধর্র্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যাসহ নৃশংস নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। ফলে নারী ও শিশুর নিরাপত্তা চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে এবং নারী ও শিশুর স্বাধীন জীবন ও চলাচল অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। এরূপ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারী ও কন্যার নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বিগ্ন।
ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্তকরণপূর্বক দ্রুত গ্রেফতার ও যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহনসহ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছে। নির্যাতনের শিকার মৃত মা ও মেয়ের মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটন পূর্বক পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করার দাবি জানাচ্ছে। নির্যাতনের শিকার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছে।
নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে আশুকার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সরকার, প্রশাসনের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছে। সেইসাথে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ এবং সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে সারাদেশে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছে।