জুমার নামাজ শেষে মোনাজাতের পর মুসল্লিদের অনেকেই মসজিদ থেকে বের হয়ে যান।
তবে দেড় থেকে ২০০ মুসল্লি উত্তর ফটকে সিঁড়ির ওপর অবস্থান নেন। এ সময় পুলিশের অবস্থান ছিল মসজিদের উত্তর ফটকসংলগ্ন সড়কে।
হেফাজতে ইসলামসহ ইসলামি দলগুলোর পূর্বঘোষিত কর্মসূচি না থাকলেও বায়তুল মোকাররম এলাকায় আজ শুক্রবার সকাল থেকেই সতর্ক অবস্থানে ছিল পুলিশ। জুমার নামাজ শেষে মুসল্লিদের একাংশ মসজিদ থেকে বেরিয়ে গেলেও আরেকটি অংশ উত্তর গেটে অবস্থান নেন।
এ সময় সাংবাদিকেরা তাঁদের ছবি তুলতে গেলে তাঁদের ওপর চড়াও হন সেখানে অবস্থানকারীরা।
মুসল্লিরা স্লোগান না দিলেও খানিক সময় সেখানে তাঁদের অবস্থান করার কারণে সাংবাদিকদের অনেকেই তাঁদের ছবি তোলেন এবং ভিডিও করতে থাকেন। এ সময় মুসল্লিরা সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়ে ছবি ও ভিডিও করার কারণ জানতে চান। তখন সাংবাদিকদের কেউ কেউ পেশাগত কারণে ছবি তোলার বিষয়টি উল্লেখ করলে মুসল্লিরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
এ সময় মুসল্লিদের অনেকেই সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলতে থাকেন, তারা দেখে একটা, লেখে আরেকটা। ক্যামেরা দিয়ে নজরদারির কারণে তারা ঠিকমতো নামাজ পড়তে পারেননি। এ সময় বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের অনেকে দেশের বেসরকারি একটি টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান ও রিপোর্টারকে খুঁজতে থাকেন। এ সময় সাংবাদিকদের সত্য ও ন্যায়ের পথে আসারও পরামর্শ দেন মুসল্লিদের কেউ কেউ। এদিকে সকাল ১০টা থেকেই পুরানা পল্টন মোড়, জিরো পয়েন্ট, দৈনিক বাংলা মোড়, বায়তুল মোকাররমের উত্তর ও দক্ষিণ গেটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেন।
পুলিশের কঠোর অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে মতিঝিল জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার জাহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, এর আগেও পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ছাড়াই জুমার নামাজ শেষে কর্মসূচির নামের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছেন হেফাজতকর্মীরা। এ জন্য আজও সতর্ক অবস্থানে ছিল পুলিশ।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় গত ২৬ মার্চ মুসল্লিদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরদিন সারা দেশে হরতাল ঘোষণা করলে মসজিদের উত্তর গেটেই হেফাজত কর্মীরা অবস্থা নেন।