চারঘাটের গণহত্যা ভয়াবহ ১৩ এপ্রিল

আপডেট: এপ্রিল ১২, ২০২১
0

চারঘাটের গণহত্যা ভয়াবহ ১৩ এপ্রিল

আবু সুফিয়ান,চারঘাট;

১৩ এপ্রিল চারঘাট গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই
দিনে পাক হানাদার বাহিনী অতর্কিত চারঘাট আক্রমণ
করে পাঁচ শতাধিক নিরীহ মানুষকে নৃশংসভাবে
হত্যা করে। সেদিন দুপুর ১২টার দিকে চারঘাট
বাজারের পূর্ব ও উত্তর দিক দিয়ে পাক বাহিনী
২০/২৫টি গাড়ি নিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করলে
আনসার, পুলিশ, ইপিআরসহ মুক্তিযোদ্ধারা
প্রতিরোধের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।

এ সময়
চারঘাট বাজার ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বৃষ্টির মতো
গুলিবর্ষণে শতাধিক ব্যক্তি নিহত হন। এরপর পাক
সেনারা সারদা পুলিশ একাডেমীতে অবস্থান
নেয়। এদিকে চারঘাট বাজার থেকে
অর্ধকিলোমিটার উত্তর-পশ্চিম দিকে এবং সারদা
একাডেমী সংলগ্ন থানাপাড়ার সহ¯্রাধিক নারী-পুরুষ
ও শিশু প্রাণভয়ে ঘর-বাড়ি ছেড়ে পদ্মার পাড়ে
গিয়ে জড়ো হওয়া সহস্রাধিক মানুষকে ঘিরে
ফেলে। হানাদার বাহিনী সমবেত জনতার মধ্য
থেকে নারী ও শিশুদের বের করে দিয়ে
পুরুষদের কয়েকটি লাইনে সারিবদ্ধ হওয়ার
নির্দেশ দেয়।

নিশ্চিত মৃত্যুর কথা বুঝতে
পেরে সবাই আল্লাহ-রাসুলের নাম নিয়ে লাইনে
দাড়িয়ে যায়। এর পরই মেশিনগান গজে ওঠে।
নিহত হন তিন শতাধিক মানুষ। সকলের মৃত্যু নিশ্চিত
হওয়ার জন্য হায়েনার দল লাশের স্তুপে
পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। সারদা
পুলিশ একাডেমীর দক্ষিণ প্রান্তে গণকবর
রয়েছে।

আবু সুফিয়ান,চারঘাট;

১৩ এপ্রিল চারঘাট গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই
দিনে পাক হানাদার বাহিনী অতর্কিত চারঘাট আক্রমণ
করে পাঁচ শতাধিক নিরীহ মানুষকে নৃশংসভাবে
হত্যা করে। সেদিন দুপুর ১২টার দিকে চারঘাট
বাজারের পূর্ব ও উত্তর দিক দিয়ে পাক বাহিনী
২০/২৫টি গাড়ি নিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করলে
আনসার, পুলিশ, ইপিআরসহ মুক্তিযোদ্ধারা
প্রতিরোধের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।

এ সময়
চারঘাট বাজার ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বৃষ্টির মতো
গুলিবর্ষণে শতাধিক ব্যক্তি নিহত হন। এরপর পাক
সেনারা সারদা পুলিশ একাডেমীতে অবস্থান
নেয়। এদিকে চারঘাট বাজার থেকে
অর্ধকিলোমিটার উত্তর-পশ্চিম দিকে এবং সারদা
একাডেমী সংলগ্ন থানাপাড়ার সহ¯্রাধিক নারী-পুরুষ
ও শিশু প্রাণভয়ে ঘর-বাড়ি ছেড়ে পদ্মার পাড়ে
গিয়ে জড়ো হওয়া সহ¯্রাধিক মানুষকে ঘিরে
ফেলে। হানাদার বাহিনী সমবেত জনতার মধ্য
থেকে নারী ও শিশুদের বের করে দিয়ে
পুরুষদের কয়েকটি লাইনে সারিবদ্ধ হওয়ার
নির্দেশ দেয়।

নিশ্চিত মৃত্যুর কথা বুঝতে
পেরে সবাই আল্লাহ-রাসুলের নাম নিয়ে লাইনে
দাড়িয়ে যায়। এর পরই মেশিনগান গজে ওঠে।
নিহত হন তিন শতাধিক মানুষ। সকলের মৃত্যু নিশ্চিত
হওয়ার জন্য হায়েনার দল লাশের স্তুপে
পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। সারদা
পুলিশ একাডেমীর দক্ষিণ প্রান্তে গণকবর
রয়েছে।