‘তারেক রহমান শুধু বিএনপি নয় গোটা জাতিকে নেতৃত্ব দিবেন’

আপডেট: মার্চ ৭, ২০২১
0

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৫তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে সৌদিআরব জেদ্দা মহানগর বিএনপি ভার্চুয়াল যোগাযোগ মাধ্যমে।আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মধ্যপ্রাচ্য সাংগঠনিক সমন্বয়ক সৌদিআরব বিএনপির সভাপতি আহমদ আলী মুকিব বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৌদিআরব বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান তফন সহসভাপতি কেফায়েত উল্লাহ কিসমত সহসভাপতি আব্দুল মান্নান সহসভাপতি এরশাদ আহমেদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আহমেদ আলী মুকিব বলেন,শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বিএনপি নিয়ে সুদুঢ়প্রসারী ষড়যন্ত্র চলছে। ১/১১ এর অভিশপ্ত ফখর-মঈন উদ্দিনের সরকার থেকে জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে মাইনাসের যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনামলে সেই ষড়যন্ত্র বাস্থবায়নের মহোৎসব চলছে। কিন্তু শহীদ জিয়ার পরিবার ও বিএনপি এদেশের মানুষের রাজনীতি করে। তাই জিয়া পরিবার ও বিএনপিকে মাইনাসের কোন ষড়যন্ত্রই সফল হবেনা। ফখর-মঈনের সরকার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে পথের কাটা সরাতে দেশের সম্ভাবনাময় তরুণ নেতৃত্ব তারেক রহমানকে গ্রেফতার করে সীমাহিন নির্যাতন চালিয়েছিল। বাকশালী আওয়ামীলীগও বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একের পর এক মামলায় ফরমায়েসী সাজা প্রদান করছে। শুধু তাই নয়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানার পাশাপাশি শত শত মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। কোন ষড়যন্ত্রই তারুন্যের অহংকার আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানকে দমিয়ে রাখতে পারবেনা। সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে তারেক রহমান বীরের বেশে বাংলাদেশে আসবেন। শুধু বিএনপি নয়, গোটা জাতিকে নেতৃত্ব দিবেন।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে তার বিরুদ্ধে ক‍ুৎসা রটানোর ঘটনা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
তাকে এবং তার পরিবারকে প্রতিহিংসামূলকভাবে দেশের মানুষের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করতে এবং রাজনীতি থেকে দুরে সরিয়ে দিতেই এধরনের অপপ্রচার উল্লেখ করেন তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নেতাকর্মী এবং দেশের আপামর জনসাধারণ তারেক রহমান ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে যে কোনো চক্রান্ত রুখে দেবে।তারেক রহমান রাজনীতিতে উড়ে এসে জুড়ে বসেননি। তিনি শহীদ জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রক্তের এবং আদর্শের উত্তরসূরী। যিনি দেশে তৃণমূলের রাজনীতি দিয়েই রাজনীতিতে পথচলা শুরু করেন। তিনি সাধারণ সদস্য হয়ে গ্রামের পর গ্রাম হেঁটে পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন। তিনি আমাদের ভবিষ্যত কাণ্ডারি। যার চিন্তাভাবনা দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি নিয়ে।

সম্প্রতি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকার) সভায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্বাধীনতার পর রাষ্ট্রীয়ভাবে দেওয়া ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মুকিব বলেন , শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শুধুমাত্র একজন খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাই নয় তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক, একজন সেক্টর কমান্ডার, জেট ফোর্সের প্রতিষ্ঠাতা,সাবেক সেনা প্রধান এবং বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি। বাংলাদেশের বহুদলীয় গনতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদের প্রতিষ্ঠাতা। বাংলাদেশকে একটি তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে মাত্র চার বছরে স্বনির্ভর বাংলাদেশে রুপান্তরিত করেছেন। শেখ হাসিনা ও ষড়ন্ত্রকারীরা শহীদ জিয়াকে হত্যা করেও থেমে নাই। শহীদ জিয়ার জনপ্রিয়তা পাহাড় সমান। জিয়াউর রহমান আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নাম সহ অসংখ্য নাম তারা পরিবর্তন করেছে। ইতিহাস বিকৃত করে স্বাধীনতার ঘোষক থেকে বাদ দেয়ার ষড়যন্ত্র করে ব্যার্থ হয়েছে। বাংলাদেশের জনগন বর্তমান সরকারের এই সমস্ত কার্যক্রম ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছেন।

আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মোহাম্মদ আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন মঈন চৌঃ, রফিকুল ইসলাম , আব্দুলাহ আল তপন, রফিক চৌধুরী , জনাব সাঈদ, আব্দুল জলিল মৃধা, এহিয়া ,তাজুল ইসলাম বাবুল, নুরুল আফছার, জনাব সফিক আহমেদ ,জনাব আমিনুল ইসলাম, টিপু সুলতান, শেখ মোস্তাক আহমেদ ,নজরুল , জনাব বেলায়েত হোসেন মিন্টু, জনাব শহিদুল ইসলাম শহিদ, জনাব আব্দুর রহিম চৌঃ, জনাব তারেক খান, জনাব ফয়েজ তালুকদার, সাইফুল ইসলাম, জনাব শিবলু ,জনাব গাজী ইউসুফ, জনাব দিদারুল আলম , ছাদ আলী , নোয়াব আলী , জনাব জলিল, জনাব নুরুল আলম ,জনাব রাজু, জনাব সাজাহান সাজু, জনাব আলাউদ্দিন সিটি ,জনাব মাহমুদ ,আব্দুল হাই রিপন , কাজী মোস্তাক , সুহেল রানা , ইকবাল হোসেন, মনির আহমেদ , আব্দুল গফ্ফার, কাওসার সহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।