ডেস্ক রিপোর্ট:
তুরস্কের সঙ্গে সামরিক সরঞ্জাম কেনার চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ পূরণের অংশ হিসেবে গত ২৯ জুন আঙ্কারায় এই চুক্তি সম্পন্ন হয়। দেশটির সরকারি কোম্পানি রকেটসান-এর সংগে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুসদ মান্নান ও ডিফেন্স অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাশেদ ইকবালসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি সইয়ের পর তুরস্ক ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজ-এর প্রেসিডেন্ট ইসমাইল ডেমির এক টুইটবার্তার বলেন, রকেটসান থেকে বিভিন্ন সরঞ্জাম রফতানির জন্য দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। থেমো না, এগিয়ে যাও।
রকেটসান ন্যাটো’র মানদণ্ড অনুযায়ী, স্থল, সমুদ্র ও আকাশে ব্যবহারযোগ্য অস্ত্র তৈরি করে থাকে। চুক্তির বিষয়ে তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুসদ মান্নান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তুরস্কের সংগে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই কোভিড সময়েও প্রায় ১০০ কোটি ডলারের বাণিজ্য হয়েছে দুই দেশের মধ্যে, যা যেকোনও মানদণ্ডে ভালো বলা যায়।
তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তা ক্ষেত্রে প্রচুর প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে আরও সম্পর্ক বাড়াতে ইতিবাচক প্রভাব রাখবে। কী ধরনের এবং কত টাকার অস্ত্র কেনা হবে জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ক্রয় করা হবে।
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট-সিপরি’র তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা ইতোমধ্যে তুরস্ক থেকে কোবরা এপিভি গাড়ি ও শর্ট-রেঞ্জ মিসাইল কিনেছে।
এর আগে গত ডিসেম্বরে ঢাকা সফরের সময় তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভোসুগলোর বলেছিলেন, আমাদের প্রতিরক্ষা পণ্যের গুণগত মান অত্যন্ত ভালো, দামও অত্যন্ত সুলভ। এগুলো কেনার জন্য কোনও শর্ত আরোপ করা হয় না। আমি নিশ্চিত বাংলাদেশ এই সুবিধাগুলোর সুযোগ নেবে। এছাড়া, তুরস্ক প্রতিরক্ষা খাতে প্রযুক্তি হস্তান্তর ও যৌথ উৎপাদনে রাজি আছে।