দুই দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বর্ণাঢ্য রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতায় অভ্যর্থনা পর্ব শুরু হবে কিছুক্ষণের মধ্যেই।
মোদি ভারতীয় সময় সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেন এবং সকাল ১০টা ৪৮ মিনিটে ঢাকা এসে পৌঁছান। বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে মোদিকে স্বাগত জানানোর জন্য উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে ১৯টি গান স্যালুট ও লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়।
বিমান থেকে নামার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুল দিয়ে স্বাগত জানান মোদিকে। এরপর প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দরে উপস্থিত মন্ত্রিপরিষদ সদস্যসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং তিনি বহিনীর প্রধানের সঙ্গে মোদিকে পরিচয় করিয়ে দেন। পরে মোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে তার সফরসঙ্গীদের পরিচয় করিয়ে দেন।
এরপর শেখ হাসিনা মোদিকে নিয়ে অস্থায়ী মঞ্চে যান। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অফ অনার দেবে। ব্যান্ডদল দুই দেশের জাতীয় সংগীতের সুর তুলে নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানায়।
ঢাকার উদ্দেশে দিল্লি ছাড়ার আগে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ‘গঠনমূলক আলোচনার’ প্রত্যাশা করছেন তিনি। সফরে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের সাথেও সাক্ষাত করবেন তিনি।
বিমানবন্দর থেকে তিনি জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন। সেখানে তিনি ৭১-এর বীরশহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। পরে পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিখবেন এবং একটি গাছের চারা রোপণ করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
সেখান থেকে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়ালে আসবেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু জাদুঘর ঘুরে দেখবেন তিনি। পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সাথে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে সাক্ষাত করবেন।
পরে ৩টা ৪৫ মিনিটে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি। পরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মলেন কেন্দ্রে সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে বাপু বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল ভিডিও এক্সিবিশনের উদ্বোধন করবেন তিনি।
আগামীকাল সফরের শেষ দিনে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে নরেন্দ্র মোদি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যাবেন।
শনিবার সকালে হেলিকপ্টারে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার যশোরেশ্বরী দেবী মন্দির পরিদর্শন করে পূজা দেবেন। এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যাবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে সেখানে অভ্যর্থনা জানাবেন। বঙ্গবন্ধুর সমাধি কমপ্লেক্সে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মোদি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার ওরাকান্দি মন্দির পরিদর্শন করবেন। সেখানে মাতুয়া সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতাদের সাথে তিনি মতবিনিময় করবেন।
বাংলাদেশ সফরের সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক প্রতিনিধিদের সাথে সাক্ষাত করবেন নরেন্দ্র মোদি। এছাড়া সফরের সময় ‘পাঁচটির বেশি’ বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক চুক্তির কথা রয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে তিনি ঢাকায় আসার আগের একটি ছবি শেয়ার করেন।
শেয়ার করা ওই ছবির ক্যাপশনে মোদি লিখেছেন, ঢাকার জন্য রওনা হলাম। এই ভ্রমণ বাংলাদেশ ভারতের বন্ধুত্ব আরও গভীরতর করবে।
সূত্র : টাইমস নাউ ও বাসস