নিজস্ব প্রতিবেদক:
পদ্মাসেতুকে কেন্দ্র করে শিমুুলিয়া-পাটুরিয়া এখন ব্যস্ততম পর্যটন কেন্দ্র। প্রতিদিনই সেতুকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় ঘুরতে যাচ্ছেন অগণিত মানুষ। রাত-দিন জমজমাট থাকছে পদ্মার দুপাড়ের খাবারের দোকানগুলো।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পদ্মাসেতুকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় দিনে দিনে লোকসমাগম বাড়ছে। শিমুলিয়া ঘাটের দোকানদার সাদেকুর রহমান জানান, আগে শুধু যাত্রীদেরই ভীড় থাকতো। এখন ভ্রমন পিপাষু মানুষরাও ভীড় জমাচ্ছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আসছে বিভিন্ন এলাকা থেকে। যাদের নিজস্ব গাড়ী আছে তারা তা নিয়ে আসছেন। আবার অনেকে গাড়ী ভাড়া করে দূরদূরান্ত থেকে আসছেন পদ্মা সেতু দেখার জন্য।
সুজন নামের এক হোটেল ব্যবসায়ী জানালেন, সেতুকে কেন্দ্র করে তাদের হোটেলের বেচাকেনাও বাড়ছে। এখন রাতদিন লোক থাকে। অনেকে নদীতে ট্রলার বা স্পীডবোট ভাড়া করে সেতুর নিচে চলে যায়। ট্রলারে চড়ে সেতুর আশপাশ ঘুরে আসে।
ঢাকা থেকে পদ্মাসেতু দেখার জন্য পরিবার পরিজন নিয়ে গিয়েছেন আকবর হোসেন। তিনি জানালেন, পরিবারের সবারই ইচ্ছে ছিলো পদ্মা সেতু দেখবে। তাই আসা। তবে ওই এলাকার বেশ কিছু অব্যস্থাপনার কথা উল্লেখ করলেন আকবর। তিনি জানালেন, এখানে কোনই নিয়ম-নীতি নেই। এখানে যেসব মানুষ নানা পেশার সাথে জড়িত তাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানুষের পকেট থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়া। খাবারের মান ও মূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য কেউ নেই। প্রায় হোটেলগুলোর খাবারেরই কোন মান নেই। ধুলোবালি উড়ছে; মানুষ তার ভেতরে বসেই খাচ্ছে। রাস্তার পাশে অপরিচ্ছন্নভাবে খাবার তৈরী হচ্ছে। দাম রাখা হচ্ছে বেহিসেবি।
ট্রলার অথবা স্পীডবোট ভাড়ার ক্ষেত্রেও চলছে নৈরাজ্য। যার কাছ থেকে যেভাবে পারছে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। মানুষের সাথে এই নৌযান চালক ও শ্রমিকরা দুর্ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ আছে।
স্থানীয় সূত্র জানান, করোনার কারণে মানুষ এখনো নিয়ন্ত্রণে। না হলে পদ্মাসেতু দেখার জন্য আরো মানুষের ভীড় লাগতো। হয়তো করোনা নিয়ন্ত্রণে গেলে মানুষের ঢল নামবে পদ্মার দুপাড়ে।