ফতুল্লায় প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় বখাটে কর্তৃক গার্মেন্টকর্মী দুই তরুণীর শরীরে এসিড নিক্ষেপ করে ঝলসে দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের বিবৃতি প্রদান করেছে।
মহিলা পরিষদ বলেছে , ”বিভিন্ন দৈনিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায় যে- নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় বখাটে কর্তৃক গার্মেন্টকর্মী দুই তরুণীর শরীরে এসিড নিক্ষেপ করে ঝলসে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায় যে, প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় গার্মেন্টকর্মী দুই তরুণী গত ২১ মার্চ রোববার রাতে গার্মেন্ট থেকে বাসায় ফেরার পথে ফতুল্লার শাসনগাঁও এলাকায় লালমনিরহাট সদরের শহীদ শাহজাহান কলোনির মৃত. মাহবুবুর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান এসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন দুই তরুণীকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ দেড়শ’ শয্যা ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। আহতদের মধ্যে গার্মেন্ট কর্মী রেশমা আক্তার সাফিয়ার পিঠ থেকে নিতম্ব পর্যন্ত ও তার বান্ধবী স্বপ্নার ডান হাতের কনুইয়ের চামড়া ঝলসে যায়। এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
আমরা দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্য করছি যে, ঘরে-বাইরে বিভিন্ন কর্মে নিয়োজিত নারী ও কন্যারা অব্যাহতভাবে ধর্ষণ, গণধর্ষণ ও ধর্ষণের পর হত্যা, এসিড সন্ত্রাস, যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরণের নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ গার্মেন্টকর্মী দুই তরুণীকে এসিড দিয়ে ঝলসে দেয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে। উক্ত ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে। একইসাথে গার্মেন্টকর্মী দুই তরুণীর সুচিকিৎসাসহ তাদের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিকরণের দাবি জানাচ্ছে। পাশাপাশি সারাদেশে সংঘটিত নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনার বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এসিড নিয়ন্ত্রণ, এসিড জাতীয় দ্রব্যের অপব্যবহার রোধসহ এসিড অপরাধ দমন আইন, ২০০২ এর যথাযথ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহনসহ এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তিরোধে আশু কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছে।