বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৮ জন দলীয় কর্মী ও শিক্ষার্থীদের হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত পুলিশ ও আ’লীগের কর্মীদের গ্রেফতারের দাবী হেফাজতে ইসলাম।
দলীয় নেতাকর্মী নিহতের প্রতিবাদে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে হেফাজতে ইসলাম। সমাবেশে সংগঠনটির নেতা মাওলানা মামুনুল হক বলেন, দেশব্যাপী হেফাজত ইসলামের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। কেউ যদি চিন্তা করেন, বন্দুকের নল দিয়ে হেফাজত ইসলামকে শান্ত করে ফেলবেন তাদের বলবো, আপনারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন।
আমি বিশ্ব মানবাধিকার কর্মীদের কাছে বলতে চাই, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে বলতে চাই- যথাযথ তদন্ত করুন। পুলিশি হেফাজতে থাকা আমার কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। আমরা এসব হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই। যারা আমাদের ওপর হামলা করেছে তারা কীভাবে এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে আমি তার জবাব চাই। তিনি বলেন, মাদ্রাসায় সংরক্ষিত ছুরিগুলো কোরবানির কাজে ব্যবহৃত হয়।
এগুলো নিয়ে রাজনীতি করার কিছু নাই। মিডিয়াগুলোর আরো দায়িত্বশীল হওয়া দরকার। যথাযথ ঘটনা তুলে ধরা তাদের দায়িত্ব। আর ভুলক্রমে সাংবাদিকদের ওপর হেফাজতের কিছু কর্মী হামলা করে থাকতে পারে। আমরা এজন্য কেন্দ্রীয়ভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।
উল্লেখ্য যে , আজ শুক্রবার হেফাজতে ইসলামের ডাকা বিক্ষোভ কর্মসূচিতে কোথাও কোনো সমাবেশে আসা বা যাওয়ার পথে কোনো ধরনের মিছিল হবে না বলে নির্দেশনা দিয়েছেন সংগঠনটির আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় হেফাজত আমীরের ব্যক্তিগত সহকারী মাওলানা ইন’আমুল হাসান ফারুকী এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।এছাড়া সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ নামে তাদের নিজস্ব ফেসবুক পেইজে বিক্ষোভ কর্মসূচি সংক্রান্ত একটি আপডেট দেয়া হয়েছে। সেখানে স্বেচ্ছাসেবক ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করে সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে পালন করার নির্দেশনার পাশাপাশি আরও দুটি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
সেগুলো মধ্য একটি হলো-কোথাও কোনো সমাবেশে আসা বা ফেরার পথে মিছিল হবে না। অন্যটি হচ্ছে- নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করে সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে পালন করা হবে।