জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ-
ঝিনাইদহের হাট বাজার গুলোতে মৌসুমি ফল তরমুজের রমরমা ব্যাবসা শুরু হয়েছে। আসতে শুরু করেছে অনেক আগেই। তবে পাইকারি বাজারে দামের প্রভাব পড়লেও খুচরা বাজারে তরমুজের দামের কোন প্রভাব পড়েনি।
ফলে বেশি দাম দিয়েই ভোক্তা ক্রেতারা তরমুজ কিনতে বাধ্য হচ্ছে। বাজারে মাঝারি সাইজের তরমুজ দেড়শ’ থেকে ২শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তরমুজ ব্যবসায়িরা জানান, ঝিনাইদহে অন্যান্য ফসলে আবাদ হলেও কৃষকরা তরমুজ আবাদ করেন না। তাই বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম।
তাই বেশি দামে তরমুজ কিনতে হচ্ছে। বিভিন্ন জেলা থেকে তরমুজ আমদানি করতে পরিবহন খরচ হয় অনেক বেশি। ঝিনাইদহ শহরের তরমুজ ব্যবসায়ি আক্তার হোসেন জানান, ঝিনাইদহের হাট বাজার গুলোতে যে সকল তরমুজ বিক্রি হয় তা বরিশাল, পটুয়াখালি, ভোলার চরফ্যাশন, চরকাজী, লালমোহলসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আমদানি করে আনতে হয়। ওই অঞ্চলে প্রধানত বিটফ্যামিলি, জাম্বু, জাজগা, ড্রাগন, ওয়াল্ডিকুইন জাতের তরমুজ আবাদ করেন।
তরমুজ ব্যবসায়ি আশরাফ হোসেন জানান, চলতি মোসুমে কৃষকের তরমুজ ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে গেছে। তাই বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। ফলে বেশি টাকা দিয়েই তরমুজ কিনতে হচ্ছে। একই সাথে পরিবহন খরচও এবার বেশি। তাই তরমুজের দাম খুব একটা কমবেনা বলে তিনি জানান। বাজার গোপালপুরের তরমুজ ব্যবসায়ি জাহাঙ্গির হোসেন জানান, তরমুজ সাধারনত ৮/১০’হাজার টাকা প্রতি’শ তরমুজ কিনতে হচ্ছে।
আর ভাল তরমুজের দাম ১৬/১৭ হাজার টাকা’শ কিনতে হবে। এছাড়া বর্তমানে বিভিন্ন অজুহাতে বরিশাল থেকে ট্রাক ভাড়া ১৮/২০ হাজার টাকা নিচ্ছে।
এবছর পরিবহন খরচ বহুগুনে বেড়ে গেছে। তাছাড়া আনতে কিছু তরমুজ নষ্ট হয়ে যায় এবং খরচ বাদে কিছু টাকা লাভে বিক্রি করতে হয়। যে কারনে কমদামে তরমুজ বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছেনা। তরমুজ ক্রেতা আমজাদ হোসেন বলেন, মৌসুমি ফল বেশি দাম হলেও বাড়ির সদস্যদের একটু কিনতে হচ্ছে।