ভারতে করোনা সুনামী : হাসপাতালের বাইরে-পেছনে পড়ে রয়েছে মৃতদেহ

আপডেট: এপ্রিল ২৫, ২০২১
0

ভারতে যেনো কোভিডের সুনামি বইছে। শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে, মারা যাচ্ছে গর্ভবতী নারীরাও। নতুন ভ্যারিয়েন্ট সামাল দিতে না পারায় বিশ্বের সবচেয়ে কোভিড ঝুঁকিপূর্ণ দেশে পরিণতা হয়েছে ভারত। ডেইলি মেইল

সবচেয়ে আক্রান্ত প্রবণ এলাকা হচ্ছে নতুন দিল্লি, মুম্বাই, মহারাষ্ট্র এবং এসব প্রদেশে হাসপাতালের বেড পাওয়া যাচ্ছে না,
মিলছে না জীবন রক্ষাকারী অক্সিজেন।দিল্লি হয়ে উঠেছে যেন এক মৃত্যুকূপ। প্রতিনিয়ত কেউ না কেউ হারাচ্ছেন প্রিয় মানুষকে।
স্বজন হারানোর আহাজারে প্রকম্পিত হচ্ছে চারপাশ। হাসপাতালের চিত্রগুলো ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির। যেখানে কান পাতলেই শোনা যায় স্বজনহারাদের আর্তনাদ।

ভারতের কেউ এখন নিরাপদ নয়। সংক্রমণ এত গভীর ও ভয়ংকর হয়ে দাঁড়িয়েছে তা এড়ানো অসম্ভব।
দাবানলের মতই কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছে পরিবারের সবাই।

ভারত সরকার অক্সিজেন সরবরাহে সামরিক বিমান মোতায়েন করেছে।
অক্সিজেন সরবরাহে গড়িমসির জন্যে মৃত্যুদন্ডের হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
ভারতে করোনার প্রথম ধাক্কায় তরুণরা আক্রান্ত হলেও এবার ৪০ বছরের কমবয়সীরাও আক্রান্ত হচ্ছে।
এমনকি দুই মাসের শিশুও নিস্তার পায়নি। হাসপাতালগুলো আর রোগী নিতে পারছে না এবং এ্যাম্বুলেন্সগুলো অনবরত রোগী নিয়ে ছুটছে।

নতুন দিল্লির গুরু তেজ বাহাদুর হাসপাতালে একটি বেডে ৩ থেকে ৪ জন রোগীকে নির্ভর করতে হচ্ছে একটি অক্সিজেন সিলিন্ডরের ওপর।
করিডোরে উপচে পড়েছে রোগীকে নিয়ে স্ট্রেচার।
হাসপাতালে রোগির স্বজনদের নিজেদের খরচে অক্সিজেন, ওষুধ ও খাবারের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে।

মৃতদেহ দাহ হচ্ছে সারিবদ্ধভাবে। অজস্র টাকা খরচ করেও হাসপাতালের বেড বা অক্সিজেনের নিশ্চয়তা না পাওয়া প্রিয়জনকে হারাতে হচ্ছে চিরতরে। অনেক হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ বলে দিচ্ছে তাদের পক্ষে আর চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়, রোগীকে বাড়ি নিয়ে যেতে বলা হচ্ছে।