হরতালে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে মিছিল করেছে হেফাজতের নেতাকর্মীরা। সকাল থেকেই রাজধানীর চিটাগাং রোড, মোহাম্মদপুর, উত্তরা, লালবাগ, কামরাঙ্গীরচরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদেরকে মিছিল বের করতে দেখা গেছে।
হেফাজতের ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বে সকালে মোহাম্মদপুর এলাকায় মিছিল বের হয়। এসব তারা সেখানে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেয়।সেখানে উপস্থিত ছিলেন বেফাক মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, ঢাকা মহানগর হেফাজতের প্রচার সম্পাদক মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন প্রমুখ। সকালে লালবাগ মাদ্রাসার ছাত্ররাও হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করে। কামরাঙ্গীরচরেও মিছিল বের করে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। কামরাঙ্গীচরে হেফাজতের মিছিলকামরাঙ্গীচরে হেফাজতের মিছিল
চিটাগাং রোডে রাস্তায় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সরড়ক অবরোধ করে হেফাজতের কর্মীরা।
আশপাশের মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে মিছিলও করেছে সেখানে।ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে হরতাল পালন করছে হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশ। রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা-চট্টগ্রামের সাইনবোর্ড এলাকায় গিয়ে দেখা যায় সড়ক অবরোধ করে রেখেছে কয়েক শ’ হেফাজতের কর্মী। পরে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির কয়েকটি ইউনিট এসে সড়ক থেকে হেফাজত কর্মীদের সরিয়ে দেয়। ফলে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ মহাসড়কের যান চলাচল কিছুক্ষণের জন্য স্বাভাবিক হয়।
এ সময় সাবেক রেলমন্ত্রী মজিবুল হকের গাড়ি বহর কুমিল্লার দিকে যেতে দেখা যায়। কিন্তু সাইনবোর্ড থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার সামনে মিজমিজি সাহেব পাড়া এলাকার সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে ফেলে হেফাজত কর্মীরা। ফলে আবারো পুরো রাস্তার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এই নিউজ লেখা পর্যন্ত সরজমিনে দেখা যায় সাইনবোর্ড থেকে চিটাগাংরোড পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ১০০ মিটার পর পর কয়েক শ’ হেফাজত নেতাকর্মীকে অবস্থান নিয়ে থাকতে দেখা যায়।
মোদিবিরোধী আন্দোলনের সংঘর্ষে ৫ হেফাজত কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে হেফাজতে ইসলাম। হরতালে সমর্থন দিয়েছে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলনসহ বেশ কিছু ইসলামি রাজনৈতিক দল।