লাদাখ সীমান্ত থেকে চীন না সরলে ভারতও সরবে না বার্তা জেনারেল নারাভানের

আপডেট: অক্টোবর ১০, ২০২১
0

চিনা সামরিক বাহিনী পূর্ব লাদাখে সেনা মোতায়েন অব্যাহত রাখলে ভারতও সেনা উপস্থিতি বজায় রাখবে”, চিনকে কড়া বার্তা দিয়ে সাফ জানালেন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল নারাভানে। উল্লেখ্য, পূর্ব লাদাখে চিন সামরিকবাহিনী মোতায়েনের জন্য নতুন পরিকাঠামো গড়ে তুলছে। চিনের এই তৎপরতা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলে মনে করেন সেনাপ্রধান। তবে চিনের সমস্ত কার্যকলাপের দিকে ভারত কড়া নজর রাখছে বলেও শনিবার জানিয়েছেন তিনি।

লাদাখ সীমান্তে ক্রমাগত সেনাবহর বাড়িয়েই চলেছে চিন। সীমান্তে শান্তির পরিবেশ ফেরাতে শুরু থেকেই তৎপর ভারত। ইতিমধ্যেই কমান্ডার পর্যায়ের একের পর এক বৈঠকে সীমান্ত সমস্যা মেটাতে ভারত যথেষ্ট সহনশীলতার পরিচয় দিয়ে এসেছে। কিছুদিনের মধ্যেই লাদখে দু’দেশের কমান্ডার পর্যায়ের পরবর্তী বৈঠক হবে। তার আগে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির গতিবিধি উদ্বেগজনক বলে সেই বৈঠকের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিলেন সেনাপ্রধান নারাভানে। শনিবার তিনি বলেন, “চিনের সামরিক বাহিনী যদি শীতের দ্বিতীয় পর্বেও সেনা মোতায়েন জারি রাখে, তবে ওই এলাকায় নিয়ন্ত্রণরেখার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।”

গত ১৭ মাস ধরে পূর্ব লাদাখের বেশ কিছু এলাকায় চিন সেনার সঙ্গে লাগাতার বিক্ষিপ্ত অশান্তি চলছে ভারতীয় সেনার। উভয়পক্ষই চলতি বছরে ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি সংঘর্ষেও জড়িয়েছে। দ্বন্দ্ব মেটাতে দুই দেশের মধ্যে দফায়-দফায় বৈঠক হয়েছে। তবুও পাকাপাকিভাবে লাদাখ সীমান্তে শান্তি ফেরেনি। এপ্রসঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান নারাভানে আরও বলেন, “এটা সত্যিই একটি উদ্বেগের বিষয়।

বড়সড়ভাবে সেনা মোতায়েনের প্রয়াস জারি রেখেছে চিন। সেনা মোতায়েনের জন্য চিনের দিকে পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ চলছে। এর মানে হল, চিন সেনা ওই এলাকায় স্থায়ীভাবে থাকার চেষ্টা করছে। আমরা ওদের সমস্ত কার্যকলাপের দিকে কড়া নজর রাখছি। যদি ওরা ওখানে থেকে যায়। তবে আমরাও সরব না। চিনও সেনা মোতায়েনের জন্য তাদের দিকে যে পরিকাঠমো তৈরি করেছে, ভারতেও তেমনই পরিকাঠামো প্রস্তুত রেখেছে।”

সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, লাদাখ সীমান্তে চিনা গতিবিধির উপর কড়া নজর রাখছে ভারত। আবারও চিন সেনার যে কোনও ধরনের ‘অপকর্মের’ যোগ্য জবাব দিতে ভারত পুরোপুরি তৈরি রয়েছে বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। পূর্ব লাদাখের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তরে জেনারেল নারাভানে বিদেশ মন্ত্রকের একজন মুখপাত্রের সাম্প্রতিক বিবৃতি উল্লেখ করে বলেন, “উত্তর সীমান্তে যা কিছু ঘটেছে তার জন্য চিনের ব্যাপক নির্মাণকাজই দায়ী। প্রোটোকলকে গুরুত্ব না দিয়ে কার্যকলাপ জারি রেখেছে চিন।”