সারাদেশে ব্যাটারী চালিত রিকশা-ভ্যান বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্তের নিন্দা ও প্রতিবাদ

আপডেট: জুন ২৫, ২০২১
0

শ্রমজীবী মানুষের বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত ব্যাটারী চালিত রিকশা-ভ্যান বন্ধ করা যাবে না : শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি আ ন ম শামসুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আজ এক যৌথ বিবৃতিতে সারাদেশে ব্যাটারী চালিত রিকশা-ভ্যান বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনাকালীন দুর্যোগে যখন নিম্ম আয়ের শ্রমিকেরা কর্ম হারিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে দিনানিপাত করছে। তখন সরকার এই সকল শ্রমজীবী মানুষের মুখে দুবেলা দুমুঠো ভাত তুলে দিতে ব্যর্থ হয়েছে। নিজেদের জীবন-জীবিকা নির্বাহের জন্য অসংখ্য শ্রমিক ব্যাটারী চালিত রিকশা-ভ্যানকে বেছে নিয়েছে। ঠিক এই সময়ে এসে হুট করে ব্যাটারী চালিত রিকশা-ভ্যান বন্ধ করার সরকারি সিদ্ধান্ত চরম আত্মঘাতি। সরকারের এই অমানবিক ও অবিবেচনা প্রসূত সিদ্ধান্ত অসংখ্য শ্রমজীবী মানুষের রুটি-রোজগার বন্ধ করে দিবে। সুতরাং শ্রমজীবী মানুষের বিকল্প আয়ের ব্যবেস্থা না হওয়া পর্যন্ত ব্যাটারী চালিত রিকশা-ভ্যান বন্ধ করা যাবে না।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সারাদেশে প্রায় ১৫ লক্ষাধিক শ্রমিকের আয়ের উৎস ব্যাটারী চালিত রিকশা-ভ্যান। একেক জন শ্রমিক একেকটি পরিবারের প্রতিনিধিত্ব করে। কোন ধরনের চিন্তা ভাবনা ছাড়া হঠাৎ করে ব্যাটারি চালিত রিকশা-ভ্যান বন্ধের সরকারি ঘোষণা এই ১৫ লক্ষ পরিবারকে দুর্ভোগে নিপতিত করবে। এতগুলো মানুষের রুটি-রুজি একদিনের সিদ্ধান্তে বন্ধ করা চরম অমানবিক এবং তা কোনভাবে কাম্য নয়। সুষ্ঠু পরিকল্পনার আলোকে ধারাবাহিকভাবে ব্যাটারী চালিত রিকশা ভ্যান শ্রমিকদের অন্য সেক্টরে নিয়োজিত করে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, অবিলম্বে সরকারকে ব্যাটারী চালিত রিকশা-ভ্যান বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। শ্রমিকের দুর্ভোগ কমাতে বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করার করতে হবে। শ্রমজীবী মানুষদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি হিসাবে রূপান্তরের জন্য কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। শ্রমজীবী মানুষের সাথে সংশ্লিষ্ঠ যেকোন সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করতে হবে।