স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে নিখোঁজের ১১ দিন পর মো. রিয়াদ (৭) নামে সাত বছরের এক শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৫ মে) সকালে জালকুড়ির মাতবর বাজার এলাকায় নির্মাণাধীন ড্রেনের পাশে একটি পরিত্যক্ত ডোবার মধ্যে লম্বা ঘাসের নীচ থেকে শিশুটির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত রিয়াদ গাইবান্ধা সদর মিয়া পাড়া পূর্ব কমলয় গ্রামের মো. রাজুর মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় সুজন (২৭) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৪ এপ্রিল সিদ্ধিরগঞ্জের রেললাইনের পূর্ব পাশের এ/পি পূর্ব মুনলাইট এলাকায় বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হয় রিয়াদ। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে ২৮ এপ্রিল সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করে তার বাবা। এ জিডির প্রেক্ষিতে পুলিশ শিশুটির পরিবার, আত্মীয়-স্বজনদের মুঠোফোরের কললিস্টের সূত্র ধরে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পরে একটি নাম্বার থেকে মুক্তিপণ দাবি করে শিশুটির পরিবারের কাছে ফোন করলে সে নাম্বারের সূত্র ধরে নিহত রিয়াদের চাচাতো খালু সুজনকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক ভাবে সুজন স্বীকার করে ২৪ এপ্রিল রিয়াদকে অপহরণের পর ওইদিন রাতেই তাকে মেরে ঘাসের নিচে লুকিয়ে রাখে। পরে তার দেখানো তথ্য মতে ভোর সাড়ে ৫টায় সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি মাতবর বাজার এলাকায় নির্মাণাধীন ড্রেনের পাশে একটি পরিত্যক্ত ডোবার মধ্যে লম্বা ঘাসের নীচ থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শওকত জামিল পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, নিহতের পরিবারের সাথে সুজনের বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধ চলছিলো।
এরই জের ধরে কেক খাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় রিয়াদ। পরে বাড়ির সামনে থেকে সুজন তাকে অপহরণ করে রাতেই হত্যা করে জালকুড়িতে ড্রেনের পাশে ঘাসের নিচে লুকিয়ে রাখে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ বিষয় স্বীকার করেছে আটক সুজন। আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জড়িত অন্যান্যদের কে আইনের আওতায় আনা সহ মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।
তিনি আরও জানান, লাশের গায়ে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো রয়েছে। ময়নাতদন্তের রির্পোট না পাওয়া পর্যন্ত হত্যাকান্ডের বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।