সরকারের উদ্দেশে বিএনপির বর্তমান সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদ বলেন, ‘প্রতিবাদ-বিক্ষোভ যারা করল, তাদের সাথে আলোচনা করতে পারতেন। যখন ভাস্কর্য-মূর্তি নিয়ে দেশে একটি সংঘাতের তৈরি হলো, তখন হেফাজতের সঙ্গে তো সরকার আলোচনা করেছে। এর আগেও তো সরকার হেফাজতের সঙ্গে আলোচনা করেছে। আলোচনা করতেন যে বিদেশি মেহমানরা আসছে, তোমরা আন্দোলন-বিক্ষোভ বন্ধ রাখো। সেই ক্ষেত্রে বিএনপিকে কেন জড়ানো হচ্ছে?’
হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপিকে কেন জড়ানো হচ্ছে? এমন প্রশ্ন রেখে বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশীদ বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর নিয়ে বিএনপি কোনো বিরোধিতা করেনি।
আজ শনিবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় সরকারি দলের সাংসদ শেখ ফজলুল করিম সেলিমের এক বক্তব্যের জবাবে হারুন এ কথা বলেন।
এর আগে নরেন্দ্র মোদির সফরকে কেন্দ্র করে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সমালোচনা করে বক্তব্য দেন শেখ সেলিম। তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজতে ইসলাম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। তিনি বিএনপিকেও স্বাধীনতাবিরোধী আখ্যা দেন।
জবাব দিতে গিয়ে বিএনপির হারুন বলেন, ‘যে বিষয়টি এই সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে এই প্রসঙ্গে জানতে চাই, আমাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কী থাকবে? পঞ্চাশ বছরপূর্তি আমাদের সুবর্ণজয়ন্তী। এই সুবর্ণজয়ন্তীতে আমরা লাশ উপহার দিলাম। আমরা কি শান্তিপূর্ণভাবে সারা বাংলাদেশের কোথাও সুবর্ণজয়ন্তী পালন করতে পেরেছি?’
এ সময় সরকারি দলের সাংসদেরা হইচই করে প্রতিবাদ জানান।
শেখ সেলিমের বক্তব্যের জবাবে হারুনুর রশীদ বলেন, বিএনপি থেকে মোদিবিরোধী কোনো স্লোগান বা মোদি আসবেন না, এ ধরনের কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি। কোনো কথা ছিল না। যেহেতু ১৭ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত ঢাকায় সব কর্মসূচি বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেহেতু বিএনপি জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও জিয়াউর রহমানের কবরে সীমিত আকারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে
হারুন বলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বন্ধ করে দিলে সন্ত্রাসবাদ, উগ্রবাদ অবশ্যই সৃষ্টি হবে। সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক চর্চাগুলোকে মুক্ত করা দরকার। মতপ্রকাশের জায়গাগুলো আজ রুদ্ধ হয়ে গেছে। সেই অধিকারগুলো নিশ্চিত করতে হবে। আজকের সংকট হচ্ছে গণতন্ত্রের সংকট। এই সংকটের জন্য জাতি আজকে এই অবস্থার মধ্যে পতিত হয়েছে।