২৫ মার্চ রাতে একমাত্র শহীদ জিয়াই ড্রামের ওপর দাঁড়িয়ে পাক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রিভোল্ট করেছিলেন — ড.খন্দকার মোশাররফ

আপডেট: মার্চ ১৩, ২০২১
0

স্বাধীনতা সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির আহবায়ক খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘‘ আমারা সারা বছর ব্যাপী স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী কর্মসূচি করে জনগনের কাছে প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরব। আমাদের বার্তা? এই বার্তা যে, মুক্তিযুদ্ধের মূল ইতিহাস, সত্যিকার ইতিহাস। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে, গত এক যুগ ধরে বাংলাদেশে শুধু একটি দল ক্ষমতায় ফ্যাসিস্ট কায়দা টিকে থাকার জন্য আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে, স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করছে বর্তমান প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার জন্য। সেজন্য আমরা প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে চাই।”

শনিবার সকালে স্বাধীনতা সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে চিকিতসা ও সেবা কমিটির এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।

‘‘ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কি? অনেক স্বাধীনতার সংগ্রাম-আন্দোলন, স্বাধিকারের আন্দোলনকে মুক্তিযুদ্ধের সাথে এক করে এই প্রজন্মকে শিক্ষা দিতে চায়। কিন্তু একটি সংগ্রাম, একটি আন্দোলন আর একটি মুক্তিযুদ্ধ এক কথা নয়। মুক্তিযুদ্ধ বা যেকোনো যুদ্ধ একটা সময়ে শুরু হয়, একটা সময়ে শেষ হয়, মুক্তিযুদ্ধ বা যেকোনো যুদ্ধ অস্ত্র দিয়ে প্রতিপক্ষকে যখন আক্রমন করা হয় বা প্রতিরোধ করা হয় অন্ত্রের সাহায্যে তখনই যুদ্ধ শুরু হয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সেইভাবে শুরু হয়েছিলো। ২৫ শে মার্চের কালো রাত্রিতে পাকিস্তানি হায়েনার বাহিনী এদেশে গণহত্যা শুরু করেছে তথন কিন্তু রাজনীতিবিদদেরকে তাদের জনগনের পাশে দাঁড়াতে দেথা যায় নাই। সেই রাত্রে চট্টগ্রামে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের একজন মেজর যিনি সাহসী এবং কি পরিমান দেশপ্রেমিক হলে তিনি সেই দিন তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই ২৫ তারিখ শেষ রাতে ড্রামের ওপর দাঁড়িয়ে রিভোল্ট করেছিলেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। একথা আমি যখন বলি যারা ইতিহাস বিকৃত করেন তারা এর পরিবর্তে বলেন দেখি আর একজনের নাম যে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আরেকজন রিভোল্ট করেছে জিয়াউর রহমানের বাইরে আরেক জনের নাম বলতে পারেন কিনা। পারবেন না।”

তিনি বলেন, ‘‘ আজকে যারা ক্ষমতায় ৭৫ সালে যেমনিভাবে বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্র হত্যা করেছে তেমনিভাবে আজকে তারা ১২ বছর যাবত গণতন্ত্রকে হত্যা করে গায়ের জোরে ক্ষমতায় টিকে আছে। আজকে অর্থনীতি ঠিক একইভাবে লুট হচ্ছে, ব্যাংক লুট হচ্ছে, শেয়ার বাজার লুট হচ্ছে,..। হেন কোনো অকর্ম নাই, হেন কোন খারাপ কাজ নাই এখন হচ্ছে না।”

‘‘ যদি আমরা ৫০ বছরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পর্যালোচনা করি তাহলে দেখা যায় আওয়ামী লীগ কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে যায়। আর বিএনপি সকল ক্ষেত্রে দেখা যায় সফলতা। মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে এই গণতন্ত্রের আন্দোলন, অর্থনৈতিক মুক্তির আন্দোলনে, সামাজিক সাম্যের আন্দোলনে এবং রাজনৈতিক সাম্যের আন্দোলনে সকল ক্ষেত্রে যদি আমরা প্রকৃত ইতিহাস আজকে তুলে ধরি তাহলে আওয়ামী লীগ সেখানে ব্যর্থ, বিএনপি সেখানে সফল। সেজন্য আওয়ামী লীগ বিএনপির নাম শুনলে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম শুনলে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা হিয়ার নাম শুনলে, তারেক রহমান নাম শুনলে তাদের গাত্রদাহ শুরু হয়, কম্পন শুরু হয়। এই দূর্বলতাকে ঢাকার জন্য তারা প্রকৃত ইতিহাসকে বিকৃত করে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করতে চায়।”

চিকিতসা ও সেবা কমিটির কমিটির সদস্য ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব অধ্যাপক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ও ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক হারুন আল রশিদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আবদুস সালাম, ড্যাবের এমএ সেলিম, জহিরুল ইসলাম শাকিল,শহিদুল আলম, পারভেজ রেজা কাঁকন, সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, মেহেদি হাসান, সম্মলিত পেশাজীবী পরিষদের শামীমুর রহমান শামীম, যুব দলের সাইফুল আলম নিরব, এসএম জাহাঙ্গীর, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, মতস্যজীবী দলের আব্দুর রহিম, ছাত্র দলের ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।