কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
“কিং অব কুড়িগ্রাম”নাম দেয়া একটি ষাড় যার ওজন এক হাজার কেজি। আসন্ন কোরবানী ঈদের বাজারে ষাড়টির মালিক পারুল বেগম দাম হাঁকালেন ১৫ লাখ টাকা।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের রাজারহাটের চাকিরপশার ইউনিয়নের পাঠক পাড়া গ্রামের ইদ্রিস আলীর স্ত্রী দীর্ঘ ৭ বছর আগে ৩টি বকনা বাছুর দিয়ে ক্ষুদ্রাকারে খামার শুরু করেন। ধীরে ধীরে এই খামারে গরুর সংখ্যা বাড়তে থাকে। খামার দেয়ার দুই বছর পর থেকে প্রতিবছর একটি করে গরু বিক্রি করেন তিনি। বর্তমানে দু’টি ষাড়, ৩টি বকনা বাছুর ও ৩টি গাভী সহ তার খামারে গরু রয়েছে ৮টি ।
প্রায় সাড়ে তিন বছর পূর্বে তাঁর খামারের একটি হলষ্টেইন ফ্রিজিয়ান জাতের গাভী থেকে জন্ম নেয় একটি বাছুর। ক্রমাগতভাবে বাছুরটি মোটা তাজা হতে থাকে। বর্তমানে বাছুরটি একটি বিশাল ষাড়ে পরিনত হওয়ায় খামার মালিক পারুল বেগম ওই ষাড়টির নাম রেখেছেন“কিং অব কুড়িগ্রাম” অর্থ্যাৎ কুড়িগ্রামের রাজা।
ষাড়টির মালিক পারুল বেগম বলেন, এর আগেও একাধিক ষাড় বিক্রি করেছি। তবে এটি এত বিশাল আকৃতির হবে তা কল্পনাও করতে পারিনি। বর্তমানে ‘কিং অব কুড়িগ্রাম’ নাম দেয়া এই ষাড়টির ওজন হয়েছে প্রায় এক হাজার কেজি। প্রতিদিন ১০ কেজি দানাদার খাদ্য সহ খড় ও কাঁচা ঘাস খাওয়াতে দিনে ৩০০-৩৫০ টাকা পর্যন্ত ব্যয় হয় বলে জানান।
খামারী পারুল বেগমের ছেলে রিয়াদ বলেন, আমরা ষাড়টি এখনো বাজারে উঠাইনি। বাড়িতেই এটির দাম উঠেছে ৬ লক্ষ টাকা, তবে ঈদের বাজারে এটি ১৫ লাখ টাকা বিক্রি হবে বলে আশা করছি। একই কথা বলেন পারুল বেগমও।
রাজারহাট উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের ভেটেনারী সার্জন পবিত্র কুমার বলেন, হলষ্টেইন ফ্রিজিয়ান জাতের ষাড় শুধু হাজার কেজি না,এর চেয়েও বড় হতে পারে। আমরা এই ষাড়টি ফিতা দিয়ে মেপে অনুমান করেছি এটি ১ হাজার কেজির মতো হবে।
#####
