বিনা টেন্ডারে শৈলকুপায় রাস্তার দুই পাশের গাছ কেটে কেটে সাবাড় করল দুর্বৃত্তরা!

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১
0

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
কোন প্রকার টেন্ডার বা কোটেশন ছাড়াই রাস্তার দুই পাশের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। দশ দিন ধরে প্রকাশ্যে রাস্তার গাছ কেটে বিক্রি করা হলেও শৈলকুপার প্রশাসন নির্বিকার বলে অভিযোগ উঠেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে যেন ‘সরকারী মাল, দরিয়ামে ঢাল’ অবস্থা।

গ্রামবাসির ভাষ্যমতে দশ দিনে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার গাছ কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই দৃশ্য ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের বাগুটিয়া গ্রামের রায়পাড়ার। সরেজমিন দেখা গেছে, বকশিপুর থেকে একটি কাঁচা সড়ক নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের বাগুটিয়ার ভেতর দিয়ে গেছে। এই সড়কের দু’ধার দিয়ে রয়েছে মেহগনী, কড়াইসহ বহু মূল্যবান গাছ। বাগুটিয়া রায়পাড়া অংশের বেশিরভাগ গাছ বিক্রি করেছে হটিফাজিলপুর গ্রামের শফিকুল নামের এক ব্যাক্তি। তার কাছ থেকে ওই গাছ কিনেছে হাটফাজিলপুরের ইটভাটা মালিক মানিক মোল্লা।

মেহগনী ও কড়াই গাছগুলি কেটে নেয়া হচ্ছে ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের সদস্য আমজাদ মোল্লার ইট ভাটাতে। গাছ ক্রেতা মানিক মোল্লা জেলা পরিষদ সদস্য আমজাদ মোল্লার ভাই। গাছ কাটা শ্রমিক নজরুল ইসলাম ও আমির হোসেন জানান, হাটফাজিলপুরের শফিকুল তাদের এই গাছ কাটতে বলেছে। গাছ টানার কাজে নিয়োজিত পরিবহন শ্রমিক বাদশা মিয়া জানান, হাটফাজিলপুরের আমজাদ মোল্লার ইট ভাটাতে এ সব গাছ রাখা হচ্ছে। পথচারী কাজল মন্ডল অভিযেগি করেন কয়েকদিন ধরে এসব সরকারী গাছ কাটা হলেও কেও বাধা দিচ্ছে না।

গাছ ক্রেতা মানিক মোল্লা জানান, শফিকুল ইসলামের কাছ থেকে আমি ৭০ হাজার টাকা দিয়ে এ সব গাছ কিনে নিয়েছি। ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের সদস্য আমজাদ হোসেন মোল্লা জানান, আমি তো গাছ কাটার বিষয়ে কিছুই জানি না। আমি জেনে আপনাকে জানাবো। সরকারী গাছ বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম জানান, রাস্তা সরকারী হলেও রাস্তার পাশের জায়গা আমাদের। গাছগুলো আমরাই লাগিয়েছি। শৈলকুপা এলজিইডি অফিসের ইঞ্জিনিয়র রওশন হাবিব জানান, এ সব রাস্তার গাছ রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব ইউনিয়ন ভুমি অফিসের।

ফলে গাছ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া না নেয়া তাদের ব্যাপার। স্থানীয় নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন জানান, রাস্তা কাদের তা তিনি জানেন না, তবে চুরি করে গাছ কাটা হচ্ছে। শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা লিজা জানান, রাস্তাটি ইউনিয়ন পরিষদের হলে সে তা বাস্তবে কতটুকু তা দেখতে হবে। তিনি বলেন, স্থানীয় ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। তিনি রিপোর্ট দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মোঃ জাহিদুর রহমান তারিক,
ঝিনাইদহ সদর অফিস,