২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য যেসব পণ্যের দাম কমছে ও বাড়ছে

আপডেট: জুন ৩, ২০২১
0

২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবারের বাজেটে কিছু পণ্যে আয়কর, শুল্ক, ভ্যাট অথবা সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।

ফলে মদ, সিগারেট, গুল, জর্দা, প্রসাধনী, বিদেশি ফল, জুস, স্যানিটারি টেবিলওয়্যার, কিচেন ওয়্যার, বিদেশি টাইলস এসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে।
অপরদিকে কোভিড-১৯ টেস্ট কিট, পিপিই এবং ভ্যাকসিন, তাজা ফল, মুড়ি, ক্রোকারিজ সামগ্রী, হাইব্রিড গাড়ি এসব পণ্যের দাম কমতে পারে।

বাড়ছে যেসব পণ্যের দাম..

বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি অর্থমন্ত্রী হিসেবে মুস্তফা কামালের তৃতীয় বাজেট। আর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৩তম বাজেট।

মদ-বিয়ার: বর্তমানে মদ আমদানিতে অন্যান্য শুল্কের সঙ্গে ৫ শতাংশ অগ্রিম কর নেওয়া হয়। নতুন বাজেটে এটা বাড়িয়ে ২০ শতাংশ আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।

ফল: এখন ফল আমদানিতে ৫ শতাংশ অগ্রিম কর দিতে হয়। এবারের বাজেটে এটি বাড়িয়ে ২০ শতাংশ আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে আমদানি করা ফলের দাম বাড়তে পারে।
প্রসাধনী: প্রসাধনী আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে এ সব পণ্যের দাম বাড়বে।সিগারেট, গুল ও জর্দা: অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ফলে সিগারেটসহ তামাকজাত পণ্য গুল, জর্দার দাম বাড়তে পারে।

জুস: নতুন বাজেটে আমদানি করা জুসের ওপর বাড়তি সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে এ পণ্যের দাম বাড়তে পারে।বিদেশি টাইলস: আমদানি করা টাইলসের ওপর বাড়তি সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। ফলে এই পণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে।
কিচেন ওয়্যার: কিচেন ওয়্যার পণ্য আমদানিতে বাড়তি ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করায় এ পণ্যের দাম বাড়তে পারে।

যেসব পণ্যের দাম কমছে

২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবারের বাজেটে কিছু পণ্যের ভ্যাট, আমদানি শুল্ক, আগাম কর অথবা সম্পূরক শুল্কে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
ফলে কোভিড-১৯ টেস্ট কিট, পিপিই এবং ভ্যাকসিন, তাজা ফল, মুড়ি, ক্রোকারিজ সামগ্রী, হাইব্রিড গাড়ি এসব পণ্যের দাম কমতে পারে।

বৃহস্পতিবার (০৩ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি অর্থমন্ত্রী হিসেবে মুস্তফা কামালের তৃতীয় বাজেট। আর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৩তম বাজেট আর দেশের ৫০ তম বাজেট।

প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষি যন্ত্রপাতি যেমন ইউডার (নিড়ানি) ও উইনোয়ারের (ঝাড়াইকল) উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ের ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে থ্রেসার মেশিন, পাওয়ার রিপার, পাওয়ার টিলার, অপারেটেড সিডার, কম্বাইন হারভেস্টর, রোটারি টিলার, নিড়ানি ও ঝাড়াইকলের আমদানি পর্যায়ের আগাম কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে।

স্পিনিং মিলে ব্যবহৃত পেপার কোনের ওপর বিদ্যমান মূল্য সংযোজন কর ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে কোভিড-১৯ টেস্ট কিট, পিপিই এবং ভ্যাকসিন আমদানি উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা বহাল রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে।

ব্যবসায়ী পর্যায়ে ফলের ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাই ফলের দাম কমতে পারে।

উৎপাদন পর্যায়ে মুড়ির ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাই প্যাকেটজাত মুড়ির দাম কমতে পারে। সিসিভেদে মাইক্রোবাস আমদানিতে শুল্ক কমানো হয়েছে। তাই মাইক্রোবাসের দাম কমতে পারে। হাইব্রিড গাড়ির সম্পূরক শুল্ক কমানো হয়েছে। তাই জ্বালানি বান্ধব গাড়ির দাম কমতে পারে।

গ্রামাঞ্চলে মানুষের স্যানিটেশন সুবিধা আরও সুলভ করার লক্ষ্যে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ‘লং প্যান’-এর ওপর থেকে ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অটিজম সেবার কার্যক্রমের ওপর ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত স্যানিটারি ন্যাপকিনের ওপর প্রযোজ্য সমুদয় ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্যানিটারি ন্যাপকিন ও ডায়াপার উৎপাদনের লক্ষ্যে কতিপয় কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা দুই বছর বাড়ানো হয়েছে।

এছাড়া ব্লেন্ডার, জুসার, মিক্সার, গ্রাইন্ডার, ইলেক্ট্রিক কেটলি, রাইস কুকার, মাল্টি কুকার, প্রেসার কুকারের স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এতে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে। ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন ও ইলেক্ট্রিক ওভেনের উৎপাদন পর্যায়ের ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের দামও কমতে পারে।