গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কে পশ্চিম আফ্রিকার দু’জাতের ৩৫ পাখি

আপডেট: অক্টোবর ১২, ২০২১
0

গাজীপুর সংবাদদাতাঃ গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কে আনা হয়েছে পশ্চিম আফ্রিকার দুটি জাতের মোট ৩৫টি পাখি। এরমধ্যে ৩০টি পাখি সুস্থ্য রয়েছে। সেনেগাল থেকে আনা এ পাখিগুলোকে হযরত শাহজালাল (রহঃ) আন্তজার্তিক বিমান বন্দর হতে খালাসের অনুমতি না দেওয়ায় সেগুলোকে ওই পার্কে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাতে পাখিগুলো এ পার্কে আনা হয়। পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বন কর্মকর্তা তবিবুর রহমান জানান, বাংলাদেশ বন বিভাগের বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ ইউনিটের মাধ্যমে এ পার্কে পাখিগুলো আনা হয়েছে। জীবাণু ঝুঁকি এড়াতে আমদানী করা পাখিগুলো পার্কের ভেতরেই কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। ঢাকার একটি আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি দুই হাজারের বেশি পাখি আমদানী করে। এর মধ্যে ৫৮টি পাখির অনাপত্তি সনদ না থাকায় সেগুলো হযরত শাহজালাল (রহঃ) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে খালাসের অনুমতি পায়নি। কাস্টমসের তত্বাবধানে থাকাকালে প্রচন্ড গরম ও হঠাৎ প্রতিকূল পরিবেশের কারণে প্রায় অর্ধেক সংখ্যক পাখি মারা যায়। তবে পার্কে আনার পর ৩০টি পাখি সুস্থ্য রয়েছে।

পার্ক সুত্র জানায়, পাখিগুলোর মধ্যে ওয়েস্টার্ণ প্লেইনটেইন ইটার (বিংঃবৎহ ঢ়ষধহঃধরহ বধঃবৎ) ও গ্রীণ ক্রিস্টেড টুরাকো (মৎববহ পৎবংঃবফ ঃঁৎধপড়) জাতের পাখি রয়েছে। ওয়েস্টার্ণ প্লেইনটেইন ইটার জাতের পাখিগুলো গ্রীষ্মমন্ডলীয় পশ্চিম আফ্রিকার উম্মুক্ত উডল্যান্ড আবাসস্থলের আবাসিক প্রজননকারী। এগুলো দুই বা তিনটি ডিম পাড়ে। এদের লেজ কমপক্ষে ৫০ সে.মি. লম্বা হয়ে থাকে। এই প্রজাতির পাখিগুলো বিশেষ করে ডুমুর, বীজ এবং অন্যান্য উদ্ভিজ্জ পদার্থ খেয়ে থাকে। পশ্চিম আফ্রিকায় এরা খুব পরিচিত।

অপরদিকে, গ্রীণ ক্রিস্টেড টুরাকো গ্রীষ্মমন্ডলীয় পশ্চিম আফ্রিকা বনের পাখি। এ পাখিগুলো উজ্জ্বল সবুজ এবং নীল। চোখের চারপাশ লাল এবং সাদা বর্ণে মোড়ানো। একটি বড় তুরাকো প্রায় ৪০-৪৩ সে.মি লম্বা এবং ওজন ২২৫-২৯০ গ্রাম। এগেুলো রেইন ফরেস্টে বসবাস করতে পছন্দ করে।