বরেণ্য রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের ইন্তেকাল

আপডেট: মার্চ ১৬, ২০২১
0
file photo

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ইন্তকাল করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের চেম্বারের জুনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে অধ্যাপক ডা. চার্লস ত’র অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন মওদুদ আহমদ। সাথে তার স্ত্রী হাসনা মওদুদ আছেন।

গত ৫ মে বুকে ব্যথা, শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যাসহ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মওদুদ রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হন। গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর আগেও গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এই বিএনপি নেতা।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ১৯৪০ সালের ২৪ মে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন।

মওদুদ আহমদ দেশের এক বর্ণাঢ্য রাজনীতিক। তিনি আইনমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী এবং উপরাষ্ট্রপতি ছিলেন। এরশাদ সরকারের উপরাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। তবে এর আগে তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন। জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। আশির দশকে এরশাদের সাথে তার যুক্ত হওয়া ছিল দারুণ রাজনৈতিক চমক।

১৯৮২ সালে এরশাদ সামরিক শাসন জারি করার পর বিশেষ সামরিক আদালতে ১০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন এই রাজনীতিক। ১৯৮৫ সালে সেই দণ্ড মাথায় নিয়েই এরশাদ সরকারের মন্ত্রী হন। এরপর প্রধানমন্ত্রী ও উপরাষ্ট্রপতি হন মওদুদ আহমেদ। এরশাদের পতনের পর ১৯৯৬ পর্যন্ত তিনি জাতীয় পার্টিতে ছিলেন। এর পরপরই ‘ঘরের ছেলে ঘরে ফেরা’র মতোই বিএনপিতে ফিরে আসেন। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর তিনি আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী মওদুদ আহমেদ ধানের শীষ ও লাঙ্গল—দুই প্রতীকেই নির্বাচন করেছেন। পাঁচবার মওদুদ আহমেদ নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা থেকে নির্বাচিত হন।