বাউফলে আসামিরা প্রকাশ্যে! ধরছে না পুলিশ, বাদী এলাকাছাড়া

আপডেট: এপ্রিল ১৮, ২০২১
0

বাউফল প্রতিনিধি ,পটুয়াখালী :

পটুয়াখালীর বাউফলে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। উপরন্তু আসামিরা মামলার বাদীকে হুমকি দেওয়ায় তাঁরা পরিবার-পরিজন নিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে বাউফল উপজেলার সূর্যমনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বাচ্চু এবং তার সম্বন্ধী ও শ্যালোকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগ এনে পটুয়াখালী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আমলী আদালতে বৃহস্পতিবার ৪ (এপ্রিল ) মাহাবুব আলম আকন মামলা করলে আদালত আমলে নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছেন-মামলা নং সি আর ১৪২/২১।

মামলার বাদী মাহাবুব আলম আকন অভিযোগ করে বলেন, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী মামলার প্রায় দুই সপ্তাহ পার হলেও পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না। পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আসামিরা একসঙ্গে চলাফেরা করছেন, চা খাচ্ছেন অথচ তাঁদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। উপরন্তু আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন আসামিরা। নিরাপত্তাহীন হয়ে আমরা অন্য জেলায় আশ্রয় নিয়েছি। আসামিরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্যও হুমকি দিচ্ছেন। বিষয়টি পুলিশকে জানানোর পরেও অজ্ঞাত কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।

মামলার অভিযোগে মাহাবুব আলম আকন উল্লেখ করেন, সূর্যমনি ইউনিয়নের পশ্চিম ইন্দ্রোকুল গ্রামে তার বাড়ি। তিনি পেশায় একজন ঠিকাদার। তিনি বাড়িতে একটি পাকা ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। তার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, তার শ্যালোক, আনিচুর রহমান ও সম্বন্ধী আলমগীর হোসেনসহ ৮জন গত ২৩ মার্চ বাড়িতে গিয়ে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেয়ায় রাতে মাহাবুব আলমের বাড়ি ঘেরাও করে ঘরে প্রবেশ করে স্বর্ণালঙ্কার সহ নগদ টাকা নিয়া যায়। এবং মাহাবুব আলমের ছেলে আসিফ আকনকে নিয়ে আনিচের টর্চার সেলে আটকিয়ে বেধরক পিটিয়ে কাটিং প্লাস দিয়ে হাত পায়ের নখ উঠিয়ে দেয়।

এ ঘটনায় তিনি ২ এপ্রিল বাউফল থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। বরং আসামী আনিচ, অভি ও আলমগীর বাউফল থানায় উপস্থিত হয়ে পুলিশের সামনে বলেন, ‘থানা আমরা ভয় পাইনা’ পুলিশ আমাদের পক্ষে।

অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেন, চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ও তার শ্যালোক আনিচ ও সস্বন্ধী আলমগীর বাহিনীর হাতে সূর্যমনি ইউনিয়নের মানুষ জিম্মি হয়ে আছে। এই বাহিনী এলাকায় চাঁদাবাজিসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে বেড়াচ্ছে। এই বাহিনীর হাতে ইতিপূর্বে এলাকার এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন, ফয়সাল হোসেন, মাহাবুব আলম, মাওলানা ফোরকান, জহির উদ্দিন, সাহাবুদ্দিন মেম্বার ও রেজাউল করিম অভি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এই বাহিনীর অন্যায় অত্যাচারের প্রতিবাদ করায় সাহাবুদ্দিন মেম্বার বর্তমানে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এই বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে সিআর ১৪১/২১, সিআর ১৪২/২১সহ থানা ও কোর্টে একাধিক মামলা রয়েছে। এ লিখিত অভিযোগের অনুলিপি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপির কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত মোঃ আল মামুন কে মোবাইলে ফোন দিলে রহস্যজনক কারনে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে এরিয়ে যান।