খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে তবে শংকামুক্ত নয়: ফখরুল

আপডেট: মে ১৪, ২০২১
0

খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যের অবস্থা ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে গেলেও এখনো আশংকামুক্ত নয়। সকালে জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি জানান, করোনা নিয়ে সরকারের ভুল পলিসিতে বিভ্রান্ত হয়েছে জনগন। বাজেটের বড় অংশ সাধারন মানুষের জন্য ব্যয় করার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ ঈদ বলতে তো এখন কিছু নেই আসলে। ঈদের যেটা আনন্দ বা ঈদ যে জন্য করা হয়..। আপনি দেখেছেন যে, সরকারের ভুল নীতির কারণে আজকে কিভাবে আপনার মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে গেছে। এমনকি বাড়ী যাওয়ার পথে ইতিমধ্যে ৫ জন নিহত হয়েছে পথপৃষ্ট হয়ে।”

‘‘ অন্যদিকে দেখুন যে, তাদের(সরকার) ভুল সিদ্ধান্তের কারণে একদিকে তারা বলছে লকডাউন বলছে কিন্তু কোনো লকডাউন পালন হচ্ছে না। গণপরিবহন বন্ধ করেছেন কিন্ত ‍বন্ধ হচ্ছে না। আজকে যদি আপনার এই ঘটনাগুলো না ঘটতো, সঠিকভাবে পরিকল্পনাগুলো করতেন তাহলে এমন হতো না।”

তিনি বলেন, ‘‘ আমরা বার বার করে বলছি, প্রণোদনার যে টাকা তা যদি সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে পৌঁছতো তাহলে এই অবস্থা হতো না। সাধারণ মানুষ সরকারের কাছ থেকে কোনো প্রণোদনা বা কোনো সাহায্য পায়নি-এটা বাস্তবতা। এটা আমার কথা নয়, অর্থনীতিবিদরা বলছেন।”

‘‘ আমরা সেই কারণে বলি যে, সরকারের অবিলম্বে যে কাজটা করা দরকার- তাদের বাজেটের একটা বিরাট অংশ- মেগা প্রজেক্ট তারা করছে। এর একটা বড় অংশ জনগন তথা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানো দরকার-এটাই হওয়া উচিত সবার আগে কাজ।”

‘খালেদা জিয়ার ঈদ মোবারক’

এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে, জনগনকে ঈদের শুভেচ্ছা, ঈদ মোবারক জানিয়েছেন। তিনি আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে। তিনি শুধু নিজের জন্য নয়, সারাদেশের মানুষের জন্য দোয়া চেয়েছেন।”

‘‘ দেশনেত্রী যেন সুস্থ হয়ে আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসতে পারেন সেজন্য আমরাও আল্লাহর কাছে দোয়া চেয়েছি।”

বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৭ এপ্রিল থেকে চিকিতসাধীন রয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন।

সকাল সাড়ে ১১টায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খানকে নিয়ে বিএনপি মহাসচিব শেরে বাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে আসেন।

সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তারা ফাতেহা পাঠ করে বিশেষ মোনাজাত করেন।

এ সময়ে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সও ছিলেন।