ভোটাধিকার আন্দোলন: গণতন্ত্র হত্যায় আমলারাই সরকারের নিরব হাতিয়ার

আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১
0


– এ্যাডঃ তৈমূর আলম খন্দকার

দীর্ঘ টানা ১২ বৎসর যাবৎ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায়, পদ¥া সেতু, মেট্রো রেলসহ ইট সিমেন্টের কর্মকান্ড দৃৃশ্যমান হলেও নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগে অভিযুক্ত এ সরকার জনগণের আস্থায় নেই বল্লে অযৌক্তিক হবে না। সরকার যদি জনগণের আস্থায় থাকতো তবে গণহারে “গায়েবী” মোকদ্দমা সৃজন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বাধ্য করতো না, দিনের ভোট রাত্রে করার অভিযোগে সরকারকে পড়তে হতো না। সরকারী প্রভাবমুক্ত একটি জাতীয় নির্বাচনের জন্যই যুগপৎ আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য সংবিধানে সংশোধনী আনা হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮ ইং সনে ক্ষমতায় আসার পরই নিরষ্কুস ক্ষমতার বলে সংবিধান সংশোধন করে নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকারের প্রোভিশন বাতিল করে দেয়। এ জন্য ক্ষমতাসীন দল সাবেক প্রধান বিচারপতি, বিচারপতি এ.বি.এম খায়রুল হক’কে ব্যবহার করেছে বলে সম্প্রতি জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় গণতন্ত্র হত্যার অভিযোগে খায়রুল হকের বিচার দাবী করা হয়েছে।

গণমানুষের ভোটাধিকারের দাবীতেই স্বাধিকার আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা আন্দোলন, ফলশ্রুতিতে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা। ১৯৭০ ইং সনে পাকিস্তান সরকার পূর্ব-পাকিস্তানের জনগণের ভোটের রায়কে যদি মেনে নিতো তবে রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রয়োজন হতো না। স্বাধীনতার পর জাতি একটি সংবিধান পেয়েছে, নিশ্চয়তা পেয়েছিল মৌলিক অধিকারের, যা এখন শুধুমাত্র কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ, অধিকার আদায়ের প্রশ্নে গণমানুষ সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। একদিকে বিরোধী দলগুলি অহেতুক মামলা মোকদ্দমাসহ নানাবিধ নির্যাতনের শিকার, অন্যদিকে মিডিয়া, বুদ্দিজীবীদের একটি বড় অংশ ও আমলা শ্রেণী সরকারের আর্শীবাদ পুষ্ট হওয়ার কারণে রাজনৈতিক তথা ভোটাধিকারের হাওয়া যে ভাবে প্রবাহিত হওয়ার কথা ছিল সে ভাবে হচ্ছে না। বাংলাদেশের রাজনীতি এখন বিভিন্ন ধারায় বিভক্ত :-

(১) ধর্মভিত্তিক রাজনীতি।

(২) বাম ধারনার রাজনীতি।

(৩) মধ্যে পন্থী বা উদার পন্থী গণতান্ত্রিক রাজনীতি।

(৪) ক্ষমতার রাজনীতি।

(৫) তৃতীয় ¯্রােত

(১) ধর্ম ভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠনগুলি ইসলামিক শাসনতন্ত্র ভিত্তিক সরকার গঠনে বিশ্বাসী, মিছিল মিটিং এ তারা অনেক লোকের সমাবেশ করতে পারে, কিন্তু তারা ঐক্যবদ্ধ নহে। একদল অন্যদলের বিরুদ্ধে কঠিন ভাষায় সমালোচনা করে, যতটুকু না তারা সরকারের বিরুদ্ধে বলে। হেফাজত একটি শক্তিশালী সংগঠন হিসাবে আতœপ্রকাশ করে ছিল, কিন্তু সোনারগাঁও রিসোর্ট ক্যালেঙ্কারীতে ধরাশায়ী হয়েছে। বোট ক্লাব ও তৎসম্পর্র্কীত পরবর্তী ক্যালেঙ্কারী একই শ্রেণীভুক্ত ঘটনা হওয়া স্বত্বেও সোনারগাঁও রিসোর্ট ক্যালেঙ্কারীর ঘটনায় প্রশাসনিক ও বিচারিক দৃর্ষ্টি সমভাবে বর্ষিত হয় নাই, উভয় ঘটনায় জামিনের প্রশ্নে বিচারিক সিদ্ধান্তে সরকারের ইচ্ছারই প্রতিফলন ঘটেছে। জামাতে ইসলামী কর্মী ভিত্তিক একটি সু-সংগঠিত দল। চেইন অব কমান্ড তাদের অনেক দৃঢ়। কর্মীদের পড়াশোনা আছে, রয়েছে বিজ্ঞান ভিত্তিক জ্ঞান চর্চা। কিন্তু স্বাধীনতার প্রশ্নে বির্তকিত কর্মকান্ড তাদের পিছুটানছে, যদিও গ্রেফতার হওয়া অনেকের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় জন্মই হয় নাই। জামাতে ইসলামকে সরকার নুন্যতম ছাড় দিচ্ছে না, যে কোন ভাবেই তাদের পোষ মানানোই এখন টার্গেট হতে পারে। খুজে খুজে তাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে সন্ত্রস দমন আইনে মামলা দিচ্ছে, বিচারিক সিদ্ধান্ত তাদের অনুকূলে হয় না। স্বাধীনতার বিষয়টি সামনে রেখে জামাতে ইসলাম থেকে বেরিয়ে এসে “আমর বাংলাদেশ পার্টী” (এ.বি. পার্টী) গঠিত হয়েছে, কিন্তু দেশব্যাপী পরিচিত এমন নেতা না থাকার কারণে দলটি কতটুকু এগুতে পারবে তা বুঝা যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে ২০ জন উক্ত দলত্যাগ করে কল্যান পার্টীতে যোগ দিয়েছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে দুইধারার রাজনীতি দেশবাসী গ্রহণ করবে না, যথা- (১) স্বাধীনতা বিরোধী রাজনীতি ও (২) ধর্ম বিমূখ বা ধর্ম বিরোধী রাজনীতি, কারণ এ দেশের মানুষ অত্যান্ত ধর্মভীরু, তবে বুদ্দিজীবী অংগনে নাস্তিকের সংখ্যা মোটেও কম না, বিশেষ করে কোলকাতা মনস্ক বুদ্দিজীবিরা। উগ্রপন্থী রাজনীতিও দেশবাসী সমর্থন করে না।

(২) বাম ধারনার রাজনীতির একটি ব্যাপক প্রভাব জনগণের মধ্যে এখনো তারা সৃষ্টি করতে না পারলেও আন্দোলন সংগ্রাম ও গণমানুষের অধিকার আদায়ের প্রশ্নে সক্রিয়, তবে বিভিন্ন ধ্যান ধারনায় বিভক্ত, ঐক্যবদ্ধ নহে। কোন কোন বিষয়ে তারা ঐক্যবদ্ধ হয় বটে, যা ইসলামিক দলগুলি হতে পারে না। বিশ্বব্যাপী বাম রাজনীতির প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। ধর্মভিত্তিক দলগুলি যদি ঐক্যবদ্ধ হতে পারতো তবে সরকারের খুটি কাপানোর ক্ষমতা তারা রাখে, একথা প্রমানিত। কিন্তু ঐক্যবদ্ধ নেতা নির্বাচন করার ক্ষেত্রে তারা কেহ কাহাকেও মানতে পারছে না, ফলে ইসলামী ঐক্যের আন্দোলন ভেস্তে যাচ্ছে, যার ফয়দা লুটে নিচ্ছে সরকার।

(৩) বাংলাদেশে অনেক উদার পন্থী বা মধ্য পন্থী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল রয়েছে যারা নেতা সর্বস্ব। উদার পন্থী গণতান্ত্রিক দলের মধ্যে বিরোধী অবস্থানে বিএনপি একটি গণভিত্তিক দল। গ্রাম গঞ্জে দলের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সহ দলের একটি ব্যাপক পরিচিতি ও সমর্থক রয়েছে। এ দলের কমিটিতে অর্ন্তরভুক্তির জন্য তৃণমূল পর্যায়ে এখনো দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রতিযোগীতা চলে। সরকারের নানাবিধ নির্যাতন তৃণমূলে দলের মধ্যে ভাঙ্গন সৃষ্টি করতে পারে নাই। উপরের স্তরে কিছু ভিন্নতা আছে, দলের সুবিধা ভোগ করেও এই দু:সময়ে পদত্যাগ বা নিষ্ক্রীয় রয়েছে। পুলিশী নির্যাতন ছাড়াও গ্রামে গঞ্জে এম.পি বাহিনী দ্বারা বিএনপি নেতা-কর্মীরা নির্যাতিত। ডান বাম ২০টি শরীক দল নিয়ে বিএনপি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্ট গঠন করত: ২০১৮ ইং সালের নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে। যাতে বিএনপি’র মত একটি বড় দল লাভবান হয় নাই, লাভবান হয়েছে ড. কামাল হোসেন ও সরকার। প্রধানমন্ত্রীর সাথে নির্বাচন পূর্ব সংলাপে ঐক্যফ্রন্ট বিএনপি চেয়ারপার্সনের মুক্তি জোড়ালোভাবে চায় নাই। একজন খ্যাতিনামা আইনজীবী হিসাবে ড. কামাল একদিনের জন্যও হাই কোর্ট বা এ্যাপিলেট ডিভিশনের বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের মুক্তির জন্য শুনানীতে অংশগ্রহণ করেন নাই অথবা ম্যাডামের উপস্থিতিতে সংলাপ করার দাবীও করা হয় নাই। বরং ড. কামালের কিছু বক্তব্য বুমেরাং হয়েছে। নির্বাচনে পাশ করলে কে হবে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী এমর্মেও ঐক্যফ্রন্ট কোন প্রকার ঘোষনা দিতে পারে নাই, যা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জাতীয় নির্বাচনের অপরিহার্য বিষয়। ঐক্যফ্রন্ট করে বি.এন.পি রাজনৈতিক ভাবে কতটুকু লাভবান হয়েছে তাহাও বিশ্লেষনের দাবী রাখে, বি.এন.পি’র ভবিষ্যত রাজনীতির স্বার্থে। ডা. জাফর উল্ল্যাহ চৌধুরী সরকার বিরোধী যে কোন সমাবেশে উপস্থিত হয়ে সরকারের কঠিন সমালোচনা করেন, যা জনমত গঠনে সহায়ক, কিন্তু সম্প্রতি তার অপ্রসাঙ্গিক বক্তব্যে দেশের সবচেয়ে বড় বিরোধী দল বিএনপি থেকে দূরে সড়ে পড়েছেন, এতে তিনি লাভবান হন নাই, বরং লাভবান হবে সরকার।

(৪) বাংলাদেশে ক্ষমতার রাজনীতির মজা ভিন্নতর। যে কোন সরকার ক্ষমতায় গেলে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের প্রয়োজন মনে করে না, দলে প্রশিক্ষিত কর্মী বাহিনী গড়ে তোলে না। তখন সরকারের মূলশক্তি হিসাবে মূল্যায়িত হয় আমলা ও এম.পি। এম.পি ও আমলার মধ্যে কন্টক বাধলে সরকার আমলাদেরই পক্ষ নেয়। এখন সরকার বুঝতে পেরেছে যে, ক্ষমতায় থাকতে হলে লোক দেখানো জাতীয় সংসদ থাকতে হয় বটে, কিন্তু আমলা ছাড়া ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকা সম্ভব হয় না। তাছাড়া সাংবিধানিক মৌলিক অধিকারকে পদদলিত করে বিরোধী দলের মূখ বন্ধ রাখার নানাবিধ কুটকৌশল একমাত্র আমলাদের হাতেই রয়েছে, ফলে গণতন্ত্রের গলা চিপে ধরার জন্য আমলারাই সর্বশ্রেষ্ঠ নিরব হাতিয়ার, অর্থাৎ আঘাতের পর আঘাত করবে, কিন্তু রক্ত বেরুবে না। আমলাদের সকল অগণতান্ত্রিক কর্মকান্ড জায়েজ করার জন্য রয়েছে সরকারী আর্শীবাদ পুষ্ট বুদ্দিজীবিদের গালভরা বুলি। একটি সত্যনিষ্ঠ কথা বললেও বুদ্দিজীবিরা সেখানে সাম্প্রদায়িকতার গন্ধ খুজে মূল ধারনা থেকে জনগণকে সরিয়ে আনে। বাংলাএকাডেমীর মত একটি নিরপেক্ষ অরাজনৈতিক বুদ্দিভিত্তিক জাতীয় প্রতিষ্ঠানকে সরকারী আর্শীবাদ পুষ্ট বুদ্দিজীবিরা দখল করে রেখেছে। বাংলা একাডেমীর সদস্যদের দ্বারা একটি নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা বাংলা একাডেমী পরিচালিত হওয়ার কথা থাকলেও সরকার নিযুক্ত কমিটি দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। ফলে সরকার বিরোধী কোন লেখকের লেখা বই ছাপানোর দায়িত্ব বাংলা একাডেমী গ্রহণ করে না। ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া সরকার করায়ত্ত করে ফেলেছে। অধিকন্তু রয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ ২০১৮। জাতীয় প্রেস ক্লাব এখন সরকার ঘরনায় সাংবাদিকদের দখলে। বুক পকেটে ৩/৪টি কলম, কাধে ঝুলানো ব্যাগ এবং খদ্দর কাপড়ের পাঞ্জাবী গায়ে দেখে আগের মত এখন বুদ্দিজীবি চেনার উপায় নাই, কারণ তারা এখন বিলাশবহুল আলীসান গাড়িতে চড়ে, যার পিছনে রয়েছে সরকারী পৃষ্ঠপেষকতা, ফলে জনগণের মৌলিক অধিকারের পক্ষে কথা না বলে নিজেদের ও পরিবারের ভাগ্যে পরিবর্তন নিয়েই সচেষ্ট রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ভিন্নতর কিছু থাকলেও তা সংখ্যার দিক থেকে নগন্য। সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে অর্নিবাচিত এ্যার্টী জেনারেলকে বসানোর জন্য সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করে বি.এন.পি পন্থী আইনজীবীদের বিরোধীতার কারণে বিমূখ হচ্ছে, তবে জোড়ালো চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

(৫) বাংলাদেশে ৪৭টি নিবন্ধনকৃত দল রয়েছে। নিবন্ধনের অপেক্ষায় রয়েদেছ আরো ১৫ থেকে ২০টি দল। তৃতীয় ¯্রােতের রাজনীতি শুরু করার জন্য সুশীল সমাজ সচেষ্ট রয়েছে, সম্ভবনাময় ছাত্রনেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভি.পি’কে দলের মূখপাত্র হিসাবে দাড় করানো হয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কোন বিকল্প পরিবেশ পরিস্থিতি ছাড়া বড় ধরনের রাজনৈতিক দল গড়ে উঠা কতটুকু বাস্তব? কেহ বলেন জনতার ঐক্যবদ্ধ শক্তিই ক্ষমতার উৎস্য, কেহ বলেন বন্দুকের নলই ক্ষমতার উৎস্য। কোনটা সত্য বা কোনটা মিথ্যা তা সময়ই বলে দেয়।

বাংলাদেশে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ সবচেয়ে বড় সমস্যা। ব্রুক্রেসী কু এর কারণে জনগণ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ বলেছিলেন যে, ২০১৮ নির্বাচনের মতো এতো সুন্দর নির্বাচন তিনি দেখেন নাই। পুলিশ প্রধান ও নির্বাচন কমিশন অনুরূপ মন্তব্যই করেছেন। সরকারী দলের মূখপাত্র এইচ.টি ইমাম বলেছিলেন যে, ভবিষ্যতে আরো সুন্দর নির্বাচন হবে। এখন জনগণ বলতে পারবে যে, কতটুকু সুন্দর নির্বাচন হয়েছে? শতকরা কতজন ভোটার ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন? গায়েবী মোকদ্দমায় আসামী হয়ে কতজন কারাবন্দী ও বাড়ীঘর ছাড়া ছিলেন? একথা বিবেক’কে স্বাক্ষী রেখে জনগণকে বলতে হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে। মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, যেমন- ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল স্বাধীনতা যুদ্ধে এবং নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবীতে, তেমনি ভোটাধিকার বাস্তবায়নের দাবীতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া এখন অন্যকোন বিকল্প নাই। জাতীয় কোন সংকটে বিদেশী শক্তি বা রাষ্ট্র বিবেচনা করে নিজেদের বানিজ্যিক স্বার্থ, আর জাতিসংঘ প্রকাশ করে উদ্বেগ; ফলে জাতিকে নিজের সিদ্ধান্ত নিজেদেরই নিতে হবে। ভোটাধিকার সংকট যদি আশু সমাধান না হয় তবে ২০২৩ এর জাতীয় নির্বাচন ২০১৮ এর মতোই হবে। প্রয়াত এইচ.টি. ইমামের ভাষ্য মতে আরো সুন্দর নির্বাচন হবে, তবে জনগণ, ভোটার ও বিরোধী দলকে থাকতে হবে বহুদূরে, ফলে জাতি হবে আশা হত, স্বাধীনতার চেতনা হবে ভূলষ্ঠিত।

লেখক

রাজনীতিক, কলামিষ্ট ও আইনজীবি (এ্যাপিলেট ডিভিশন)

মোবাঃ ০১৭১১-৫৬১৪৫৬