যুবদল ছাত্রদলের প্রায় এক ডজন নেতাকর্মী গ্রেফতারে মীর্জা ফখরুলের নিন্দা ও প্রতিবাদ

আপডেট: নভেম্বর ২, ২০২১
0

মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় কিশোরগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক হুমাইন কবির ভূঞা, সহ-সাংগঠনিক টুটুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ উবায়দুর রহমান শাকিল, জেলা ছাত্রদল সহ-সভাপতি মোঃ সুরান, সহ-সভাপতি আনান ইসলাম আকাশ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রাজিব, যুগ্ম সম্পাদক আবির ইসলাম, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক শফিকুল ইসলাম নয়ন এবং গুরুদয়াল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক নাঈম কিশোরগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “বিএনপিসহ বিরোধী পক্ষকে স্তব্ধ করে একটি নির্বাক জনসমাজ গড়ে তুলতে উঠেপড়ে লেগেছে বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার। এরা সরকারের পতনের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছে, তাই মরণ কামড় দিতে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, গায়েবী ও বানোয়াট মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীই আওয়ামী সরকারের টিকে থাকার ভিত্তি, জনগণ নয়। তাই আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী বিরোধী পক্ষকে বন্দীশালায় আটকে রাখতে উন্মাদ হয়ে গেছে। এরা বিরোধী পক্ষকে নিষ্ঠুর দমন-পীড়ণের মাধ্যমে দাবিয়ে রাখতে রাষ্ট্রশক্তিকে নির্লজ্জ অপব্যবহার করছে।

এদের হাতে গণতন্ত্র কখনোই সুরক্ষিত থাকেনি, এরা বারবার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের মাধ্যমে কর্তৃত্ববাদী একদলীয় দুঃশাসন কায়েম করে। দেশের জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি যাতে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে না পারে সেজন্যই আওয়ামী সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দমন-নিপীড়ণ চালাতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগের দূর্বিনীত দুঃশাসনে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি এখন অমানবিক রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।

দেশে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, প্রশাসন, আইন, বিচার সবকিছুতেই এখন একমাত্রিক, একদলীয় বৈশিষ্ট্য প্রকট হয়ে উঠেছে। প্রতিকারহীন এই রাষ্ট্রের মানুষ এখন গভীর হতাশায় নিমজ্জিত। তাই আওয়ামী সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসন ও দমন-পীড়ণ থেকে মুক্তি পেতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে রাজপথে নেমে আসার আহবান জানাচ্ছি।

দেশব্যাপী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর চলমান দমন-পীড়ণের ধারাবাহিকতায় কিশোরগঞ্জ জেলার যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের ১০ জন নেতাকর্মীর জামিন বাতিল এবং তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আমি অবিলম্বে কিশোরগঞ্জ জেলার জাতীয়তাবাদী যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ১০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কাল্পনিক মামলা প্রত্যাহার এবং তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি করছি।”