বিশ্বকাপ থেকে বিদায় ঘণ্টা বাজলো টাইগারদের

আপডেট: নভেম্বর ২, ২০২১
0

বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্বে ব্যর্থতার বলয়েই বাংলাদেশ। মূল পর্বের চতুর্থ ম্যাচেও হেরেছে বাংলাদেশ। মাত্র ৮৪ রানের পুঁজি নিয়ে আসলে লড়াই হয় না। যদিও শুরুতে আশার ছাপ রেখেছিলেন তাসকিনরা। শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ছয় উইকেটের হারে এক ম্যাচ হাতে রেখে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় ঘণ্টা বাজলো মাহমুদউল্লাহদের। সীমাহীন ব্যাটিং ব্যর্থতার লজ্জা। বোলিংয়ে একটু ভালো করলেও হার এড়ানো যায়নি।

গাণিতিক যে হিসাব ছিল, তাও শেষ হলো এই ম্যাচে হারের মধ্য দিয়ে। শেষ ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে, আগামী বৃহস্পতিবার। যে ম্যাচটি রূপ নিলো নিতান্তই আনুষ্ঠানিকতার।

মঙ্গলবার আবুধাবিতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৮৪ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ১৩.৩ ওভারে। উইকেট পতন হয় মাত্র চারটি। এই জয়ে গ্রুপ ওয়ান থেকে সেমির দৌড়ে এগিয়ে গেল প্রোটিয়ারা।

সহজ জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকাকে শুরুতে চেপে ধরে বাংলাদেশ। দলীয় ৬ রানে তাসকিনের আঘাত। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বল। অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করে বল সিম থেকে অনেকটা ভেতরে ঢোকে তীক্ষ্ণভাবে। হেনড্রিকেসের ডিফেন্স করার চেষ্টা হয় ব্যর্থ, বল লাগে প্যাডে। আঙুল তুলতে সময় নেননি আম্পায়ার। ৫ বলে ৪ রানে আউট হেনড্রিকস।

ডি কক ও ভ্যান ডার ডসন তাও এগিয়ে নিতে থাকেন দলকে। দলীয় ২৮ রানের মাথায় মেহেদীর আঘাত। দারুণ বুদ্ধিদীপ্ত ডেলিভারি। বোল্ড হয়ে যান ডি কক। দলীয় ২৮ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন। ১৫ বলে তিন চারে ১৬ রান করেন কক। দলীয় ৩৩ রানে তাসকিনের আগুনে ডেলিভারি। শূন্য রানে ফেরেন ফর্মে থাকা এইডেন মারক্রাম। অফ স্টাম্পের বাইরে দারুণ লেংথে গতিময় ডেলিভারি করেন তাসকিন। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে যায় স্লিপে, নাঈমের হাতে।

এরপর অবশ্য আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি প্রোটিয়াদের। ডসন ও বাভুমা জুটি দলকে নিয়ে যান জয়ের খুব কাছাকাছি। ৮০ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেট পতন। ২৭ বলে ২২ রান করে নাসুমের বলে শরিফুলের হাতে ক্যাচ দেন ভ্যান ডার ডসন। ম্যাচ শেষ করেন অধিনায়ক বাভুমা ও ডেভিড মিলার। ২৮ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন বাভুমা। দুই বলে এক চারে ৫ রান করেন মিলার। বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন ৪ ওভারে ১৮ রানে নেন দুটি উইকেট। মেহেদী ও নাসুম পান একটি করে উইকেট।

এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দুর্দশার মধ্যে ছিল বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লের মধ্যে হারায় তিন উইকেট। দলীয় রান তখন ২৪। ৩৪ রানে উইকেট পতন ৫টি। সব মিলিয়ে বিশ্রি শুরু বাংলাদেশের।

উইকেটে যথেষ্ট ঘাস থাকলেও দক্ষিণ আফ্রিকা বোলিং আক্রমণের সূচনা করে বাঁহাতি স্পিনার কেশভ মহারাজ। ম্যাচের আগের দিন বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডমিঙ্গো ব্যটিং অর্ডারে লিটন দাসকে মিডল অর্ডারে খেলানোর ইঙ্গিত দিলেও শেষ পর্যন্ত ইনিংস ওপেন করেন তিনি। সাথে যথারীতি মোহাম্মদ নাঈম শেখ।

ব্যাট হাতে শুরুটা কিন্তু ভালো। আভাস দিচ্ছিল ভালো কিছুর। উইকেট না হারিয়ে ২২ রান তোলাটা ছিল সুখকর। কিন্তু এক ওভারে রাবাদা দুটি উইকেট নিলে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।