বিরোধী দমনে সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করছে—মির্জা ফখরুল

আপডেট: জানুয়ারি ৬, ২০২২
0

বিরোধী দমনে সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিতসাধীন ছাত্র দল নেতাকে দেখার পর বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, ‘‘ এই সরকার মূলত সম্পূর্ণভাবে ফ্যাসিবাদী এক নায়কতন্ত্রের বিশ্বাসী একটি সরকার। তারা কোনো ধরনের ভিন্নমত বা ভিন্ন চিন্তাভাবনা সহ্য করে না। যার ফলে তারা গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণভাবে ধবংস করে দিয়ে এবং অন্যায়ভাবে, বেআইনিভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ করে পুলিশকে ব্যবহার করে তাদের ক্ষমতাকে ধরে রাখতে চায়, দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা তারা প্রতিষ্ঠা করতে চায়- সেই লক্ষ্যেই তারা কাজ করে চলেছে।”

‘‘ আমরা আবারো বলছি, জনগনের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে সরানো হবে এবং এই নির্যাতন-নিপীড়নের প্রতিউত্তর জনগনই দেবে।”

পুরে রাজধানীর সবুজবাগে ‘হেলথ এইড ডায়াগনস্টিক এন্ড হাসপাতালে’ গত ২২ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের সমাবেশে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত জেলা ছাত্র দলের সাংগঠনিকি সম্পাদক শাহ রাজিব আহমেদ রিংগনকে দেখতে যান বিএনপি মহাসচিব। হবিগঞ্জে গুরুতর আহত হওয়ার পর প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে পরে ঢাকায় তাকে নিয়ে আসা হয়।

চিকিতসকদের কাছ থেকে তার শারীরিক অবস্থার সম্পর্কে জানেন তিনি। রাজিবের সারা শরীরের পুলিশের ছোঁড়া রাবার ‍বুলেটের ক্ষত চিহ্ন রয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ আপনারা নিজেরা দেখেছেন, তার(রাজিব) সমস্ত শরীর গুলিবিদ্ধ হয়েছে। লাকিলি তার চোখটা বেঁচে গেছে। তবে মুখে পিঠে, বুকে সমস্ত জায়গায় গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এটা আমাদের কাছে মনে হয়েছে যে, এটা হত্যার উদ্দেশ্যে এই ধরনের গুলিবর্ষন করা হয়েছে।

এ সময়ে মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সাবেক সাংসদ শাম্মী আখতার, মহানগর দক্ষিন বিএনপির নেতা হাবিবুর রশীদ হাবিব উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিতসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ প্রদানের দাবিতে গত ২২ ডিসেম্বর বিএনপি হবিগঞ্জে সমাবেশ আহবান করে। ওই সমাবেশে পুলিশ অতর্কিতে হামলা ও গুলিবর্ষন করে। এতে ছাত্র দলের শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন, আবদুল আহাদ তুষার, সাইদুর রহমানসহ অন্তত শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন।