ভুরুঙ্গামারীতে মসজিদে মল রেখে মুসল্লীদের নামাজে বিঘ্ন সৃষ্টির অভিযোগ: জনমনে তীব্র ক্ষোভ

আপডেট: জানুয়ারি ১৬, ২০২২
0

ভুরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে পূর্বশত্রুতার জেরে একটি ওয়াক্তিয়া মসজিদে অগোচরে মানুষের মল রেখে মুসল্লীদের নামাজে বিঘ্ন সৃষ্টি অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ওই এলাকায় জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের বেলদহ মুন্সীপাড়া গ্রামের আবু বক্কর ছিদ্দিকের দানকৃত জমিতে নির্মিত একটি মসজিদে।

জানা গেছে, উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের বেলদহ মুন্সীপাড়া গ্রামে ২০১৯ সালে জনৈক আবু বক্কর ছিদ্দিকের দানকৃত জমিতে বেলদহ মুন্সীপাড়া মসজিদ নামে একটি মসজিদ চালু করে ওই এলাকার লোকজন। সেখানে শুক্রবার ব্যতিত এলাকার মুসল্লীরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে আসছেন। এছাড়া ঐ মসজিদে সকালে স্থানীয় মৌলভী দ্বারা ছোট ছোট শিশুদের কোর আন শিক্ষার মক্তব হিসাবে পরিচালিত হয়ে আসছে।

মসজিদ কমিটির সদস‍্য আতাউর রহমান (অবঃ আর্মি) বলেন মসজিদ কমিটির সভাপতি আলহাজ জালাল উদ্দিন মুন্সী ও সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিকের সাথে একই গ্রামের পনির উদ্দিন ওরফে পনদ্দির পুত্র তাইফুর রহমান সাবলু (৩২),কছিমুদ্দিনের পুত্র শহিদুল ইসলাম (৩০) ও আলম মিয়া (২৭) এর সাথে বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও বাগানের কলাগাছ কর্তনের অভিযোগে তাদের মধ‍্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে তাদের মধ‍্যে মামলা পর্যন্ত গড়ায়। পরে এই ঘটনায় তাইফুর রহমান সাবলু একই গ্রামের বিষু শেখের পূত্র আবুল কালাম মসজিদের মুয়াজ্জিন ও ইমামকে নামাজ পড়াতে নিষেধ করেন। নামাজ পড়ালে অসুবিধা হবে বলে হুমকি দিলে তিনি মসজিদের মুয়াজ্জিনী ও ইমামতি ছেড়ে দেন।

পরবর্তীতে মসজিদটিতে স্থানীয় নছির উদ্দিন মুয়াজ্জিন ও ইমামতি করে আসা অবস্থায় প্রায় মাস খানেক পুর্বে মসজিদে মানুষের মল (পায়খানা) রেখে মুসল্লীদের নামাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করা হয়। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য হারুন অর রশীদকে জানানো হলে তিনি হুমকি প্রদর্শনকারী সাবলুকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি হুমকি প্রদর্শনের কথা স্বীকার করলেও মল রাখার কথা অস্বীকার করেন। এদিকে কছিমুদ্দিনের দুই পুত্র জেলহাজত থেকে বাড়ি আসার পর আরও তাদের বিরুদ্ধে ৩ বার মসজিদে মল রেখে মুসল্লীদের নামাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। সর্বশেষ গত ১৪ জানুয়ারী শনিবার ভোররাতে আবারও মসজিদের দরজায় মানুষের মল রেখে গেলে এলাকাবাসী ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশকে অবগতি করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পান বলে এস আই আতাউর রহমান জানান। বার বার মসজিদে মানুষের মল রেখে যাওয়ার ঘটনায় নামাজ আদায়কারী মুসল্লীদের মধ্যে এ নিয়ে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। স্হানীয় মূছুল্লীদের ধারনা পুর্বশত্রুতার জের ধরেই মসজিদে বারবার এই ধরনের ঘটনা ঘটছে।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য হারুন অর রশীদ বলেন,প্রত্যক্ষদর্শীর অভাবে উক্ত ঘটনার বিচার করা সম্ভব হচ্ছেনা তবে আগামী শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে মসজিদে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
পাইকের ছড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক সরকার বলেন, ঘটনা শুনে আমি খুবি মর্মাহত। এটি একটি ন‍্যক্কারজনক ঘটনা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করেছি।
ভুরুঙ্গামারী থানার ওসি (তদন্ত) আজাহার আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী না থাকায় বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত করা গেলেই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
###/
আমিনুর রহমান বাবু