নোয়াখালীর খামারগুলোতে কোরবানির জন্য ১ লাখ ৩৮ হাজার গরু প্রস্তুত

আপডেট: জুলাই ৬, ২০২২
0

আজাদ ভূ্ঁইয়া, স্টাফ রিপোর্টার :

আসন পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে নোয়াখালীতে কারবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার গরু। বিগত বছরের তুলনায় এবার চাহিদা অনুযায়ী জেলায় কুরবানির গরু রয়েছে বশি।

পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন নোয়াখালীর খামারিরা। গো খাদ্যর দাম বদ্ধিতেয দুশ্চিÍয় রয়েছেন খামারীরা। দেশীয় উদ্যক্তাদের টিকিয়ে রাখতে সরকারর নিয়ন্ত্রণ চায় খামারী মালিকগন। জেলার কয়েকটি গরু খামার গিয় দেখা যায়, খামারিরা ঈদের আগে বিক্রির জন্য গরুগুলাক শেষ মূহুর্তের পরিচর্যা করছেন। ভালো ভালো খাবার দিচ্ছেন পশুকে। গরুর স্বাস্থ্য ঠিক আছে কিনা তাও নিয়মিত পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন।

বেগমগঞ্জ উপজলার একলাশপুর ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামের শরীয়ত ডেইরী এন্ড পোল্ট্রি এর সত্তাধিকারী আবুল কালাম মন্ত্রী, সুবর্ণচরে গাজীর খেয়ার রূপালী এগ্রো এর সত্তাধিকারি মোরশেদ আলম ওমর, বেগমগঞ্জের মিরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের কালাপোল এলাকার হক এগ্রো এর সত্তাধিকারী মাহফুজুল হক আবেদ, ও সুবর্নচর উপজলার হালিম বাজার এলাকার সারা এগ্রোর মালিক নূর হোসেন মানিক জানান তাদের খামারের গরু গুলো আসন্ন ঈদুল আজহার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। সরেজমিনে খামারে গিয়ে দেখা যায়, গরুগুলা বিক্রির জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে।

সরেজমিনে আলোচনায় খামারী মালিকগ ও পরিচর্যাকারী কর্মীগণ জানান, তাদের খামারে
সম্পূর্ন প্রাকৃতিক পরিবেশে ও প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত খাবার খাইয় গরুগুলাকে মোটা তাজা করা হয়েছে। এখানে বাহিরের কোন কৃত্রিম খাবার খাওয়ানো হয়না এবং কোন কৃত্রিম কিছু ব্যবহার করা হয়না। গ্রাহকরা সম্পূর্ন হালাল পশু দিয়ে কুরবানি দিত পারবেন। তাঁরা আরও জানান, বেগমগঞ্জ ও সুবর্নচর উপজেলার বিশাল এলাকা জুড়ে গড়ে তোলা খামারে গরুগুলা রেখে সারা বছর লালন পালন করেন তারা।

নোয়াখাালীতে বিগত কয়েক বছর ধরে অসংখ্য ছাট বড় গবাদি পশু খামার গড়ে উঠেছে। খামারগুলাতে দেশের বিভিন স্থান থেকে উন্নত জাতের গরুর বাছুর ক্রয় করে এনে খামারে রেখে প্রাকৃতিক বিভিন খাবার খাইয়ে ও পরিচর্যা করে মাটা তাজাকরণ করা হয়। খামারের মালিকগন বাজার থেকে বস্তাজাত বিভিন গো খাদ্য ক্রয় কর পশু গুলাক খাওয়ান। বর্তমানে গো খাদ্যর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খামার মালিকরা বাড়তি দামে গোখাদ্য কিনতে হচ্ছে। এতে খামারীরা দুশ্চিÍায় রয়েছেন। বাড়তি দামে গবাদি পশু বিক্রি করতে না পারল তাদের লোকসান গুনতে হবে।

জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা বলেছন জেলাতে প্রায় লক্ষাধিক কোরবানীর পশু রয়েছে। চাহিদার চেয়েও প্রায় দশ হাজার পশু বেশী আছে। ঈদকে সামনে রেখে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন খামার মালিক, কর্মচারীগণ। দিন-রাত তারা পশু গুলার নানা ভাবে পরিচর্যা করছেন। গবাধি পশু রাখার স্থান জীবানুনাশক ঔষধ ছিটিয় দোয়ার পাশাপাশি পশু গুলাক নিয়মিত পরিষ্কার পানি দিয় গোসল করাচ্ছেন। কোন রকম জীবানু বা ভাইরাস যেনো পশু গুলার শরীরে সংক্রমন না করতে পারে সে জন্য সবাই সর্তক রয়েছেন। সবাই কোরবানি পশু জবাই দেয়ার আগে এটি পুরাপুরি সুস্থ কিনা তা যাচাই বাচাই করে ক্রয় করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

ঈদের সময় এখন স্থানীয় বাজারে পশুর অনক যোগান রয়েছে। আগের মতো পাশ্ববর্তী নেপাল,ভুটান, ভারতসহ বিভিন দেশ থেকে আসা পশুর জন্য তাদের অপেক্ষা করতে হয় না। যে যার মত দেখে শুনে ক্রয় করত পারবে, স্বাদ এবং সাধ্যের মধ্যে, এতে ক্রেতারা খুশী। জেলার বেগমগঞ্জ শরীয়ত ডইরী এন্ড পাল্টি, আল মদিনা ডইরী এবং মানফাত মিট ক্যাটল এন্ড ডইরী ফার্ম পাঁচশত কারবানীর বিভিন জাতের ও চাইজের গরু রয়েছে।

প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, নোয়াখালী ডাঃ কাজী রফিকুজ্জামান বলেন, নোয়াখালী জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা কাজী মা: রফিকুজ্জামান জানান, গণবসতিপূর্ন জেলা হলেও এবার জেলায় কোরবানির পশুর সংকট হবেনা। চাহিদা অনুযায়ী আমাদের পর্যাপ্ত গরু রয়ছ। জেলায় খামারি ক্রেতাগণ ১ লাখ ৩৮ হাজার পশু কুরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তাই বাহিরের থেকে এবার জেলাতে কোরবানির পশু আসার সম্ভাবনা কম বলেও জানান জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা। এছাড়া ক্রয় বিক্রয়ের জন্য জেলা ও উপাজলা পর্যায়ে কয়কটি মিটিং ও বাজার মনিটিং সেল গঠন করা হয়ছে।
#