ফর্ম থাকাকালেই ক্রিকেটকে বিদায় বলতে কোহলিকে পরামর্শ শহিদ আফ্রিদির

আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২
0

তারকা ক্রিকেটারদের ক্যারিয়ারেও খারাপ সময় আসে, নিজেকে হারিয়ে খুঁজেন এবং একটা সময় ক্রিকেট থেকে তাদেরও নাম মুছে যায়। ক্রিকেটকে বিদায় বলা ছাড়া বাকি সবগুলোই ইতোমধ্যেই দেখে ফেলেছেন বিরাট কোহলি। ভারতের এই টপ অর্ডার ব্যাটার একটানা হাজার দিন সেঞ্চুরিবিহীন থাকবেন এটা হয়তো কারও কল্পনাতেও ছিল না। অথচ তার সঙ্গে এমনটাই ঘটেছে। তবে এশিয়া কাপ দিয়ে সেই খারাপ সময় কাটিয়ে আবারও রানে ফিরেছেন তিনি। এই ফর্ম থাকাকালেই ক্রিকেটকে বিদায় বলতে কোহলিকে পরামর্শ দিলেন শহিদ আফ্রিদি।

মাস খানেক আগে ইংল্যান্ড সফরে পাঁচটি ম্যাচ খেলে মোটে ৭৬ রান করেন কোহলি। এর মধ্যে ২০ রান অতিক্রম করতে পারেননি একটি ইনিংসেও। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ে সফরে বিশ্রামে ছিলেন কোহলি। পুরোপুরি সতেজ হয়েই সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়া কাপ খেলতে যান তিনি। এশিয়া কাপে শুরু থেকেই রানের মধ্যে ছিলেন ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক। আর নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে করেছেন নিজের বহু প্রতিক্ষীত সেই সেঞ্চুরি। এর আগে ২০১৯ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে শেষবার সেঞ্চুরি পান কোহলি। এরপর তো সেঞ্চুরি খুঁজতে খুঁজতে তিনি ঘুরপাক খেয়েছেন অফ-ফর্মেই।

আফ্রিদি বলেন, ‘তবে এক্ষেত্রে একটাই লক্ষ্য হওয়া উচিত, সেরা সময়ে থেকে অবসর নেওয়া। অবস্থা এমন হওয়া উচিত নয় যে, সে (কোহলি) ফর্মে থেকে ছাড়ার বদলে আপনি দল থেকেই বাদ পড়ে গেলেন। যদিও এমন হতে দেখা যায় না। এশিয়ার খুব কম ক্রিকেটার এ সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে আমার মনে হয় কোহলি দারুণভাবেই এটি করবে।’

২০১১ সালের ২০শে জুন টেস্ট অভিষেক হয়েছিল কোহলির। কিংস্টনে নিজের অভিষেক টেস্টে সুবিধা করতে পারেননি তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪ রান করেছিলেন। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসেও ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি এই ডানহাতি ব্যাটার। তিন ম্যাচের সেই টেস্ট সিরিজে পাঁচ ইনিংস মিলিয়ে মোটে ৭৬ রান করেছিলেন কোহলি। সাদা পোশাকে কোহলি প্রথম হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন নিজের ষষ্ঠ ইনিংসে। সেটা ঘরের মাঠে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে। এই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেও হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। তবে লাল বলের ক্রিকেটে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে কোহলিকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল ১৪ ইনিংস।

এরপর আর তাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে পরিণত করেছেন। ধারবাহিক হয়েছেন। হয়ে উঠেছেন বিশ্বক্রিকেটেরই বড় বিজ্ঞাপন। আফ্রিদি বলেন, ‘কোহলি যেভাবে খেলেছে, বিশেষ করে ক্যারিয়ারের শুরুতে খানিক ভুগলেও পরে যেভাবে নিজের নাম তৈরি করেছে। সে একজন চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটার। তবে একটা সময় আসবে, যখন আপনাকে অবসরের দিতে এগোতে হবে।’