এনাফ ইজ এনাফ : খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই

আপডেট: মে ১৮, ২০২৩
0

ডা জাকারিয়া চৌধুরী :

প্রিয় মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধ সহযোগী এবং স্বাধীন অক্ষত বাংলাদেশে বিশ্বাসী শ্রদ্ধেয় সমাজ আমার অভিবাদন গ্রহন করুন।

আমরা নব প্রজন্ম স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মেছি আপনাদের অসামান্য আত্মত্যাগ আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ উপহার দেয়ার কারনেই। আপনারা বুকের রক্ত, তাজা প্রান, স্ত্রী, মাতা-পিতা আর লক্ষ লক্ষ সন্তানকে শহীদ হতে দিয়ে, নিজেরা যুদ্ধ করে, মা বোনেদের মান সম্ভ্রম হারানোর লাঞ্চনা সয়ে এ দেশটাকে স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। আপনাদের প্রতি রইল আমার শত কোটি সেলাম।

স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বপ্নের বাংলায় গড়ে তোলার দায়িত্ব ছিল আপনাদের পরের প্রজন্মের। আপনারা যতটা ত্যাগ এবং প্রানের ঝুঁকি নিয়ে দেশ উপহার দিয়েছেন, আমরা কি তার শতভাগের একভাগও ব্যাবহার করেছি সে দেশকে গড়ে তুলতে ? আমার তো মনে হয় ৭১ এর ডিসেম্বরের পর থেকে আজ পর্যন্ত প্রতিদিন দেশ একটু একটু করে পিছিয়েছে। তা না হলে স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে আমাদেরকে শুনতে হয় কেন অদ্ভুত সব কথা ! কেন শুনতে হয় ৭১ সালের পরে এদেশে যে ক’টা ট্রেনের ইঞ্জিন ছিল আজ তাঁর অর্ধেক আছে !! আমরা তো শুনেছিলাম বাংলাদেশ ইউরোপ, সিংগাপুরকে বহু আগেই ছাড়িয়ে গেছে। বিদ্যুতের উন্নতি শতভাগ হয়েছে মর্মে বিরাট হাঁকডাক হলো, বিশাল অনুষ্ঠান হলো, শত কোটি টাকার আলোক খেলা হলো এবং দিন শেষে আমরা বিদ্যুত পাই অতথির মত। কখন যে আসে আবার কখন চলে যায় সে হিসেব রাখার রুচি হারিয়ে ফেলেছি বহু আগেই। চোখের সামনে শিক্ষা ব্যাবস্থাটাও গেল। সব জিপিএ ফাইভ এখন রাস্তার ভবঘুরে মুর্খে পরিনত হয়েছে। কাজে লেগেছে কয় পার্সেন্ট জানা নেই। এই শিক্ষা যে কাজে আসেনি, তা হলফ করে বলতে পারি। যুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্ম কতটুকু নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছে কিংবা মুফতে পাওয়া স্বাধীনতা রক্ষা করে যাবার যোগ্য হয়ে উঠেছে তা আজ এক বিরাট প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তা না হলে ৭০+ বয়স্ক মুক্তিযোদ্ধা আর দেশের সিনিয়র সিটিজেনদেরকে কেন আজ এই সময়ে রাজপথে নামতে হয় ? আপনারা যে স্বাধীনতা অর্জন করে দিয়ে গেছেন, যুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্ম তা রক্ষা করে যেতে ব্যার্থ হলো কেন ? নাকি দেশকে স্বাধীন করার পর থেকে আজ পর্যন্ত একটা প্রশ্ন নানাভাবে আপনাদের মনেও ঘুরপাক খেয়েছে? আমরা কি সত্যিকার অর্থেই স্বাধীন হয়েছি ? নাকি দেরিতে হলেও দেশকে স্বাধীন করার লড়াইয়ে আবারও আপনারা নেমেছেন ? এ প্রশ্নের একটা স্পষ্ট উত্তর জানা জরুরী। আমরা সবাই বাংলাদেশকে স্বাধীন বাংলাদেশ বলেই পরিচয় দিয়ে যাচ্ছি। পৃথিবীর অন্যান্য স্বাধীন রাষ্ট্রগুলো কি আমাদের মতই স্বাধীন নাকি তাদের স্বাধীনতার অনুভুতি ও কনসেপ্ট সম্পুর্নই আলাদা ?

সুধী বিজ্ঞজন, আপনারা অবশ্যই বুঝেন এবং জানেন যে, এ প্রশ্নের সঠিক আর নির্মোহ উত্তর না জানা অবধি আজকের তৃতীয় প্রজন্ম হিসেবে আমরা কিছুতেই দিক ঠিক করতে পারছি না। আমরা যেন উন্মত্ত সাগরে হাল ভেংগে, পাল ছিড়ে যাওয়া নৌকো নিয়ে কোন ঝড়ের রাত্রি পাড়ি দিতে চাইছি। আমাদের হাতে না আছে দিক নির্নয়ের কোন যন্ত্র, না কোন দিগন্ত রেখা খুঁজে পাবার সম্ভাবনা। আমরা কি আজ স্বাধীনতা রক্ষার কোনও লড়াইয়ে নেমেছি নাকি নতুন কোন হানাদারের হাত থেকে দেশকে আবারও স্বাধীন করার যুদ্ধে নেমেছি ? এ প্রশ্নের উত্তর না জানা পর্যন্ত আমার মনে হয় না, কোনও রুপকল্প কিংবা স্বপ্নের কোনও ভিশন পুর্ন করতে পারব। যে জাতী জাতীয় স্বার্থ, দলীয় স্বার্থ এবং ব্যাক্তি স্বার্থের আলাদা আলাদা অর্থ বুঝেনা অথবা বুঝেও না বোঝার ভান করে কিংবা জেনে শুনেই সামান্য লাভের আশায় পুরো রাষ্ট্র ব্যাবস্থাকে ঝুঁকিতে ফেলে দেয় কিংবা ব্যাক্তি লাভের আশায় কোন কিছুরই তোয়াক্কা করেনা বরং একগুয়েমিতে লিপ্ত থাকে অথবা

ক্ষমতার লোভে ঘরের সকল দরজা সকল জানালা খুলে দিতে দ্বিধা করেনা, সে জাতীর নব্বই শতাংশ লোকও যদি মুলনীতিতে একজোট থাকে তবুও সে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, গোপনীয়তা এবং রাষ্ট্র স্বার্থ কখনো না কখনো ফাস হতে বাধ্য। যে দশ শতাংশ মানুষ অন্য রাষ্ট্রের গোলামীতে লিপ্ত আমরা তো চাইলেই তাদের চিহ্নিত করতে পারছি না। রাষ্ট্র বনাম রাষ্ট্রের গুপ্তচরবৃত্তির ইতিহাস গুলোর দিকে নজর দিলে বরাবরই যে সত্য সামনে আসে তা হল, কোন দেশের সকল তথ্য ভিনদেশী গোয়েন্দাদেরকে জানপ্রান দিয়ে যোগাড় করতে হয়নি। বরং নিজ দেশের কিছু লোকই ওদের খুঁজে বের করে কাগজপত্র দিয়ে আসে। প্রতিটা দেশেই এমন কিছু লোক আছে যারা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নিজ দেশের ক্ষতিতেই লিপ্ত থাকে। সবল রাষ্ট্রগুলো নিজেদের সব রকম নিরাপত্তা মোটামুটি নিশ্চিত করতে পারলেও দুর্বল রাষ্ট্রগুলো ক্রমেই ভেংগে পড়তে থাকে।

এসব উদাহরন আমাদেরকে বিশ্ব মানচিত্র খুজে বের করতে হবে না। আজকের ভুটান স্বাধীন রাষ্ট্র হয়েও তাদের নিজস্ব কোন পররাষ্ট্রনীতি নেই। ভারত যা বলে ভুটানও তাই বলে। কুড়ি বছরেরও অধিক সময় গৃহযুদ্ধে জর্জরিত নেপাল আজ কিছুটা স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলতে পারছে চায়নার আশ্রয়ে গিয়ে। বিষয়টা আজকে এমন হয়ে দাড়িয়েছে যে, দুনিয়ার সব রাষ্ট্রকেই কোন না কোন অক্ষ বা বেল্টকে বেছে নিতে হচ্ছে। ছোট রাষ্ট্রের জন্যে এ বেছে নেয়ার প্রক্রিয়া অনেকটা ধর্ষিত হবার আগে অপশন বেছে নেবার মত। ১৯৭৮ সালে ভেলুপিল্লাই প্রভাকরনের নেতৃত্বে যে ভয়ংকর এলটিটিই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ভারতের মদদে সেটা নির্মুল করতে শ্রীলংকাকে যুদ্ধ করতে হয়েছে ত্রিশ বছরেরও অধিক কাল। দেশটি হারিয়েছে তাদের প্রেসিডেন্ট থেকে মাতৃ গর্ভে থাকা ভুমিষ্টের অপেক্ষায় থাকা শিশুকেও। দেশ হারিয়েছে তাদের আয়, সম্ভাবনা, পর্যটন, শিক্ষা ব্যাবস্থা এবং সেনাবাহিনীর বিরাট একটা অংশ। এক সময় শ্রীলংকার রাজা পাকসে সরকার সাহায্যের আবেদন জানাতে বাধ্য হয় চায়নাকে। তার আগে তারা ভারতীয় সেনা সহায়তা নিয়েছিল। সেই সেনা সহায়তা এক সময় শ্রীলংকার ফাসের দড়ি হয়ে দাড়ালে তারা চায়নার দ্বারস্থ হয়। চায়নার জেনারেলরা শ্রীলংকায় নামার সাথে সাথেই শ্রীলংকা ভারতীয় সেনাবাহিনীকে তাদের সীমানা হতে বহিস্কার করে। প্রভাকরনকে হত্যার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রটি কিছুটা স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলে। সেই শ্রীলংকা আজ রিপিটেড ধর্ষিত হয়ে চায়না জালে বন্দী। অর্থাৎ, তুমি ধর্ষিত হবেই। তোমার স্বাধীনতা হলো, তুমি কার হাতে ধর্ষিত হবে চাইলে সেটা বেছে নিতে পারো। ধর্ষন যখন অনিবার্য তখন সেটাকে বাঁধা দেয়ার চেষ্টা না করে ভোগ করাই শ্রেয়। অমর এ বানীটি বিএনপি’র একজন নেতার। যিনি খুনের শিকার হয়েছিলেন। সিকিম এবং কাশ্মীরের ব্যাপারে আজ আর নতুন করে কিছু বলার নেই। দুটো স্বাধীন স্টেটেই ভারত সহায়তার নামে সৈন্য পাঠিয়ে দেশ দুটি দখল করে নেয়।
১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে দেশ বিভাগের সময়ও পাকিস্থান ভারতের যুদ্ধ হয়। ভারতের হায়দারাবাদ, কাশ্মীর, বিহার থেকে উত্তর প্রদেশ, কোন অংশই বাদ যায়নি মুসলিম গনহত্যা থেকে। মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চল গুলো থেকে মুসলমান জনগন যত বেশি নির্মুল হবে ভারতের আয়তন তত বড় হবে। ভারত তাদের দেশে জন্ম নেয়া এসব জনগনকে চায়নি। চেয়েছে ভুমির আয়তন বাড়াতে। ৪৭ রায়টের মুল হোতা স্বয়ং ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত নেহেরু। তার লেলিয়ে দেয়া কংগ্রেস, আর এস এস এবং সেনাবাহিনী সাদা পোষাকে এসব নির্মম গণহত্যা চালায় হায়দারাবাদ থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত। এক রাতে ১৫২ টা গ্রাম মানুষ শুন্য হয়ে যাবার ইতিহাস কেবল ভারতেই আছে ( খুশবন্ত সিং ) এবং সত্য সত্যই ভারত বড় আকারের রাষ্ট্র পায়। পড়শি যখন বড় আর ভারী হয়, তাঁর মুতে অন্য পড়শির উঠান ভেজা থাকে সর্বদা। আমরা সেই ভেজা উঠানে জন্ম নেয়া প্রজন্ম।

১৯৬৫ সালের ভারত – পাকিস্তান যুদ্ধে, ভারত সুবিধা করতে না পেরেই তারা পাকিস্তানের অংগহানি ঘটানোর জন্যে উঠেপড়ে লাগে। একদিকে এদেশে পাকিস্তানের বৈরী নিপিড়ন অন্যদিকে ভারতের সহযোগীতার নর্দন কুর্দনে সর্ব প্রথম আসক্ত হয় এদেশের বামেরা………যার ফলে যুদ্ধ অনিবার্য হয়। পাকিস্তান দু’টুকরো হয়। কাগজে কলমে সেটি পাক ভারত যুদ্ধ নামে পরিচিতি পেলেও, এটি-ই আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ। আর এ যুদ্ধের সর্ব প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা বেগম খালেদা জিয়া। দেশের প্রথম বৈধ প্রেসিডেন্ট, সাবেক সেনাপ্রধান, সেক্টর কমান্ডার জেনারেল জিয়ার স্ত্রী। পাঠক আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, ২০০৪ সালে বিএনপি ও চার দলীয় ঐক্যজোটের নির্বাচিত বৈধ সরকার থাকাকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া পাচদিনের সরকারী সফরে চায়নায় পৌছার আগ মুহুর্তে সারা দেশের ৬৪ জেলায় এক যোগে বোমা বিস্ফোরিত হয়েছিল !! বিএনপি সরকার সেই হামলার সকল অপিরাধীদের জীবন্ত ধরে তাদেরকে আইনের হাতে তুলে দিয়েছিল এবং শাস্তি কার্যকর করেছিল। এই লোকগুলো কারা এবং তাদের যে অস্ত্র ভান্ডার পাওয়া গিয়েছিল সেসব কোন দেশের তৈরী এবং কারা কিভাবে সরবরাহ করেছিল, সেটাও আপনাদের অজানা থাকার কথা নয়। সেসবের শোধ, সীমান্ত যুদ্ধে পরাজয়ের শোধ তারা নিয়েছে পিলখানা ট্র্যাঅজেডির মাধ্যমে। সেই সময় থেকে শুরু করে হালের হলি আর্টিজান হোটেলের নারকীয় হত্যার অস্ত্রের যোগানও এসেছে ওই একই দেশ থেকেই।

ভারত চলে চানক্য নীতিকে মুল নীতি ধরে। ভারতই দুনিয়ার একমাত্র রাষ্ট্র যাদের সীমান্তবর্তী সকল রাষ্ট্রের সাথে তাদের সম্পর্ক ভয়াবহ খারাপ। আর চানক্যের মুল কথাই ছিল- সীমান্তবর্তী সকল রাষ্ট্রই তোমার শত্রু। শত্রুর শত্রু তোমার মিত্র। ভারত তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয় আচার্য চানক্যের সেই অমিয় বানী অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলে। আমাদের দেশটাকে তিনদিক দিয়ে ঘিরে রেখেছে ভারত। শুধু ঘিরেই রাখেনি বরং কাটাতারের বেড়া দিয়ে আন্তর্জাতিক সব ধরনের রীতিনীতি লংঘন করে প্রতিদিন মানুষ মেরে চলেছে পাখির মত। বিশ্বের বুকে সবচে বেশি রক্তঝড়া সীমান্ত হলো ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত। এ সত্য অস্বীকারের উপায় দুনিয়ার কারো নেই।


বক্তব্যের শুরুতেই যে প্রশ্নটার স্পষ্ট উত্তর জানতে চেয়েছিলাম আপনাদের মনে আছে নিশ্চয়ই !! প্রশ্ন ছিল আমরা স্বাধীন হয়েছি কিনা ? যদি স্বাধীন হয়ে থাকি তবে সে স্বাধীনতার মুল্যায়ন কতটুকু ? নাকি আমাদেরকে আবার স্বাধীন হতে হবে। নাকি পররাষ্ট্রনীতিতে সত্যিকার অর্থেই ফলপ্রসু পরিবর্তন আনতে হবে – যা স্থিতিশীল স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মান করবে !! ৭০+ বছর বয়সেও আপনাদের মত মহান মুক্তিযোদ্ধাদের যখন রাস্তায় নেমে আসতে দেখি তখন এ প্রশ্ন মনে আসা একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক হবে তা মনে করিনা। স্বাধীনতা রক্ষা করার মত জটিল কাজটি আমাদেরকেই করতে হবে। খুব বেশি সময় আমাদের হাতে নেই। ক্যান্সার ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়ছে। আমাদের নিরাপত্তার পথ আমাদেরকেই খুঁজে বের করতে হবে, অতি স্বত্তর।

এর মধ্যে এক নাম্বারে যা করতে হবে তা হলো জীবিত এবং সুস্থ খালেদা জিয়াকে জেল থেকে বের করে আনা। দেশটা ইতিমধ্যেই একটা বিষফোঁড়ায় পরিনত হয়েছে। বাংলাদেশকে উদ্ধারের নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষমতা এদেশে কেবলমাত্র বেগম জিয়ারই আছে। তিনি-ই এদেশে সবচে বেশিবার নির্বাচিত বৈধ প্রধানমন্ত্রী। তিনি সিনিয়র সিটিজেন। হুইল চেয়ার ছাড়া চলতে পারেন না। অবাঞ্চিত ফালতু উগান্ডার জুডিশিয়ারির খপ্পরে পরে আছেন। তাঁর জেল জীবনের অবসান হোক। তাঁর স্বামী সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়ার হাত ধরে দেশ প্রথমে স্বাধীন হয়েছে। এবার না হয়, হুইল চেয়ারে বসেই বেগম জিয়া দেশকে পুনরায় স্বাধীনতা অর্জনের নেতৃত্ব দিবেন। একজন দেশপ্রেমিক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা এভাবে বছরের পর বছর জেলে পচে মরতে পারেন না। খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাবার পথ উন্মুক্ত করুন। নিজেদের ভান্ডারে ভাল কিছু যোগ করুন। এনাফ ইজ এনাফ।

লেখক: চিকিৎসক, রাজনৈতিক , কলামিষ্ট