অবরোধের দ্বিতীয় দিনেও ঢাকায় যান চলাচল কম

আপডেট: নভেম্বর ১, ২০২৩
0

প্রথম দিনের মতো অবরোধের দ্বিতীয় দিনেও ঢাকায় সীমিত সংখ্যক যান চলাচল করছে।

বুধবার সকালে ধানমন্ডি, গ্রিনরোড, কারওরান বাজার, ফার্মগেট, তেজগাঁও, বিজয় সরণী, মহাখালী, বনানী, গুলশান, মিরপুর, আদাবর, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, গাবতলী, গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ি সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে রাস্তায় তুলনামূলক কম সংখ্যক যাত্রীবাহী বাস, মালবাহী ট্রাক, পিকআপ ভ্যান এবং ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করেছে।

এছাড়া রিক্সা এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংখ্যা ছিল অন্যান্য দিনের মতোই। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা বাড়তে দেখা যাচ্ছে।

এছাড়া সকাল থেকে ঢাকার গাবতলী এবং সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়তে দেখা যায়নি।

গাবতলী টার্মিনালে বাসের টিকেট কাউন্টারগুলোর অধিকাংশই বন্ধ দেখা গেছে।

যে অল্প সংখ্যক টিকেট বিক্রেতা সকালে কাউন্টার খুলেছেন, যাত্রীর অভাবে গত ২৪ ঘণ্টায় তারা দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়তে পারেননি জানিয়েছেন।

গাবতলী থেকে উত্তরবঙ্গের ২৬টি জেলা এবং দক্ষিণবঙ্গের ২২টি জেলায় প্রতিদিন কমপক্ষে ১২০০ বাস চলাচল করে বলে জানিয়েছে টার্মিনাল কর্তৃপক্ষ।

কিন্তু অবরোধ শুরু হওয়ার পর দূরপাল্লার বাসগুলো বন্ধ থাকায় পরিবহন ব্যবসায় স্থবিরতা নেমে এসেছে বলে জানিয়েছেন বাসের টিকেট বিক্রেতারা।

একই চিত্র দেখা গেছে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালেও।

এছাড়া ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশনে স্বাভাবিক দিনের মতোই ট্রেন চলাচল করতে দেখা গেছে।

তবে কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেল স্টেশনে যাত্রীদের সংখ্যা কম ছিল।

৫ জেলায় হরতাল
অবরোধের প্রথম দিনে নিহতদেরকে দলীয়কর্মী দাবি করে এর প্রতিবাদে বুধবার কিশোরগঞ্জ এবং সিলেট বিভাগের চার জেলায় হরতাল পালন করছে বিএনপি।

এর মধ্যে সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জে সকাল-সন্ধ্যা এবং কিশোরগঞ্জে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অর্ধবেলা হরতাল পালন করছে বিএনপি।

সকালে এসব জেলায় যান চলাচল প্রায় ছিল না।

তবে এখন পর্যন্ত কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।

র‍্যাব-পুলিশ-বিজিবির সতর্ক অবস্থান
ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড় এবং প্রবেশ পথগুলোতে র‍্যাব-পুলিশ সতর্ক অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে।

এছাড়া ঢাকা ও সাভারের কোথাও কোথাও বিজিবিকেও টহল দিতে দেখা গেছে।

বিএনপি কার্যালয় বন্ধ, সামনে পুলিশ
গত কয়েকদিনের মতো বুধবার সকালেও বিএনপি’র নয়াপল্টন কার্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলতে দেখেছেন বিবিসি সংবাদদাতা।

কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে আছেন পুলিশের সদস্যরা।

তবে সেখানে বিএনপি নেতাকর্মীদের কাউকেই দেখতে পাননি তিনি।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে ‘হামলা, হত্যা, গ্রেফতারের প্রতিবাদে’ এবং সরকার পতনের একদফা দাবি আদায়ে ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।

বিএনপি বলছে, গ্রেফতার, নির্যাতনের অবসান এবং সরকার পতনের দাবি আদায়ের জন্যই তাদের অবরোধের নতুন কর্মসূচি।

সূত্র : বিবিসি