আওয়ামী লীগের পতন শুরু: ফখরুল

আপডেট: নভেম্বর ৩০, ২০২১
0

আওয়ামী লীগের পতন শুরু হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘এক হাজার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হয়েছে। অর্ধশতাধিক ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ হেরে গেছে। এতে বুঝা যাচ্ছে তাদের পতন শুরু হয়ে গেছে।’

মঙ্গলবার (৩০ ন‌ভেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে বিএনপির পক্ষ থেকে এই বিভাগীয় সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

এই সরকারকে সরাতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হ ওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকারকে সরাতে হলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে বিশেষ করে তরুণ সমাজ ছাত্র-ছাত্রী ও যুব সমাজকে। কারণ এই দেশে যত আন্দোলন এর সফলতা এসেছে সবগুলো এই তরুণ ছাত্র ছাত্র যুব সমাজের মাধ্যমে। তাই বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে এবং আন্দোলন বেগবান করতে হলে তরুণ সমাজ ও যুব সমাজকে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, আজকের সমাবেশে লাখো জনতার ঢল নেমেছে। এই জনতার ঢল দেখেই বোঝা যাচ্ছে বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো না হলে এদেশের জনগণ চুপ করে বসে থাকবেনা। এই উত্তাল তরঙ্গের মধ্য দিয়ে এই অবৈধ সরকার, ভোট ডাকাতির সরকার কে উৎখাত করবে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো।

মির্জা ফখরুল বলেন, গতকাল সন্ধায় এ জেড এম জাহিদ হোসেন আমাকে ফোন করে বললেন যেতে। তার চিকিৎসা করছেন প্রায় ১০ জন। তারা বসে আছেন। প্রত্যেকের মুখ অত্যন্ত…বলা যেতে পারে অত্যন্ত চিন্তিত মুখ। আমি ঘরে ঢুকে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলাম কি হয়েছে। তারা বললেন, আমরা যেটা আশংকা করেছিলাম, যেটা ভয় পাচ্ছিলাম। আমরা যেটা বলেছি, যে যেকোনো সময় আবার রক্তক্ষরণ হতে পারে। বন্ধুগণ কাল সন্ধায় আবার তার রক্তক্ষরণ হয়েছে।

তিনি বলেন, গত দু’দিন গতকাল সন্ধ্যায় আসংখ‌্যা মুক্ত হয়েছেন। আজ সকালে তিনি একটু ভালো আছেন। এই ভালো ডাক্তাররা বলেছেন ভালো নয়। কারণ তারা (ডাক্তাররা) বলেছেন বেগম খালেদা জিয়ার যে অসুখ তার চিকিৎসা এখন আর এখানে নেই। তার চিকিৎসা করতে হলে অবশ্যই বিদেশে উন্নত কোথাও চিকিৎসা করতে হবে। কিন্তু কি দুর্ভাগ্য আমাদের কি অভাগা জাতি আমরা। এমন একটা সরকার পেয়েছি যারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে।

তিনি আরও বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী কূটনৈতিক ও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সামনে বলেছেন আমরা বেগম খালেদা জিয়ার কাগজপত্র বিদেশে পাঠিয়েছি। কেন বলেছেন কূটনীতিকরা বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা ইতিমধ্যে এ সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে এইজন্য।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, রফিকুল আলম মজনু, আমিনুল ইসলাম,সাইফুল আলম নীরব, সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, মোস্তাফিজুর রহমান, আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, হেলাল খান, জাকির হোসেন রোকন, আব্দুর রহিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।