আখুন্দজাদাই হচ্ছেন নতুন তালেবান সরকারের প্রধান!

আপডেট: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২১
0

আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়া তালেবানের নেতৃত্বে গঠিত হতে যাওয়া নতুন সরকারে রাষ্ট্রপ্রধান হচ্ছেন সশস্ত্র রাজনৈতিক দলটির প্রধান মোল্লা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা।

রোববার আফগানিস্তানে তালেবান সংশ্লিষ্ট ও পাকিস্তানের সরকারি কর্মকর্তাদের বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই খবর জানায় দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।

খবরে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো দাবি করছে তালেবানের প্রধান মোল্লা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। একইসাথে তালেবান যোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত নতুন আফগান সামরিক বাহিনীর সর্বোচ্চ অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।

এর আগে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত আফগানিস্তানে তালেবানের প্রথম শাসনামলে দলটির প্রতিষ্ঠাতা প্রধান মোল্লা মোহাম্মদ ওমর রাষ্ট্রপ্রধান ও সামরিক বাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে মোল্লা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা দায়িত্ব পালন করলেও তার তিন সহকারি, তালেবানের রাজনৈতিক দফতরের প্রধান মোল্লা আবদুল গনি বারাদার, সামরিক শাখার প্রধান মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুব ও হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান সিরাজউদ্দিন হাক্কানি গঠিত হতে যাওয়া নতুন সরকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।

২০০১ সালে নাইন-ইলেভেনের সন্ত্রাসী হামলার জেরে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ হামলার জন্য আলকায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে দায়ী করেন। ওই সময় আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারের কাছে তাদের আশ্রয়ে থাকা ওসামা বিন লাদেনকে মার্কিন প্রশাসনের হাতে তুলে দেয়ার দাবি জানান বুশ।

তালেবান সরকার ওসামা বিন লাদেনকে তুলে দেয়ার পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার সাথে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে মার্কিনিদের কাছে প্রমাণ চায়। প্রমাণ ছাড়া তারা ওসামা বিন লাদেনকে মার্কিন প্রশাসনের কাছে তুলে দিতে অস্বীকৃতি জানায়।

বুশ প্রশাসন ও তালেবানের মধ্যে বিরোধের জেরে ২০০১ সালের অক্টোবরে আফগানিস্তানে আগ্রাসন শুরু করে মার্কিন বাহিনী। অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রসজ্জ্বিত মার্কিন সৈন্যদের হামলায় তালেবান সরকার পিছু হটতে বাধ্য হয়।

তবে একটানা দুই দশক যুদ্ধ চলতে থাকে দেশটিতে।