আতঙ্কে দেশ ছাড়ছেন লাখো ইউক্রেনীয় : ভ্লাদিমিরও পালিয়েছে দাবী রাশিয়ার

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২
0

রাশিয়ার সামরিক হামলায় রাজধানী ছেড়ে পালিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এমনটাই দাবী করেছে রাশিয়া । এমনটা দাবি করে রাশিয়ার পার্লামেন্ট স্পিকার ব্যাচেস্লাভ ভলোদিন বলেন, আগ্রাসনের তৃতীয় দিনে রুশ হামলায় রাজধানী ছেড়ে পালিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।

নিজের টেলিগ্রাম চ্যানেলে রুশ স্পিকার ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের পলায়ন নিয়ে এমন তথ্য প্রচার করে বলেন, জেলেনস্কি দ্রুত কিয়েভ ছেড়েছেন। গতকাল তিনি ইউক্রেনের রাজধানীতে ছিলেন না। দলবল নিয়ে তিনি কিয়েভ ছেড়ে পশ্চিমাঞ্চলীয় লভিভে পালিয়েছেন। সেখানে তিনি এবং তার সহযোগীরা আগেই থাকার জায়গা ঠিক করে রেখেছিলেন।

স্পিকার আরও বলেন, জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব ভিডিও প্রকাশ করেছেন, তা আগেই রেকর্ড করা ছিল। ইউক্রেনের আইনসভার সদস্যদের কাছে থেকে জেলেনস্কির পালিয়ে যাওয়ার তথ্য এসেছে বলে জানিয়েছেন রুশ এই স্পিকার।
এদিকে ,রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে ইউক্রেনে। ইতোমধ্যে দেশ ছেড়েছেন ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ। বেশির ভাগ আশ্রয় নিয়েছেন পাশের দেশ পোল্যান্ডে। অনেকে এখনো নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে হেঁটে চলেছেন সীমান্তের দিকে। সবশেষ ৪ ঘণ্টায় সীমান্ত পার হয়েছেন ১৫ হাজারের বেশি মানুষ।

গত বৃহস্পতিবার কিয়েভে হামলা শুরুর পর আতঙ্কে শহর ছেড়ে অনেকেই ভিড় করছেন ট্রেন স্টেশনগুলোয়। কয়েক কিলোমিটার হেঁটে চলেছেন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। ইউক্রেন ছাড়তে সীমান্তবর্তী এলাকায় বেড়েই চলেছে মানুষের ঢল।

এদিকে, ইউক্রেন ছেড়ে রোমানিয়ায় আশ্রয় নেয়াদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিচ্ছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। খাবার, পানি আর ওষুধপত্র সরবরাহ করতে অস্থায়ী ক্যাম্প করা হয়েছে রোমানিয়ার সীমান্তবর্তী সিরেত শহরে।

রাশিয়ার একের পর এক বিমান হামলায় ধংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ। আর তাই জীবন বাচাঁতে পোল্যান্ডের সীমান্তে ভিড় করছেন ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকরা।

রুশ সেনাদের অভিযান থেকে বাঁচতে অনেকে আবার দেশ ছেড়ে পালাতে না পেরে আশ্রয় নিয়েছেন গির্জায়। পরিবার নিয়ে কোনো রকম বেঁচে থাকাটাই যেন এখন তাদের একমাত্র চাওয়া।

এ অবস্থায় বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি শরণার্থীদের গ্রহণে এগিয়ে এসেছে জার্মানি। ইউক্রেনের নাগরিকদের জার্মানি প্রবেশে কোনো ভিসা লাগবে না বলে জানিয়েছে বার্লিন।

ইউক্রেনে চলমান রুশ আগ্রাসন থেকে বাঁচতে ঘর ছেড়ে যাওয়া মানুষ নিরাপদ স্থানে পৌঁছালেও অনেকেই আছেন অনিশ্চিত ভবিষ্যতের শঙ্কায়। কবে হামলা বন্ধ হবে আর কবে ফিরবেন নিজ মাতৃভূমিতে তা জানা নেই কারো।