আন্দোলনে জনগন স্বতস্ফূর্তভাবে নেমে আসায় সরকার ভয়ে সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়েছে —মীর্জা ফখরুল

আপডেট: আগস্ট ২৯, ২০২২
0

আন্দোলনে জনগনের ‘স্বতস্ফূর্ততা’য় সফলতা দেখছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, ‘‘ জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য চাল-ডাল-তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ করতে গিয়ে ভোলায় আমাদের ছাত্র দলের নেতা নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার পরে আমরা আন্দোলন শুরু করেছিলাম।এখন সারাদেশে সেই আন্দোলন অত্যন্ত বেগবান হচ্ছে।”

‘‘ আপনারা দেখেছেন যে, প্রতিটি জায়গায় জনগন স্বতস্ফূর্তভাবে নেমে আসছে এবং এই সরকারের বিরুদ্ধে তারা তাদের যে প্রতিবাদ সেই প্রতিবাদ তারা করছে। আন্দোলনে ভীত হয়ে এই সরকার সন্ত্রাসী বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে এবং বিভিন্ন জায়গায় তারা আক্রমন করছে, পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় গুলি করছে, আমাদের নেতা-কর্মীদের আহত করছে।এই সরকারের যে ভয়াবহ সন্ত্রাসী চেহারা তা আবার উন্মোচিত হতে শুরু করেছে।”

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ আজকে বড় ভয় পেয়েছে তারা যে, জনগনের ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে। জনগনের ঐক্য এই সরকারের পতনকে তরান্বিত করবে। আমরা বিশ্বাস করি, সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর একটা ঐক্য সৃষ্টি হবে।’’

‘‘ সমস্ত রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ করে আমরা সামনে এই ভয়াবহ দানবীয় যে সরকার সেই সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থেই একটা গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই।”

কাজী জাফর আহমদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি বলেন, ‘‘ কাজী জাফর আহমেদ সেজন্যই আজকে প্রাসঙ্গিক। তিনি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন। আমরা সব সময় বিশ্বাস করি, তার সারা জীবনের যে কাজ, তার সারা জীবনের যে রাজনীতি সেই রাজনীতি অবশ্যই আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করবে এই ভয়াবহ একনায়কোতন্ত্র, কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদী সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থে জনগনের সরকা্র প্রতিষ্ঠা করবার, জনগনের একটা রাষ্ট্র নির্মাণ করবার জন্যে এবং আমাদের সংবিধানে যে মূল লক্ষ্যগুলো আছে সেই লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়িত করবার জন্যে।”

২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টি(কাজী জাফর) প্রতিষ্ঠাতা কাজী জাফর আহমদের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই স্মরণ সভা হয়।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে যুগ্ম মহাসচিব এএসএম শামীমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় জেএসডির আসম আবদুর রব, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপির মনিরুল হক চৌধুরী, জহির উদ্দিন স্বপন, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপার খন্দকার লুতফর রহমান, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান, রুহুল আমিন, মজিবুর রহমান, সেলিম মাস্টার, যুগ্ম মহাসচিব কাজী নজরুল প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।