আন্দোলন সফল করতে প্রথম বুলেটটা বুক পেতে নিবো- ইশরাক

আপডেট: মার্চ ১০, ২০২১
0

আন্দোলন সংগ্রাম সফল করতে প্রথম বুলেটটা নেয়ার জন্য আমি আমার বুক পেতে দিবো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশারা হোসেন। বুধবার বিকেলে রাজধানীর খিলগাঁও, তালতলা মার্কেট এর সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও আমরা নিজেদের মধ্যে মারামারি, ক্ষমতায় যাওয়ার যে একটা লালসা সেখান থেকে আমাদের মাঝে বিবাদ, বিভাজন, বিরোধ, মারামারি হানাহানী করছি। এখানে লাভ কার হচ্ছে? এখানে একটি স্বার্থবাদী গোষ্ঠী, মাফিয়া গোষ্ঠী, ভূমিদস্যু যারা বিএনপির সময় ব্যবসা করে,ছে আওয়ামী লীগের সময়েও ব্যবসা করেছে, জমি দখল করেছে, বাংলাদেশের সম্পদ লুটপাট করেছে গরিব দুঃখী কৃষকদের সম্পদ লুটপাট করে তারা বিদেশে পাচার করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, এই যে সাম্রাজ্যবাদীশক্তি আজকে আমাদের ঘাড়ের উপর এসে চেপে বসেছে ৫০ বছর পরে এসে আমি আপনাদেরকে বলতে চাই, তরুণ প্রজন্ম জেগে উঠেছে। আমরা এই সাম্রাজ্যবাদী শক্তি মেনে নেব না। আমি আপনাদেরকে কথা দিচ্ছি এই আন্দোলন সংগ্রাম সফল করতে এই রক্ষীবাহিনীর পতন ঘটাতে প্রথম বুলেটটা নেয়ার জন্য আমি আমার বুক পেতে দিবো। পেছনের দিক দিয়ে পালিয়া যাবো না। আপনাদেরকে সাথে নিয়ে ইনশাআল্লাহ এই সাম্রাজ্যবাদী গোষ্টির পতন ঘাটাবো।

গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার জ্যেষ্ঠপুত্র ইশরাক হোসেন বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এসে আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়ে আমি লজ্বাবোধ করছি যে আমরা এখনো স্বাধীনতাকে খুঁজে বেড়াই, আমরা এখনো গণতন্ত্রকে খুঁজে বেড়াই। তিনি বলেন, এই বর্তমান সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যে রূপ ধারণ করেছেন সেটি আমাদেরকে পাকহানাদার বাহিনী এবং রক্ষীবাহিনীর কথা মনে করিয়ে দেয়। আমাদের আজকের গণতন্ত্রের এই সংগ্রামে প্রায় এক হাজার নেতা-কর্মী গুম-খুনের শিকার হয়েছে। আমাদের সিলেটের জনপ্রিয় নেতা ইলিয়াস আলী, ঢাকার কমিশনার চৌধুরী আলম সহ অনেকে গুমের শিকার হয়। ২০১৪ সালে নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল যে আন্দোলন করেছিলো ২৭ জন নেতাকর্মীকে গুম করে ফেলা হয়েছিলো। তাদের লাশটি পর্যন্ত আজও পাওয়া যায়নি।

ইশরাক বলেন, জিয়াউর রহমানের যে খেতাব যেটা তিনি নিজে যুদ্ধ করে অর্জন করেছেন সেটা বাতিল করার চেষ্টা করছে সরকার। এইযে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী যিনি আছেন তিনি জিয়াউর রহমানের কবর অন্যত্র সরানোর মতো উদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যও প্রদান করেছেন।

আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং আমি বর্তমান প্রজন্মের আওয়ামী লীগের আমার বন্ধুরা এবং যারা দেশের নাগরিকরা আছেন তাদেরকে বলতে চাই আমাদের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করে আপনাদের মাঝে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে, বিভক্তি সৃষ্টি করছে আপনারা সেটা বন্ধ করুন। আমরা আগামীতে সকল জাতীয় নেতৃবৃন্দ এর প্রতি সন্মান প্রদর্শন করে জাতীকে ঐক্যবদ্ধ করে আগামীতে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা সবাইকে তাদের যথাযথ সন্মান দিতে চাই।