আমতলীর এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে নারী কর্মচারীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ তদন্ত ও শাস্তির দাবী মহিলা পরিষদের

আপডেট: নভেম্বর ৮, ২০২১
0

বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. নাজমুল ইসলাম কর্তৃক এক নারী কর্মচারীকে ধর্ষণ চেষ্টা ও যৌন হয়রানির অভিযোগের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে জড়িতের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনসহ যথাযথ আইনে ব্যবস্থাগ্রহন ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের বিবৃতি প্রদান করেছে।

গত ০৭ নভেম্বর ২০২১ তারিখ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ মাধ্যমে জানতে পারি যে-
বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. নাজমুল ইসলাম কর্তৃক এক নারী কর্মচারীকে ধর্ষণ চেষ্টা ও যৌন হয়রানির অভিযোগের ঘটনা ঘটেছে। জানা য়ায়, ৬ মাস আগে আমতলী উপজেলায় এসিল্যান্ড হিসেবে যোগ দেন নাজমুল। এরপর ভারপ্রাপ্ত ইউএনও হিসেবে কিছুদিন দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সে সময় তিনি নারী কর্মচারীকে কারণে-অকারণে অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে কুপ্রস্তাব দিতেন।

সম্মতি না দেওয়ায় যৌন হয়রানি করতেন তিনি। মো. নাজমুল ইসলাম ওই নারীকে দিনে অন্তত ১০ থেকে ১৫ বার ফোন দিতেন এ বিষয়ে ওই নারী উপজেলা পরিষদের কর্মকতা-কর্মচারীদেরকেও জানিয়েছেন। গত ৪ নভেম্বর সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. নাজমুল ইসলাম সরকারি জমি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ওই নারী কর্মচারীকে অফিসে ডেকে ধর্ষণ চেষ্টা চালালে উপজেলা পরিষদের কয়েকজন কর্মকতা-কর্মচারী ও সেবাগ্রহীতারা ঘটনাটি দেখতে পান।

পরে ওই নারীকে চাকরিচ্যুতি ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নামে সাজা দেওয়ার হুমকি দিয়ে মো. নাজমুল ইসলাম সেখান থেকে চলে যান। এ বিষযে গত ০৭.১১.২০২১ তারিখ রবিবার নির্যাতনের শিকার নারী কর্মচারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারী কর্মচারীকে উত্ত্যক্তকরণ ও যৌন হয়রানির অভিযোগের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনসহ যথাযথ আইনে ব্যবস্থাগ্রহন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ শাস্তির দাবি জানাচ্ছে। একইসাথে নারী কর্মচারী ও তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিকরণের দাবি জানাচ্ছে। সেইসাথে যৌন নিপীড়ন, উত্ত্যক্তকরণ বন্ধে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের রায়ের আলোকে পৃথক আইন প্রনয়নসহ রায়ের বাস্তবায়ন নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য দাবি জানাচ্ছে।