গাজীপুর সংবাদদাতাঃ গাজীপুর সিটি কপোর্রেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, আমি আগেও বলেছি একনো বলি আমার দ্বারা কোন মানুষকে কটুক্তি করার দুঃসাহস অমি কোনদিন করিনাই এবং করবওনা।আমাকে ফঁাসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার সৃষ্ট্রিকর্তা আছেন,আপনাদের দোয়া আছে।
আর আমার অস্থিত্ব জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আমার নেতা বঙ্গবন্ধু কণ্যা দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আওয়ামীলীগ আমার জম্মের পর থেকে পাওয়া।আমি কারো জন্যে ক্ষতিকারক না।আমি সবার ভাল চেয়েছি।ঙ্গবন্ধুর স্বাধীন এ দেশে সকল ধর্মের মানুষ পাশাপাশি থেকে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করছে। ধর্ম হচ্ছে নিজস্ব বিশ্বাস, নিজস্ব অস্তিত্ব। যার যার অবস্থান থেকে যতোটা সম্ভব এটাকে সমুন্বত এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। মুসলিম, হিন্দু,খৃষ্ট্রান,বৌদ্ধ আমারা সবাই ভাই ভাই হিসেবে থাকব।কোন অপপ্রচার বা মিথ্যা দিয়ে কোন ধরণের দাঙ্গা লাগানো যাবেনা। রাস্তায় গিয়ে গাড়ি ভাংচুর,মানুষের সম্পদ নষ্ট করা কোন মানুষের কাজ হতে পারেনা। আমি আগেও বলেছি একনো বলি আমার দ্বারা কোন মানুষকে কটুক্তি করার দুঃসাহস অমি কোনদিন করিনাই এবং করবওনা।আমাকে ফঁাসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার সৃষ্ট্রিকর্তা আছেন,আপনাদের দোয়া আছে। অন্ধকার থেকে সত্য একদিন বেরিয়ে আসবেই।
সকল ধর্মের মানুষ যাতে নিজেদের জন্মভ্থমি এই বাংলাদেশে স্বাধীন ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস ও চলাফেরা করতে পারে সেদিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে।তাই আমি সবাইকে নিয়েই একটি পরিকল্পিত শহর গড়তে চাই।
তিনি বুধবার গাজীপুর নগর ভবনের কার্যালয়ে শারদীয় দূর্গাপূজা-২০২১ উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভা ও চেকবিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তিনি গাজীপুর মহানগরের ১৪৪ টি পূজামন্ডপের প্রতিটিতে ৩০ হাজার টাকা করে নগদ অর্থ ও চেক সহায়তা প্রদান করেন। এসময় গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ নয়ন, অ্যাড. আমজাদ হোসেন বাবুল, জেলা যুবলীগের আহবায়ক আলতাব হোসেন, কাউন্সিলর আজিজুর রহমান শিরিশ, পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অরুন সাহা ও সাধারণ সম্পাদক নারায়ন দাস, মানিক চন্দ্র দে,দীলিপ সরকার,রাজু সাহা, নিখিল চন্দ্র দাসসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বহু ত্যাগের বিনিময়ে আমরা একটি স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধু কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে চলেছেন। তিনি দেশের প্রতিটি গ্রামকে শহরে উন্নীত করতে আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমি গাজীপুর সিটি কপোর্রেশনের মেয়র পদে নির্বাচিত হয়ে যখন দায়িত্ব গ্রহণ করি তখন এ সিটি কপোর্রেশন ২৪০ কোটি টাকা ঋণ গ্রস্থ ছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহায়তায় সে অবস্থা কাটিয়ে আমি গত দুই অর্থ বছরে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করি। আমি গত তিন বছর রাতেদিনে কাজ করেছি। তিন বছর কোথাও দাওয়াত খেতে যাইনি। মানুষ রাস্তা চলাচলে কষ্ট পোহাতে হয়। আমি মহানগরে আট‘শ কিলোমিটার রাস্তার কাজ করেছি। এই কাজগুলো আপনাদের জন্যে ্এই শহরের মানুষের জন্যে করে যাচ্ছি।স্বাধীন দেশের মানুষ যেন স্বাধীন ভাবে চলতে পারে। তাই এখন আমার কাজের দোষ নেই কিন্তু আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে এসব কথা যারা তুলেছে সেই কথা গুলো আমার নয়। আমাকে ফাঁসানোর জন্য ও বাধ্য করার জন্য এই কাজ গুলো শুরু করেছে। আমি মানুষ,মানুষের ভ্থল হতে পারে কিন্তু তারা যেসব কাজগুলো করেছে,আমার গার্জিয়ান ছিল,আমি দেশের বাইরে চলে গেলাম,আমার নেত্রী দেশের বাইরে চলে গেল, মোজাম্মেল ভাই দেশের বাইরে চলে গেলেন। তারা রাস্তার মধ্যে এসে গাড়ি আর টায়ার পোঁড়া শুরুকরল।এই কাজগুলো কাদের লাভের জন্যে করেছেন? বিভিন্ন ধরণের অপপ্রচারের মাধ্যমে আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা বিভিন্ন মানুষের পিছনে গিয়ে ঘুরছে ,মানুষকে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে। আমি অন্যায় দুর্নীতি করিনা এবং এদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেইনা। অনেকে দুর্নীতি ও লুটপাট করতে চেয়েছিল, রাস্তা থেকে চুরি করে ইট উঠিয়ে নিয়ে বিক্রি করেছে,আমার কাছে সব প্রমান আছে, এলাকার শান্তির স্বার্থে অনেক কিছু বলিনা, এই লুটপাটকারীরা কোনক্রমে সিটি কর্পোরেশনে ডুকতে পারবেনা। আমি তাদের বাঁধা দিয়েছি। সেই বাঁধা গ্রস্থরা কয়েকজন আজকে ঐক্য হয়েছে তাতে আমার কিছুই হবেনা। আমি জীবন দিব তবু জনগণের আমানত নষ্ট হতে দিবনা। কারণ আমার সাথে মানুষের দোয়া আছে। আপনাদের ভালবাসা আছে। মানুষের দোয়া থাকলে কেউ ক্ষতি করতে পারেনা। আমি মেয়র আপনাদের এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আওয়ামীলীগের। মানুষ হিসেবে সারা জীবন থাকবনা কিন্তু মানুষের কর্মটা থাকবে। সেজন্য আমি মনে করি আপনাদের সাথে আমার কবর পর্যন্ত সম্পকর্য। মৃত্যুর পর যেন ভালবাসার টানে মানুষ আমাকে দেখতে কবর পর্যন্ত যায়। তাই মেয়র হিসেবে অমি সবার সাথে আলোচনা করে কাজ করি শুধুমাত্র ওই শহরের মানুষের শান্তির জন্যে।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের গাজীপুর মহানগরকে আধুনিক ও পরিকল্পিত শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এ নগরীর গরীবদের জীবনমান উন্নয়ন করতে সাবসিডিয়ারী দিতে চাই। এজন্য প্রথম পর্যায়ে এক লাখ গরীব মানুষ যাদের দেড় হাজার বর্গফুট আকারের নীচে যাদের টিনের বা টিনসেড বা মাটির তৈরী ঘর রয়েছে তাদের ৫ বছরের কর মওকুফের জন্য গাজীপুর সিটি কপোর্রেশনের পক্ষ থেকে প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও এ নগরীর উন্নয়ন কাজ করতে গিয়ে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন, আমরা তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে চাই। ক্ষতিগ্রস্থদের পরিবারকে চাকুরি দেয়ার ব্যাবস্থা করছি। আশাকরছি শীঘ্রই এসব ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। সবাই মিলে কাজ করলে তা সম্ভব হবে এবং গাজীপুর শহরকে একটি সুন্দর ও উন্নত আধুনিক শহরে আমরা পরিনত করতে পারবো-ইনশায়াল্লাহ।
এসময় সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা কর্মচারী , শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপন কমিটরির কয়েকশত নেতাকর্মী ও মহানগর আওয়ামীলীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।