‌’আমি একদল সোনার মানুষের মেলায় সয়লাব হতে চেয়েছি’

আপডেট: মার্চ ১৮, ২০২৩
0

ডা জাকারিয়া চৌধুরী :

এখন আর জ্বলে না নক্ষত্র,
বসে না তারার বীথিতে অনন্ত জোনাকীর ঘর,
আনি দেখি জ্বলে কেবল শৈশব; পুড়ে খাক হয় নরম তুলতুলে পোড়া মন।
পোড়া মন তুমি কিভাবে এতকাল ধরে জ্বলো !! বলো ভাই,
আমাকে খুব সামান্যই না হয় বলো।।

আমায় বলে যাও- অগ্নি নির্গত নরম লাভা সময়ের আবর্তে যে পাথর হয়-
সেই পাথরও কি শর্ত স্বাপেক্ষে কোনোও বিনিময় চায় ?
এ কেমন কথা !!
আজ আপন হতেও পাথরেরা আপনার বিনিময়ে বিলীন হতে চায় !!

অথচ আমি তার কাছে সামান্য ভালোবাসা চেয়েছি,
করুণা দাক্ষিন্য লাঞ্চিত হয়েছি। আমি কি তবে তার কোন ইচ্ছের দায় ?
বহুবার বলেছি, কড়ির কারবার আমার নয়,
সোনার কালি কলমের কারবারি হতে চেয়েছি।

হ্যাঁ, আমি একদল সোনার মানুষের মেলায় সয়লাব হতে চেয়েছি,
সে সব জানে, সবকিছু আগেই জানতো !

তবু বলো আবার সে কি চায় ? ও মন বলো আমায় সব খুলে বলো।
তুমি ত জানো, আমি সফেদ সাদা বক হতে চেয়েছি,
কুয়াশায় ঢাকা ভোরে দিঘীর জলে এক পা ডুবিয়ে অপেক্ষা করেছি,
যুগ থেকে যুগান্তরে নিশ্চুপ নিষ্পলক দাঁড়িয়ে থেকেছি,
গতকাল রাতেই আবারো সব কিছু পরিস্কার করে বলেছি।
নীল লাল মাছরাঙা হবার সাধ আমার বহুদিনের,
গলাটিপে হত্যা করেছি সে সাধের সবেই।

মাছরাঙ্গা হবার হবার খায়েস মিটে গেছে আমার সে কবেই।,
আমার স্বপ্নে যেথায় অবিরাম খোলা আকাশ খেলা করে,
তুলোর মেঘ আমায় ভাসিয়ে নিয়ে যায় লংকার দিকে..
সেখানে আমি মর্ত্যে নেমে আসি বিস্ফোরিত অসুরের মত,
দেবকুল দশ হাত নিয়ে আমায় মোকাবেলা করতে আসে,
আমার সামান্য দু’আনার কবি।

যুদ্ধ বিগ্রহ লাঞ্চনা কিংবা কলংক নয়।
নিরাপদ মাটির সুরঙ্গ কোনো আকাশ নয়।
সেখানে আকাশের মেঘ নেই, হাওয়ার দুলুনি নেই,
কালবৈশাখী ঝড়ের পুর্বাভাষ নেই।
যেখানে মেঘেদের লুকোচুরি খেলা নেই,
যেখানে সন্ধ্যের আগে আগে দল বেধে উড়ে যাবে,
একঝাক সোনালী তারা; বকেদের দল।

মাছরাঙ্গা যদি হতাম আমি, মাটির সুরংগে আমার কোনো সাধ নেই।
আমার সাধনা আমার প্রেম সব উজাড়ি তারার মেলায়।
যেখানে আকাশ নেই, শিশিরের কনা নেই,
সুর্যের পেছনে সদা দন্ডায়মান তারার নেলাও নেই..
স্বর্গীয় হলেও মাটির সুরঙ্গ চাই না।

আমায় এখন বলো ও পোড়া মন কথা বলো আমায়…
ও মম আমারে বল, কিভাবে এতোটা এতোটা পুড়ো।
তারারাই বা কিভাবে আমার সহস্র রজনী পোড়ায় !!


বেভারলি হিলস।