স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় ওয়ারেন্ট ভুক্ত, শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী, যার পুরো পরিবার মাদকের ব্যবসার সাথে জড়িত সেই সোহেল (৩৩) এবার ইউপি নির্বাচনে মেম্বার পদে প্রার্থী হয়েছেন।
সে উপজেলার ব্রাক্ষন্দী ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং উক্ত ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদের প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। ২৫ নভেম্বর সোহেল চুপেচুপে মনোনয়ন দাখিল করলেও শনিবার (২৭ নভেম্বর) বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক চাপা ক্ষোপ বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানান, ইতোমধ্যে মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের নিয়ে কেন্দ্র দখল করে নির্বাচনে জয়লাভের ছক কষছেন সোহেল
জানা গেছে, আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাক্ষন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডেও বালিয়াপাড়া গ্রামের একটি পরিবার সকলেই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত বিষয়টি পুরো উপজেলায় ওপেন সিক্রেট। এই পরিবারটি উপজেলায় প্রথম মাদক ব্যবসার প্রচারপ্রসার করে। পরিবারের কোন সদস্য গ্রেফতার হলে অন্য সদস্যরা এই ব্যবসার হাল ধরেন। যার কারণে বন্ধ হচ্ছেনা মাদক বিক্রি। এবার নির্বাচনে মেম্বার পদে জয়ী হয়ে পুরোদমে ব্যবসায় আধিপত্য ছড়াতে ও বাধাহীনভাবে ব্যবসা করতে চাইছেন তারা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাবা, মা, ভাই, ভগ্নিপতি সবাই মাদক বিক্রেতা। গ্রেফতার হয় আবার ছাড়া পায়। ওদের পেছনে স্থানীয় ক্ষামতাসিন দলের প্রভাবশালী কারো হাত রয়েছে। এমন অভিযোগ ঘুরছে বালিয়াপাড়া গ্রামের প্রতিটি মানুষের মুখে মুখে। ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের একটি সুপরিচিত গ্রাম বালিয়াপাড়া। এই গ্রামের নামটি কলঙ্কিত করে ফেলেছে ওই একটি মাদক পরিবার।
তাদের পরিবারের সদস্য নির্বাচনে নামায় এবার আতঙ্ক আর ভয় ছড়িয়েছে গ্রামজুড়ে।
মাদক বিক্রেতা সোহেল (৩৩) এবার এ ওয়ার্ডেও মেম্বার প্রার্থী। ইতোমধ্যে অন্য প্রার্থীদের ভয়ভীতি দেখানো ও তাদের মাঠ ছেড়ে দিতে হুমকি চলছে। সোহেলের বিরুদ্ধে রয়েছে ৮টি মামলা রয়েছে। তার মাঝে একটিতে ওয়ারেন্ট ।
সোহেল জেলে ঢুকলে তার পিতা এলাকার বিখ্যাত মাদক সম্রাট মকবুল মিয়া (৫২) ব্যবসার হাল ধরেন। তার বিরুদ্ধে মামলা ২ টি।
তাদের সহযোগিতা সাহায্য করে স্ত্রী সোনাবিবি অথাৎ সোহেলের মা (৪০)। তার বিরুদ্ধে মামলা ৯টি। সোনাবিবি গাঁজা, হেরোইন ও ফেন্সিডিলসহ সব ধরনের মাদক মজুদ করে লুকিয়ে মাদক বিক্রি করে। সোহের মাকে মাদকের রানী হিসেবে সবাই চিনে। এর আগে শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্টারিংও করে সোহেল। এহেন অবস্থায় এ পরিবারের সদস্য যখন নির্বাচনে মাঠে তখন পুরো গ্রামে আওয়াজ উঠেছে যেন এমন প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল করা হয় অন্যোথায় পুরো গ্রাম মাদকের নরকরাজে পরিনত করবে এরা।
আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সুলতানা এলিন সোহেল নামে একজন প্রার্থী হয়েছেন। তবে সে মাদক বিক্রেতা হলে আইন শৃংখলা বাহিনা ব্যবস্থা নিবে।
বিষয়টি জানতে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান মোল্লার জানান, সোহেল নির্বাচনে দাঁড়িয়েছে কিনা জানা নেই তাকে গ্রেফতারের চেস্টা চলছে।
জেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা মতিয়ুর রহমান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই খোঁজ খবর নেয়া হবে। খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।