আ.লীগ এই বছর পার করতে পারবে না: দুদু

আপডেট: জানুয়ারি ১৪, ২০২৩
0

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। ছবি : সবুজ
যারাই গণতন্ত্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেছে, তারাই হেরেছে মন্তব্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, আওয়ামী লীগ এই বছর পার হবার কোনো কারণ আছে বলে আমার কাছে মনে হয় না।

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের উদ্যোগে বিএনপির চেয়াপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ আটক সকল দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি একথা বলেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি হচ্ছে ক্ষমতা প্রিয় রাজনীতি। বিরোধীদল থাকলে তারা গণতন্ত্রের কথা, অধিকারের কথা বলে। আর যেই মূহুর্তে তারা ক্ষমতায় যায় তারা পূর্বের কথা থেকে সরে যায়, এবং ফ্যাসিবাদী চরিত্র ধারণ করে। ২০০৮ থেকে দীর্ঘ ১৪ বছরের যে ক্ষমতা আমরা দেখতে পারছি। এত নির্দয় নির্মম পৈচাশিক শাষণ গত ৫২ বছরে বাংলাদেশের মানুষ দেখে নাই।’

আওয়ামী ক্ষমতায় যাবার জন্য যা যা করা দরকার তাই করে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘কেয়ারটেকার গর্ভামেন্টের নামে আওয়ামি লীগ সারা দেশে তান্ডব সৃষ্টি করেছিলো। সেই সময় বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় ছিলেন। এমন কোন অপকর্ম নাই, এমন কোন জঙ্গি আন্দোলন নাই, নাশকতা নাই সেই সময় আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জামায়েতে ইসলাম এবং তথাকথিত কয়েকটি বামপন্থী নেতাকর্মীদের দ্বারা সংগঠিত হয় নাই। তাদের সেই আন্দোলন প্রমান করে বিশেষ করে আওয়ামিলীগ যখন যা করা দরকার সেটা করে ক্ষমতার জন্য।’

বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আওয়ামি লীগের মাথা খারাপ হয়ে গেছে মন্তব্য করে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন চলছে। ১৬ তারিখও বিএনপি সহ প্রায় ৩৩ টি রাজনৈতিক দলের যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি আছে। এই কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ হবে। আজকের নেতৃবৃন্দ শান্তিপূর্ণ ভাবে মানববন্ধন করছে৷ এতেই বর্তমান সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে।’

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে গণতন্ত্রের জন্য, স্বাধীনতার জন্য, মানুষের অধিকারের জন্য। তার জন্য যুদ্ধ হয়েছিলো। সেই গণতন্ত্রের সঙ্গে যারাই প্রতিযোগিতা করেছে সেই পাকিস্তান আমল থেকেই সামরিক শাসক হোক, কর্তৃত্ববাদী শাষক হোক, স্বৈরশাসক হোক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কাছে তারা হার মেনেছে। সেই জন্য আগামীতে আমরা দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি, বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হবে। তারেক রহমান দেশে আসবেন৷ বাংলাদেশে গণতন্ত্র পূর্ন প্রতিষ্ঠা হবে৷ এই সরকার এই বছর পেরোবে বলে কোন কারণ আছে বলে আমার কাছে মনে হয় না।’

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন খান, ওমর ফারুকসহ ঢাকা উত্তর দক্ষিণ মৎস্যজীবী দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।