ইসিবি চত্বরে শান্ত’র মৃত্যু কোনোভাবেই দুর্ঘটনা নয়, দোষীদের দ্রুত বিচারের দাবি যাত্রী অধিকার আন্দোলনের

আপডেট: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১
0

রাজধানীর মিরপুরে ইসিবি চত্বরে প্রাইভেটকার চাপায় আদমজী ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আবুল কালাম আজাদ শান্ত-এর মৃত্যুর ঘটনা নিছক কোনো দুর্ঘটনা নয়, বরং হত্যাকাণ্ড বলে উল্লেখ করে এই ঘটনায় দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে যাত্রী অধিকার আন্দোলন।

শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এই দাবি জানিয়েছেন যাত্রী অধিকার আন্দোলন-এর আহ্বায়ক কেফায়েত শাকিল ও যুগ্ম আহ্বায়ক অন্তু মুজাহিদ। এই ঘটনায় নিহত স্কুল শিক্ষার্থীর পরিবারের প্রতি সমবেদনাও প্রকাশ করেন তাঁরা।

বিবৃতিতে যাত্রী অধিকার আন্দোলনের দুই নেতা বলেন, প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের বরাতে গণমাধ্যমে যে তথ্য উঠে এসেছে তা থেকে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়। এই গাড়িটির চালক তার পূর্বের অপরাধের সাজা থেকে বাঁচতে ইচ্ছাকৃত শান্তর ওপর গাড়ি উঠিয়ে দিয়েছেন। এই ঘটনাকে কোনোভাবে সড়ক দুর্ঘটনা হিসেবে ধরার সুযোগ নেই। এটি প্রকাশ্য ও স্পষ্ঠ হত্যাকাণ্ড। এই ঘটনায় হত্যা মামলা হিসেবে নিয়ে শুধু চালক নয়, গাড়ির ভেতরে থাকা চালকের নির্দেশদাতাকেও দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

তাঁরা আরও বলেন, করোনার প্রভাবে দীর্ঘদিন জনজীবন স্থবির ছিল। যানচলাচল শুরু হতেই রাজধানীসহ দেশের সড়কে দুর্ঘটনার নামে মৃত্যু ভয়াবহভাবে বেড়েছে। এর অন্যতম কারণ বর্তমানে সড়ক আইন মানার প্রবণতা একেবারেই নেই বললে চলে। রাস্তাঘাটে আইন মানাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কোনো তৎপরতাও দেখা যাচ্ছে না। এখন আর আগের মতো মোটরসাইকেলের হেলমেট পরাতে বাধ্যবাধকতাও দেখা যায় না। এক কথায় বললে, সবক্ষেত্রে উপেক্ষিত থাকছে সড়ক পরিবহন আইন। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহতার দিকে যাবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ২ বছর আগে ইসিবি চত্বরের কাছাকাছি এলাকা কুর্মিটোলায় রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ২ শিক্ষার্থীর প্রাণ হারানোর ঘটনায় সারাদেশে তরুণদের প্রতিবাদের মুখে সরকার সড়কে অনেক পরিবর্তনের আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু কোনো আশ্বাসই আজ পর্যন্ত বাস্তাবায়ন হয়নি। বিচার কার্যকর এবং আইন বাস্তবায়নতো দূরের কথা, দুর্ঘটনা কমাতে নির্মিত আন্ডারপাসটিও এখনো তারা খুলে দিতে পারেনি। সরকারের এমন উদাসীনতাই আমাদের সড়ককে মৃত্যুফাঁদে রূপান্তর করছে।
শান্ত হত্যার ঘটনায় দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে হত্যা মামলায় ফাঁসির সাজা কার্যকর করে দৃষ্টান্ত স্থাপন ও সড়ক আইন বাস্তবায়নে তৎপরতা বাড়াতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান যাত্রী অধিকার আন্দোলনের নেতারা।