ঈদুল আজহার ছুটির পূর্বে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করুন : শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন

আপডেট: জুলাই ৫, ২০২২
0

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান আজ এক যৌথ বিবৃতিতে পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটির পূর্বে প্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত শ্রমিকদের বেতন ও উৎসব ভাতা পরিশোধের জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। একই সাথে নেতৃবৃন্দ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বিশেষ ঈদ ভাতা প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের অধিকাংশ মানুষ শ্রমজীবী। তারা খুব সামান্য বেতনে দৈনন্দিন জীবন-যাপন করে। বর্তমান বাজারের তুলনায় শ্রমিকের শ্রমমূল্য অতি নগণ্য। ফলে শ্রমজীবী মানুষদের সঞ্চয় বলে কিছু থাকে না। ঈদের সময় সন্তান ও পরিবার-পরিজনের জন্য একটু নতুন পোশাক ও ভালো খাবার তুলে দেওয়ার জন্য শ্রমিকদেরকে উৎসব ভাতার ওপর নির্ভর করতে হয়। শ্রমিকরা যে উৎসব ভাতার দিকে সারা বছর চেয়ে থাকে সেই উৎসব ভাতা নিয়ে মালিকরা প্রতি বছর টালবাহানা করে। এটি দেশের জন্য যেমন লজ্জার ঠিক তেমনি ভাবে প্রতিটি শ্রমিকের জন্য কষ্টদায়ক। আমরা চাই এই টালবাহানার অবসান হোক। ঈদের পূর্বে সকল শ্রমিকদের প্রাপ্য বেতন ও বেতনের সম পরিমাণ উৎসব ভাতা বুঝিয়ে দেওয়া হোক। আমরা কোনভাবে শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি হোক এটি প্রত্যাশা করি না। এক্ষেত্রে সরকারের ঊর্ধ্বতন দায়িত্বশীল ও বিশেষ করে শ্রম মন্ত্রণালয়কে বিশেষ ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের একটি বৃহৎ অংশ শ্রমিকরা অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত রয়েছে। এই সকল শ্রমিকরা উৎসব ভাতা বঞ্চিত। রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতে প্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত শ্রমিকদের পাশাপাশি অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত শ্রমিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত শ্রমিক তালিকা প্রণয়নপূর্বক তাদের জন্য রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে উৎসব ভাতা প্রদান করতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না দেশের প্রতিটি শ্রমিকের মুখে হাসি ফোঁটানো রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব। সেই দায়িত্বের জায়গা থেকে সরকারকে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সিলেট ও উত্তরবঙ্গসহ দেশের একটি বৃহৎ অংশে এখনো ভয়াবহ বন্যা চলছে। বন্যার কারণে অসংখ্য শ্রমিক কর্মহীন অবস্থায় আছে। এই সকল শ্রমিকদের জন্য রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বিশেষ বরাদ্ধ দিতে হবে। বন্যা দুর্গত মানুষের জন্য ত্রাণ কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। যতদিন না কর্মহীন শ্রমিক তার কর্মক্ষেত্রে ফিরতে পারছে ততদিন পর্যন্ত তাদের দৈন্দদিন খাবার, ওষুধ ও যাবতীয় খরচের ব্যয়ভার সরকারকে বহন করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, আমাদের প্রত্যাশা ঈদের উৎসব থেকে বঞ্চিত হবে না একটি শ্রমিক পরিবারও। এই জন্য যে উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন তার আলোকে সরকার, মালিক ও শ্রমিকরা মিলে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ঠ সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।