ঈদ উপলক্ষে ১০ হাজার দরিদ্র পরিবারকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের খাবার সহায়তা প্রদান

আপডেট: জুলাই ৬, ২০২২
0

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ

বুধবার ( ৬ জুলাই ) দুপুরে গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে ত্রান বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ।
এই সময় তিনি বলেন, সরকার এতো দিন বলে আসছে বিদ্যুতে আমাদের সারপ্রাইজ। এখন বলছে সাশ্রয় করতে হবে। দুর্নীতি করলে যা হয়। আমরা এখন সে অবস্থায় আছি।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমাদের প্রত্যেকটা ভালো কাজের সুফল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে না। দব্যমূল্যের উর্দু গতির ফলে আজকে পদ্মা সেতুর জন্য সাধারণ মানুষের হাসি কান্নায় পরিনত হয়েছে।

তিনি বলেন, আজকে চারদিকে অভাব অনটন, কান্না। ৩০ লাখ মানুষ যদি খাবার না পায়।আপনার আমার ভেতর গরুর মানুষ ঢুকবে?

প্রধানমন্ত্রীর প্রসঙ্গে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় পদ্মা সেতুতে গিয়ে সেলফি তুলে। এর আগে ঘোষণা হয়েছে পদ্মাসেতুতে কোনো সেলফি তুলা যাবে না। তার মানে আইন তার জন্য না। আইন আপনার জন্য আর আমাদের জন্য এটা হতে পারে না।

তিনি বলেন, এর অন্যতম কারণ হলো গণতন্ত্র। সাংবাদিকদের কথা বলতে দিতে হবে। যতো কালাকানুন আছে উঠিয়ে নিতে হবে।

সাংবাদিকদের সংকট সময়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে প্রতিষ্ঠান ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

তিনি বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র সাংবাদিকদের সবসময় সহায়তা করার চেষ্টা করছে। সাংবাদিকদের সহায়তার পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা দিবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি বলেন, ‘সামনে কোরবানি ঈদ উপলক্ষ্যে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতি পরিবারকে চার কেজি চাল, ১ কেজি মুরগীর মাংস, আধা লিটার সোয়বিন তেল, দুই কেজি আটা ও আলু, লবণ, মরিচের গুঁড়া, মসলাসহ একটি প্যাকেজ খাদ্য উপহার দিয়েছি। এতে একটি পরিবার অন্তত এক সপ্তাহ খেতে পারবে।

আজ দুপুর থেকে ঢাকা শহরে ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্যের সামনে,কদমতলী, হাতিরপুল , পুরানো পল্টন, উত্তর বাড্ডাসহ বিভিন্ন এলাকায় ২ হাজার পরিবারের মাঝে ঈদ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

উল্লেখ্য, এরআগে সিলেটে ও সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় ব্যাপকভাবে ত্রান বিতরণ
ও চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। ১৭ জুন থেকে বন্যার্তদের মাঝে ১০০ টন শুকনো
খাদ্য চিড়া,গুড় বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয় । এর মধ্যে সুনামগঞ্জ ও সিলেটের
প্রায় ২০,০০০ পরিবারকে ১০০ টন চিড়া ও গুড়, ২ লিটারের ৫ হাজার বতল সূপেয়
খাবার পানি ও গবাদি পশুদের জন্য ১৫ টন গো খাদ্য বিতরণ করা হয়। এছাড়াও
সুনামগঞ্জের পাগলা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, নওধার,
বিশ্বনাথ, সিলেটে ১০টি মেডিকেল ক্যাম্পে প্রায় ২ হাজার জনকে ফ্রি
চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। বানবাসী দুই হাজার মানুষকে সুনামগঞ্জের পাগলা
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, নওধার, বিশ্বনাথ, সিলেটে
আশ্রয় দেওয়া হয়। সিলেটে ও সুনামগঞ্জের বন্যার্তদের মাঝে গণস্বাস্থ্য
কেন্দ্রের খাদ্য ও চিকিৎসা সেবা অব্যাহত থাকবে। বন্যা পরবর্তীতে কৃষি ও
পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় সহযোগীতার হাত বাড়াবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

তিনি বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কোন চিকিৎসা সরঞ্জাম বিদেশ থেকে আনতে ৫১ শতাংশ ট্যাক্স দিতে হয়। অথচ বড় বড় হাসপাতাল প্রতিষ্ঠানগুলোকে মাত্র এক পারসেন্ট ট্যাক্স দিতে হয়।

অনুষ্ঠান ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘গণস্বাস্থ্য স্বাধীনতার পর হতে দেশের অসহায় মানুষের মাঝে সবচাইতে কম খরচে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা করেন। যেকোন দূর্যোগের সময় বিনামূল্যে খাদ্য ও চিকিৎসা সহতা করে থাকেন।আমরা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঈদ খাদ্য সামগ্রী বিতরণে অংশগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহকারী মহাসচিব সাংবাদিক শফিউল আলম দোলন।

উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. মনজুর কাদির আহমেদ, অধ্যাপক শওকত আরমান, মানব সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা শাওনাজ পারভিন প্রমূখ।