উত্তপ্ত কাশ্মীরে গ্রেপ্তার ৭০০

আপডেট: অক্টোবর ১১, ২০২১
0

পাঁচদিনে সাতজন সাধারণ মানুষের হত্যার পর জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে তল্লাশি অভিযানে নেমেছে পুলিশ। দুইদিনে গ্রেপ্তার ৭০০ জন। আটক ব্যক্তিরা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাত-ই-ইসলামির সমর্থক বলে অভিযোগ করেছে ভারতয়ি পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তিরা জামাতের সিমপেথাইজার। ওভারগ্রাউন্ড কর্মী হিসেবে তাদের অনেকে কাজও করতো। গোয়েন্দারা জানিয়েছে, আগামী কিছুদিনের মধ্যে আরো হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে কাশ্মীরে। সে কথা মাথায় রেখেই ৭০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশের দাবি।

কাশ্মীরের পরিস্থিতি

গত একমাস ধরে কাশ্মীর উত্তপ্ত হয়ে আছে। তবে গত সপ্তাহে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। একের পর এক সাধারণ মানুষকে খুন করতে শুরু করে সন্ত্রাসীরা। অভিযোগ, বেছে বেছে হিন্দু পণ্ডিত এবং শিখদের খুন করা হচ্ছে। যদিও যে সাতজনকে হত্যা করা হয়েছে, তার মধ্যে মুসলিমও আছে। নিরস্ত্র সাধারণ মানুষকে খুন করে তারা কাশ্মীরে উত্তেজনা জারি রাখতে চাইছে বলে অভিযোগ।
দীর্ঘদিন পর কাশ্মীরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী। ৩৭০ ধারা বিলোপের পর, জম্মু ও কাশ্মীরকে একটি রাজ্য থেকে দুইটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার পর এই প্রথম বৈঠক। তাতে যোগ দেন আটটি দলের ১৪ জন নেতা। ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং লেফটন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহাও।

পাঁচদিনে সাতজন খুন হওয়ার পরে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জরুরি বৈঠক ডাকেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের এনএসএ অজিত ডোভাল। এরপরেই কাশ্মীরে একটি বিশেষ দল পাঠায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কাশ্মীর পুলিশের সঙ্গে সেই দল তল্লাশি অভিযান শুরু করে। এরপরেই গত দুইদিনে ৭০০জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কাশ্মীর পুলিশের এক উচ্চপদস্থ অফিসার ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসার পরে কাশ্মীরে উত্তেজনা বেড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু মানুষ তালেবানকে সমর্থন জানিয়ে পোস্ট করেছে। কয়েকটি সন্ত্রাসী সংগঠনও নতুন করে অ্যাক্টিভ হয়েছে। তারই জেরে একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। সাধারণ মানুষকে টার্গেট করা হচ্ছে। গত এক বছরে ২৮টি হত্যার ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে সাতটি ঘটেছে গত সপ্তাহে।