উত্তর প্রদেশে অজানা জ্বর : গবাদী পশু ছাড়া কয়েকগ্রাম জনমানব শূন্য

আপডেট: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১
0

অজানা জ্বরে একমাসে প্রায় এক ডজন মৃত্যুতে শ্মশানের নিস্তব্ধতা উত্তর প্রদেশের গ্রামে। মৃতদের মধ্যে আট-আশি সব বয়সের মানুষ রয়েছেন। সম্প্রতি কানপুর নগর জেলার কুরশাওলি গ্রামে গিয়ে দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ বাড়ি বাইরে থেকেই তালাবন্ধ। অজানা জ্বরের আতঙ্কে এবং প্রিয়জনকে বাঁচাতে ভিটে-মাটি ছেড়েছেন গ্রামবাসীরা। সম্প্রতি গ্রাম প্রধান অমিত সিংয়ের আত্মীয়ের মৃত্যুতে আরও চাপা আতঙ্ক গ্রাস করেছে গ্রামজুড়ে।

প্রায় জনমানবহীন গ্রামে শুধুই গবাদি পশুর বিচরণ। এই প্রসঙ্গে কানপুরে কর্মরত অনিল কুমার বলেছেন, ‘স্ত্রী-সন্তানকে শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। গবাদি পশুর দেখভাল করতে আমি থেকে গিয়েছি। গ্রামে এমন কোনও বাড়ি নেই, যার সদস্য অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়নি। তাই কেউ ভয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন, কেউ বা গ্রামের বাড়ি নিরাপদ কোনও এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছেন। ‘

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এই গ্রামে অজানা জ্বরে প্রথম মৃত্যু তন্নু প্রজাপতি নামে এক কিশোরের। ১৯ অগাস্ট তার মৃত্যুর খবর স্থানীয় হাসপাতালে এসেছে। তারপর থেকেই অল্পবয়সী-বৃদ্ধ কমবেশি নয় জনের এই জ্বরে মৃত্যু হয়েছে। সম্প্রতি মারা গিয়েছেন গ্রাম প্রধানের এক আত্মীয়।

যদিও জ্বরের নেপথ্যের কারণ এখন নির্ধারণ করতে পারেনি জেলা প্রশাসন। জেলার এক স্বাস্থ্যকর্তা বলেছেন,’যারা মারা গিয়েছেন, তাঁদের নমুনায় ডেঙ্গু কিংবা ম্যালারিয়ার জীবাণু মেলেনি। যারা সুস্থ হয়েছেন, তাঁদের শরীরে ডেঙ্গুর জীবাণু মিলেছে। এখন পর্যন্ত ম্যালেরিয়া আক্রন্ত কোনও রোগীর সন্ধান মেলেনি জেলায়।‘

তবে শুধু কুরশাওলী গ্রামেই এই অজানা জ্বর আতঙ্ক। পড়শি গ্রামগুলো সেভাবে প্রভাবিত হয়নি। এমনটাই দাবি ওই স্বাস্থ্যকর্তার। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, মৃত্যুর সঠিক কারণ খুঁজতে বিশেষজ্ঞ কমিতি গড়েছে উত্তর প্রদেশের স্বাস্থ্য ভবন।